জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের দৃষ্টিতে মানুষ জীবিত অবস্থায় যেমন সম্মানী, মৃত্যুর পরেও তেমন সম্মানী। জীবিত মানুষকে কষ্ট দেয়া যেমন অপরাধ ও গুনাহের কাজ তেমনই মৃত্যুর পরেও কাউকে কষ্ট দেয়া অপরাধ ও গুনাহের কাজ। সুতরাং একান্তু প্রয়োজন ছাড়া কারো লাশ কাটা-ছেড়া নাজায়েজ ।
সূত্র: আবু দাউদ: ৪৫৮, মুয়াত্তা ইমাম মালেক: ২২০, ইমদাদুল ফাতাওয়া: ১/ ৭৪১, কিফায়াতুল মুফতি ৪/ ১৮৮।
এক্ষেত্রে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিধান জানুনঃ
,
(০২)
মুখে দুই রাকাত নামাজের নিয়ত করিলে,যদি অন্তরে ৪ রাকাত নামাজের নিয়ত থাকে,তাহলে চার রাকাত আদায় করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই
(والمعتبر فيها عمل القلب اللازم للإرادة) فلا عبرة للذكر باللسان إن خالف القلب لأنه كلام لا نية إلا إذا عجز عن إحضاره لهموم أصابته فيكفيه اللسان مجتبى (وهو) أي عمل القلب (أن يعلم) عند الإرادة (بداهة) بلا تأمل (أي صلاة يصلي) فلو لم يعلم إلا بتأمل لم يجز.
(ج: 1، ص: 415، ط: دار الفکر)
যার সারমর্ম হলো এক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য হলো অন্তরের ইচ্ছা,,,,,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু ভুলক্রমে ২ রাকাত নামাজের নিয়ত করেছে,এর অর্থ হলো অন্তরে ঠিকই চার রাকাতের নিয়ত ছিলো।
,
সুতরাং কোনো সমস্যা নেই।
,
,
(০৩)
হাদিস ও ফিকাহের কিতাবে প্রস্রাব-পায়খানা ও বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ আদায় করতে নিষেধ করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আরকাম রাযিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, যখন নামাজ দাঁড়িয়ে যায়- আর তোমাদের কারও প্রস্রাব-পায়খানার প্রয়োজন দেখা দেয়; সে যেন প্রথমে প্রয়োজন সেরে নেয়।
-জামে তিরমিজি, হাদিস- ১৪২
প্রস্রাব-পায়খানা এবং বায়ুর চাপ নিয়ে নামাজ আরম্ভ করা মাকরূহে তাহরিমি। আর স্বাভাবিক অবস্থায় নামাজ শুরু করার পর নামাজের মাঝে এমন চাপ সৃষ্টি হলে নামাজের পর্যাপ্ত ওয়াক্ত বাকি থাকা সত্ত্বেও এ অবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাওয়া মাকরূহ। এ ধরনের ক্ষেত্রে নামাজ ছেড়ে দিয়ে প্রয়োজন শেষ করে পূর্ণ চাপমুক্ত হয়ে নামাজ আদায় করা কর্তব্য।
তবে হ্যাঁ, নামাজের ওয়াক্ত যদি এত কম থাকে, যাতে প্রয়োজন সারতে গেলে নামাজ কাজা হয়ে যাবে; তাহলে সম্ভব হলে এ অবস্থায়ই নামাজ পড়ে নিবে।
অবশ্য পর্যাপ্ত ওয়াক্ত থাকার পরও কোনো ইমাম বা একাকী নামাজ আদায়কারী যদি এ অবস্থায় নামাজ পড়ে নেয় তবে এমনটি করা মাকরূহ হলেও তাদের নামাজ আদায় হয়ে যাবে। পুনরায় পড়া জরুরি নয়। তবে ভবিষ্যতে এরূপ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। -রদ্দুল মুহতার: ১/৩৪১, ৬৪৪,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
কেহ যদি টয়লেটের চাপের কারনে নামাজ ছেড়ে দিয়ে টয়লেট করতে যায়,তাহলে তাকে উক্ত নামাজ পুনরায় নতুন করে আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে যেখানে ছেড়েছে,সেখান থেকে আদায় করার কোনো সুযোগ নেই।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি বেশি চাপ হয়,তাহলে আপনি যেই অবস্থাতেই থাকুন না কেনো,টয়লেট করতে চলে যাবেন।
ফিরে এসে পুরো নামাজ পুনরায় আদায় করবেন।