জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الزُّبَيْرِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ الْبَصْرَةِ قَالَ صَحِبْتُ عِمْرَانَ بْنَ حُصَيْنٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ النَّذْرُ نَذْرَانِ فَمَا كَانَ مِنْ نَذْرٍ فِي طَاعَةِ اللَّهِ فَذَلِكَ لِلَّهِ وَفِيهِ الْوَفَاءُ وَمَا كَانَ مِنْ نَذْرٍ فِي مَعْصِيَةِ اللَّهِ فَذَلِكَ لِلشَّيْطَانِ وَلَا وَفَاءَ فِيهِ وَيُكَفِّرُهُ مَا يُكَفِّرُ الْيَمِينَ
মুহাম্মদ ইবন ওহাব (রহঃ) ... ইমরান ইবন হুসায়ন (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ মান্নত দুই প্রকার। যেই মান্নত আল্লাহর আনুগত্যের জন্য করা হয়, তা আল্লাহর জন্য। আর তা পূর্ণ করতে হবে। আর আল্লাহর নাফরমানীতে যে মান্নত করা হয়, তা শয়তানের জন্য, আর তা পূর্ণ করার প্রয়োজন নেই। আর মান্নতের কাফফারা তা-ই, যা কসমের কাফফারা হয়ে থাকে।
(নাসায়ী ৩৮৪৭.ইরওয়া ৮/২১৭, সহীহাহ ৪৭৯।)
من نذر نذرا مطلقا أو معلقا بشرط وكان من جنسه واجب أي فرض ....... وهو عبادة مقصودة، و وجد الشرط المعلق به لزم الناذر، لحديث: من نذر وسمى فعليه الوفاء بما سمى. "الدر مع الرد". (شامى زكريا: 5/515، كتاب الأيمان، مطلب في أحكام النذر).
সারমর্মঃ-
কেহ যদি সাধারণ মান্নত করে,অথবা শর্ত যুক্ত মান্নত করে,আর সেটা যদি ওয়াজিব জাতীয় আমল হয়,আর সেটা হলো ইবাদাতে মাকসুদা। এবং সেই শর্ত পাওয়া যায়।
তাহলে মান্নত কারীর উপর তাহা পূরন করা আবশ্যক।
প্রশ্নে উল্লেখিত ক্ষেত্রে সে নিজে যতটুকু পারবে,সেটি পড়তে পারে,তবুও অন্যকে দিয়ে পড়াবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদয়্যাহ ১৪/৭২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিজে নিজেই কুরআন খতম করতে হবে।অন্যকে দিয়ে এভাবে কুরআন খতম করাতে চাইলে মান্নত আদায় হবেনা।
এক্ষেত্রে নিজে সময় সুযোগ মোতাবেক অল্প অল্প করে পড়ে আস্তে-ধীরে খতম তুলতে পারবে।
তবুও অন্যকে দিয়ে খতম করাতে পারবেনা।
(০২)
আয়াত যদি বিকৃত ভাবে শোনা যায়,তাহলে এটি কুরআনের শানের খেলাফ হওয়ায় আদবের খেলাফ হবে।