বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যেহেতু এতে শরীয়ত অনুমোদিত ক্রয়-বিক্রয়ের সাদৃশ্যতা বিদ্যমান রয়েছে।তাই কমিশনের সাথে উক্ত ক্রয়-বিক্রয়কে বৈধতার আওতাভুক্ত করা হবে।তবে কিছু শর্ত সাপেক্ষে।
ডিসকাউন্টের উক্ত পদ্ধতি জায়েয হতে হলে নিম্নোক্ত শর্ত সমূহ অবশ্যই তাতে উপস্থিত থাকতে হবে।
★প্রথম শর্ত ক্রেতার সাথে সম্পর্কিত।
★দ্বিতীয় শর্ত বিক্রতার সাথে সম্পর্কিত।
ক্রেতা প্রয়োজন ব্যতীত শুধুমাত্র ডিসকাউন্ট অর্জনের উদ্দেশ্যে উক্ত মালকে ক্ররিদ করতে পারবে না।কেননা অপচয় করা নাজায়েয ।
শুনুন আল্লাহ তা'আলার শ্বাশ্বত বানী,
ﺇِﻥَّ ﺍﻟْﻤُﺒَﺬِّﺭِﻳﻦَ ﻛَﺎﻧُﻮﺍْ ﺇِﺧْﻮَﺍﻥَ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴﻦِ ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﻟِﺮَﺑِّﻪِ ﻛَﻔُﻮﺭًﺍ
নিশ্চয় অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।(সূরাঃ বনী-ইসরাঈল-২৭)
বিক্রেতার উক্ত ডিসকাউন্টের ঘোষনা অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে হতে পারবে না। বরং তার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র নিজ মালকে প্রচলন করা ও বিক্রি করা, হতে হবে।উপরোক্ত শর্তাদি পাওয়া গেলে ডিসকাউন্ট বৈধ হবে। কেননা উক্ত পদ্ধতিতে বিষয়টা আসলে এমন হচ্ছে যে,বিক্রেতার পক্ষ থেকে বিক্রিত মালে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।যা ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত।এ সম্পর্কের মূলনীতিকে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
1505