আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
212 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমার ভাই একজন শিক্ষক।তাঁর প্রতিষ্ঠানে চাকরির বিভিন্ন পরীক্ষার সিট পরে,গার্ড দিতে হয়।এটার জন্য আলাদা টাকাও দেওয়া হয়।
ব্যাংকের চাকরির পরীক্ষার্থীদের গার্ড দিলে কোনো সমস্যা আছে?
এখানে তো তিনি সুদ খাচ্ছেন ও না,দিচ্ছেন ও না,সাক্ষীও না,লেখক ও না?

জাঝাকাল্লাহু খাইরান কাসিরান

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَاتَّبَعُواْ مَا تَتْلُواْ الشَّيَاطِينُ عَلَى مُلْكِ سُلَيْمَانَ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَـكِنَّ الشَّيْاطِينَ كَفَرُواْ يُعَلِّمُونَ النَّاسَ السِّحْرَ وَمَا أُنزِلَ عَلَى الْمَلَكَيْنِ بِبَابِلَ هَارُوتَ وَمَارُوتَ وَمَا يُعَلِّمَانِ مِنْ أَحَدٍ حَتَّى يَقُولاَ إِنَّمَا نَحْنُ فِتْنَةٌ فَلاَ تَكْفُرْ فَيَتَعَلَّمُونَ مِنْهُمَا مَا يُفَرِّقُونَ بِهِ بَيْنَ الْمَرْءِ وَزَوْجِهِ وَمَا هُم بِضَآرِّينَ بِهِ مِنْ أَحَدٍ إِلاَّ بِإِذْنِ اللّهِ وَيَتَعَلَّمُونَ مَا يَضُرُّهُمْ وَلاَ يَنفَعُهُمْ وَلَقَدْ عَلِمُواْ لَمَنِ اشْتَرَاهُ مَا لَهُ فِي الآخِرَةِ مِنْ خَلاَقٍ وَلَبِئْسَ مَا شَرَوْاْ بِهِ أَنفُسَهُمْ لَوْ كَانُواْ يَعْلَمُونَ
তারা ঐ শাস্ত্রের অনুসরণ করল, যা সুলায়মানের রাজত্ব কালে শয়তানরা আবৃত্তি করত। সুলায়মান কুফর করেনি; শয়তানরাই কুফর করেছিল। তারা মানুষকে জাদুবিদ্যা এবং বাবেল শহরে হারুত ও মারুত দুই ফেরেশতার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছিল, তা শিক্ষা দিত। তারা উভয়ই একথা না বলে কাউকে শিক্ষা দিত না যে, আমরা পরীক্ষার জন্য; কাজেই তুমি কাফের হয়ো না। অতঃপর তারা তাদের কাছ থেকে এমন জাদু শিখত, যদ্দ্বারা স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। তারা আল্লাহর আদেশ ছাড়া তদ্দ্বারা কারও অনিষ্ট করতে পারত না। যা তাদের ক্ষতি করে এবং উপকার না করে, তারা তাই শিখে। তারা ভালরূপে জানে যে, যে কেউ জাদু অবলম্বন করে, তার জন্য পরকালে কোন অংশ নেই। যার বিনিময়ে তারা আত্নবিক্রয় করেছে, তা খুবই মন্দ যদি তারা জানত।(সূরা বাকারা-১৮২)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদি সুদী অংক পাঠদানের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী সুদকে হারাম জানে ও মানে এবং সুদ হারাম হওয়াকে অকাট্যভাবে বিশ্বাস করে, তাহলে সুদী হিসাবের অংক শিক্ষা দেওয়া এবং শিক্ষা গ্রহণ করা কোনোটাই নাজায়েয হবে না। বরং তখন বুঝা যাবে যে, এদ্ধারা সুদের মধ্যে যে ক্ষয়ক্ষতি রয়েছে, সেই সম্পর্কে জানা। এবং উক্ত জ্ঞানকে শরীয়ত সমর্থিত কোনো কাজে ব্যায় করা। কেননা বর্তমানে প্রত্যেকটা প্রতিষ্টান ও অফিস এই অংকর উপর নির্ভরশীল। তাছাড়া সুদের অপকারিতা এবং ভয়াবহতা সম্পর্কে জানতে হলে এই সুদী অংক জানা মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে।  

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুদ হারাম, সেই বিষয়টা অবগত করে অংক বা সুদি অংক শিক্ষা দেওয়া হলে, তা নাজায়েয হবে না। আপনি যখন গার্ড দিবেন, তখন সুদ সম্পর্কে সতর্ক করে দিবেন। তাহলে আপনার বেতন হালাল হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম  ওয়া রহমতুল্লাহ। 
আচ্ছা, যদি গার্ড দেওয়ার সময় সুদ সম্পর্কে সতর্ক করা সম্ভব না হয় তবে সেই ক্ষেত্রে করনীয় কি?কেননা  পরীক্ষার ডিউটির সময়তো এগুলো নিয়ে কথা বলার নিয়ম নেই।তখন কি সেই ডিউটির টাকা গ্রহণ করা যাবে?

by (597,330 points)
যে কোনো ভাবে সতর্ক করাই উচিৎ। যাইহোক যদি সতর্ক করা সম্ভব না হয়, তাহলে সতর্কতামূলক ঐ ভাতা সদকাহ করে দিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...