আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
640 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।
আমার বিয়ের বয়স পাঁচ বছর।  তিন বছর পর্যন্ত আমার স্বামী বেকার ছিল।  তখন আমার পরিবার এবং আমার স্বামীর পরিবার আমাদের ভরন পোষণ করেছেন।
আমার স্বামী বদমেজাজী এবং একরোখা।
 তিন বছর পরে আমার স্বামী রেজিস্ট্রি অফিসে লাইসেন্স ছাড়া চাকরিতে ঢুকেছে। তার বাবার আন্ডারে। মোটামুটি পাঁচ ছয় হাজার টাকা ইনকাম হয়। কিন্তু তার বাবা তাকে তার স্ত্রী সন্তানের জন্য বেশি খরচ করতে না করে।  আল্লাহ তাকে হেদায়েত দান করুক। তার রাগ উঠলে এরকম কথা বলে যে - তোর সাথে আর সংসার করবো না। বা  তোমার সাথে সংসার করার আর কোন ইচ্ছা নাই। আমার বাবার সাথেও ঝগড়া লেগে বলেছে যে আপনার মেয়ে আপনি রেখে দেন। অফিসিয়ালি কাজ করবেন নাকি আনঅফিসিয়াল ভাবে কাগজে-কলমে সম্পর্কটা থাকবে সেটা ঠিক করেন। তখন আমার আব্বু বলছে যে মাথা ঠান্ডা করে এ কথা বল। এভাবে বলতে হয় না। তখন সে বলেছে যে আমার মাথা ঠান্ডা আছে। আমি অফিসিয়ালি কাগজ পাঠিয়ে দেবো।
  চার বছর পর্যন্ত আমি আমার শ্বশুরবাড়ি ছিলাম। হয়তো দু তিন দিনের জন্য আমার বাবার বাড়ি আসতাম বেড়াতে।
   কিন্তু তারপরে আমার ছেলে হওয়ার পরে আমি কিছুদিন আমার বাবার বাড়ি ছিলাম আমার স্বামী আসত যেত। আমিও যেতাম শ্বশুরবাড়ি। আর আমার পরীক্ষার জন্য কিছুদিন ছিলাম । এখন প্রায় নয় মাস হয়ে গিয়েছে আমি আমার বাবার বাড়ি আমার স্বামী আমার কোন খরচ বা আমার ছেলের কোন খরচ দেয় না।
আমার শ্বশুর আমার বাবার সাথে অনেক খারাপ ব্যবহার করেছে। আমার শ্বশুর বলে যে তার ছেলের বয়স কম বুদ্ধি নাই। এজন্য উল্টাপাল্টা কথা বলে।
   এখন অনেকদিন হয়ে গেছে দেখে,  আমার স্বামী আমাকে বলছে যে তালাক দিয়ে দেওয়ার জন্য। তখন আমি বলছি আমি কেন দিব আমি তো সংসার করতে চাই। তো ওর বাবা-মার সাথে আমার এরকম একটা অবস্থা হয়েছে যে আমি যে ওই বাড়িতে সংসার করবো এরকম পরিবেশ নাই। ওদের দ্বীনের কোন শিক্ষা নেই। এরকম অবস্থায় আমার পক্ষে ওখানে যেয়ে সংসার করা কোনভাবেই সম্ভব নয়। সেজন্য আমি ওখানে যেতে চাই না। কিন্তু আমার স্বামী আমাকে আলাদা রাখবে না এজন্য আমাকে বলেছে তালাক দিয়ে দিতে। এভাবে একপর্যায়ে আমার শশুর আমার চাচার কাছে ফোন করে বলছে এভাবে সম্পর্ক ঝুলিয়ে রাখবে না সবকিছু শেষ করে দিতে। আর তাদের নাতির কথা বলেছে যে তাদের নাকি নাতি লাগবেনা। আমাদের কাছে রাখলেই হবে তাদেরকে মাঝে মাঝে নাতির ছবি দিলেই হবে।

আমার আশেপাশে এরকম সুযোগ নেই যে আমি ভালো কোন মুফতির কাছে জিজ্ঞাসা করব কোন কিছু! সেজন্যই এত বিস্তারিত লেখা সবকিছু। কোন কিছু ভুল বলে থাকলে আফওয়ান।
 আমার কয়েকটি প্রশ্ন জানার ছিল।
 1. আমার স্বামী যে এরকম কথা বলেছে এতে কি তালাক কার্যকর হবে?
 2.  আর এই যে আমি যে যাচ্ছি না এজন্য কি আমার গুনাহ হবে?

3.  আর আমাদের পরিবার থেকে এখন তালাকের নোটিশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত হয়তো ওরা পায়নি। তো আমার স্বামী স্বাক্ষর না করলে ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী তালাক কার্যকর হবে?

4. সংসার বাঁচানোর জন্য এমতাবস্থায় আমার কি কিছু করণীয় আছে?

জাঝাকাল্লাহু খইরন।।।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
"তার রাগ উঠলে এরকম কথা বলে যে - তোর সাথে আর সংসার করবো না। বা  তোমার সাথে সংসার করার আর কোন ইচ্ছা নাই। আমার বাবার সাথেও ঝগড়া লেগে বলেছে যে আপনার মেয়ে আপনি রেখে দেন। অফিসিয়ালি কাজ করবেন নাকি আনঅফিসিয়াল ভাবে কাগজে-কলমে সম্পর্কটা থাকবে সেটা ঠিক করেন। তখন আমার আব্বু বলছে যে মাথা ঠান্ডা করে এ কথা বল। এভাবে বলতে হয় না। তখন সে বলেছে যে আমার মাথা ঠান্ডা আছে। আমি অফিসিয়ালি কাগজ পাঠিয়ে দেবো।"


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই সব কথাবার্তা দ্বারা তালাক হবে না।কেননা এখানে ভবিষ্যতে তালাকের ওয়াদা করা হচ্ছে। এদ্বারা বর্তমানে তালাক হবে না।


(২)
আপনার উচিৎ, সুখে দুঃখে স্বামীর সাথেই সংসার করা।এবং তাকে হেদায়তে নিয়ে আসার চেষ্টা করা।হ্যা, বর্ণিত পরিস্থিতিতে আপনার জন্য এটারও রুখসত রয়েছে যে, আপনি তালাক দিতে পারবেন।

(৩)
জ্বী, স্বামীর অনুমোদন ব্যতিত তালাক হবে না।

(৪)
জ্বী, সংসার বাঁচানোর যাবতীয় চেষ্টাই আপনি করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (2 points)
আলহামদুলিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ। জাজাকাল্লাহু খইরন। আমি আমার সংসার ঠিক করব ইনশাআল্লাহ। আমার এবং আমার স্বামীর হেদায়েতের জন্য দোয়া করবেন উস্তাদ। আমাদের সংসারের বরকতের জন্য দোয়া করবেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...