بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
শরীয়তের বিধান মতে অযু ভেঙ্গে যাওয়ার অন্যতম একটি কারন হলো রক্ত, পূঁজ, বা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। হাদীস শরীফে এসেছেঃ
أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَعَفَ،
انْصَرَفَ فَتَوَضَّأَ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি.-এর যখন নাক দিয়ে রক্ত ঝরতো, তখন তিনি ফিরে গিয়ে অযু করে নিতেন। (মুয়াত্তা মালিক ১১০)
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّهُ كَانَ يُفْتِي
الرَّجُلَ إِذَا رَعَفَ فِي الصَّلَاةِ، أَوْ ذَرَعَهُ قَيْءٌ، أَوْ وَجَدَ
مَذِيًّا أَنْ يَنْصَرِفَ فَيَتَوَضَّأُ
আব্দুল্লাহ বিন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত। তিনি যদি কারো নামাযরত
অবস্থায় নাক দিয়ে রক্ত ঝড়তো, বা বমি হতো, বা মজি বের হতো তাহলে তাকে ফিরে গিয়ে অযু করার ফাতওয়া প্রদান
করতেন। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক ৩৬১০)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে এসেছেঃ
ثم المراد بالخروج من السبيلين مجرد الظهور وفي غيرهما عين
السيلان ولو بالقوة، لما قالوا: لو مسح الدم كلما خرج ولو تركه لسال نقض وإلا لا
যার সারমর্ম হলো কেউ
রক্তকে বের হওয়া মাত্রই যখমের মুখ থেকে মুছে নেয়,যদি উক্ত ছেড়ে দেয়া হত,তবে প্রবাহিত হত,এমন প্রকারের যখমের রক্তের কারণে অজু ভেঙ্গে
যাবে।নতুবা অজু ভঙ্গ হবে না। (ফাতাওয়ায়ে শামী ১/১৩৪)
বিস্তারিত জানুনঃ https://ifatwa.info/6139/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন !
প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে যদি আপনার প্রবল ধারণা হয় যে, উক্ত ফোঁড়া
থেকে যেই রক্ত বের হয়েছে তা মাগরীবের পরেই বের হয়েছে, তাহলে শুধু এশার নামাজ পুনরায় আদায়
করতে হবে। পূর্বের নামাজগুলি কাযা করার প্রয়োজন নেই। সতর্কতা মূলক মাগরীবের নামাজও
কাযা করা উত্তম হবে। তবে শর্ত হলো, রক্তের পরিমাণ যেন গড়িয়ে যাওয়ার পরিমাণ হয়। এর থেকে
কম হলে কোন সমস্যা হবে না।