বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/40461/?show=40461#q40461
নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
শরীয়তের বিধান
হলো কোনো ব্যাক্তি যদি ৭৮ কিলোমিটার বা তার থেকে বেশি দুরত্বে কোথাও সফর করে
সেখানে ১৫ দিনের চেয়ে কম থাকার নিয়ত করে, তাহলে সে মুসাফির
বলে গন্য হবে।
সফরের নিয়তে বাড়ি
থেকে বের হয়ে নিজ এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে কসর করতে হবে।
মুসাফিরের জন্য
যোহর আসর ও ইশার ফরয নামায দুই রাকাত পড়া
(কসর) ওয়াজিব; চার রাকাত (পূর্ণ
পড়া) নাজায়েয,এতে সে গুনাহগার হবে । কারণ মুসাফিরের
নামাযের বিধান হল কসর।
,
আয়েশা রাযি. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلَاةُ رَكْعَتَيْنِ
رَكْعَتَيْنِ فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ، فَأُقِرَّتْ صَلَاةُ السَّفَرِ، وَزِيدَ
فِي صَلَاةِ الْحَضَرِ
মুকিম ও মুসাফির
অবস্থায় নামায দু’দু রাক’আত ফরজ করা হয়েছিল। পরে সফরের নামায ঠিক রাখা হল কিন্তু
মুকিমের নামাযে বৃদ্ধি করা হল। (বুখারী ১০৪০ মুসলিম ৬৮৫)
অপর হাদিসে এসেছে,
عِيسَى بْنُ حَفْصِ بْنِ عَاصِمِ بْنِ
عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ أَبِيهِ قَالَ صَحِبْتُ ابْنَ عُمَرَ فِى طَرِيقٍ –
قَالَ – فَصَلَّى بِنَا رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَرَأَى نَاسًا قِيَامًا
فَقَالَ مَا يَصْنَعُ هَؤُلاَءِ قُلْتُ يُسَبِّحُونَ. قَالَ لَوْ كُنْتُ
مُسَبِّحًا أَتْمَمْتُ صَلاَتِى يَا ابْنَ أَخِى إِنِّى صَحِبْتُ رَسُولَ اللَّهِ
– ﷺ – فِى السَّفَرِ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ
عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ أَبَا بَكْرٍ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى
قَبَضَهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ وَصَحِبْتُ عُمَرَ فَلَمْ يَزِدْ عَلَى
رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَصَحِبْتُ عُثْمَانَ فَلَمْ
يَزِدْ عَلَى رَكْعَتَيْنِ حَتَّى قَبَضَهُ اللَّهُ تَعَالَى وَقَدْ قَالَ اللَّهُ
عَزَّ وَجَلَّ (لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِى رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
ইবনে উমর রাযি.
বলেন, নিশ্চয় আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ এর সাথে সফর করেছি, তিনি মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের
বেশি পড়েন নি। আমি আবু বকর রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও আমরণ সফরে ২ রাকাতই পড়েছেন। আমি উমর
রাযি. এর সাথেও সফর করেছি তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি পড়েন নি।
আমি উসমান রাযি. এর সাথেও সফর করেছি, তিনিও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সফরে ২ রাকাতের বেশি
পড়েন নি। আর আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, আমি তোমাদের জন্য রাসুলুল্লাহ ﷺ এর মাঝে রেখেছি উত্তম
আদর্শ। (মুসলিম ১৬১১)
বিস্তারিত জানুনঃ
https://ifatwa.info/7129/
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
১. আপনি সিলেটের যেখানে সফর করার নিয়ত করেছেন
সেই স্থানটা যদি আপনার বাড়ী থেকে ৭৮ কিলোমিটার বা
তার থেকে বেশি দুরত্বে হয় তাহলে আপনি মুসাফির বলে গণ্য হবেন, অন্যথায় নয়।
অর্থাৎ আপনার এলাকার সীমানা পার হওয়ার পর থেকে মুসাফির বলে গণ্য হবেন এবং সিলেটে
গিয়েও মুসাফির থাকবেন আবার আপনার বাড়ীর সীমানায় ফিরে আসা পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে আপনি চার রাকাত
বিশিষ্ট ফরজ নামাজ গুলো ২ রাকাত করে আদায় করবেন। তবে জামাতের সাথে মুক্তাদি হয়ে
নামাজ পড়লে তখন চার রাকাতই পড়তে হবে।
২. যোহর , আসর ও এশার ফরজ চার
রাকাত নামাজ দুই রাকাত করে পড়তে হবে। আর ফজর ও মাগরীব এবং বিতরের নামাজ পূর্ণ পড়তে হবে। সময় সুযোগ থাকলে
সু্ন্নাত নামাজগুলোও পড়ে নিবে। বিশেষ করে ফজরের দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ।