আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
224 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (54 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১.  আমি একদিন ফেসবুকে স্ক্রল করতেছিলাম তখন একটা হাদিস আমার চোখে পরেছিল তা হল -  রাসুল সাঃ ইরশাদ করেন  তোমাদের কেউ ততক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার হতে পারবেনা যতক্ষণ না তার  কাছে  আমি তার পিতামাতার চেয়ে, সন্তানাদির চেয়ে   এবং  সমস্ত মানুষের চেয়ে প্রিয় না হব।
এই হাদিস পরার পর আমি আমার আমি মনে মনে ভাবি যে, রাসুল সাঃ তো পিতা মাতার খেদমত করার জন্য বলেছেন। কিন্তু এই হাদিসে পিতা মাতার চেয়েও রাসুল সাঃ কে বেশি ভালোবাসার কথা বলা হয়েছে। তার পর আমি হাদিসটি সঠিক কি না তা দেখার জন্য বুখারি শরিফ বা গুগলে সার্চ দেই। তারপর আমি একা একা ভাবি যে রাসুল সাঃ কে ভালোবাসা মানে তো তিনি পিতামাতার খেদমতের কথাও বলেছেন। তাহলে তো একই। এখন আমার প্রশ্ন হল-

হাদিস দেখে এইরকম সন্দেহ    হওয়ার কারনে আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? যেহেতু আমি মনেমনে ভেবেছি যে পিতামাতার চেয়ে বেশি প্রিয় হতে হবে এইরকম প্রশ্ন মনে জাগার কারনে কি আমার  ঈমানের কোন সমস্যা হবে?

২. হুজুর আমি ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখতেছিলাম। সেখানে ফরজ নামাজের পর   সম্মিলিত মুনাজাত সম্পর্কে  আলোচনা ছিল। তখন সেখানে এক বক্তা বলেছিল সম্মিলিত মুনাজাত শুধু জায়েজ বা মুস্তাহাব নয়। এটা সুন্নতে মুতাওয়ারেছা। এই কথা শুনে আমি মনে মনে ঠাট্রার মত করে মনে মনে বলেছিলাম বা ভেবেছিলাম যে এটা আবার কি সুন্নাত। নতুন সুন্নাত আবিষ্কার করল। নতুন সুন্নাত শুনলাম। এই রকম মনে মনে ভাবার কারনে বা বলার কারনে কি সুন্নাত নিয়ে হাসি ঠাট্রা করা হয়েছে। এর কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে? আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?                                                                     
৩.আমি সালাতুত দোহা নামাজ ৯-১১টা অর্থাৎ ১২ টার আগে পড়ি। নামাজ পড়ার সময় আমি মনে মনে নিয়ত করি যে সালাতুত দোহার দুই রাকাত নফল নামাজ রাসুল সাঃ পড়েছেন এইজন্য সুন্নাত নামাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পরতেছি। মনে মনে এভাবে ভাবার পর আমার মনে হল যে    রাসুল সাঃ কি সালাতুত দোহা নামাজ পরেছেন না শুধু আদেশ করেছেন। (আস্তাগফিরুল্লা)। এই জন্য আমি গুগলে বা ইউটিউবে সার্চ দেই। এরকম আমার মনে হওয়ার কারনে বা গুগলে সার্চ দেয়ার কারনে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে?  আমার বিবাহের কোন সমস্যা হবে?  আর আমি উপরে আস্তাগফিরুল্লাহ লিখলাম সেখানে আস্তাগফিরুল্লাহ লিখা কি ঠিক আছে।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীসকে অস্বীকার করা কুফরী।
কেননা যে ব্যাক্তি হাদীস কে অস্বীকার করলো,সে কুরআনকেই অস্বীকার করলো।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 مَنۡ یُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰهَ ۚ وَ مَنۡ تَوَلّٰی فَمَاۤ اَرۡسَلۡنٰکَ عَلَیۡهِمۡ حَفِیۡظًا ﴿ؕ۸۰﴾

যে রাসূলের আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। 
(সুরা নিসা ৮০)

সুরা নিসার ৫৯ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِیۡعُوا اللّٰهَ وَ اَطِیۡعُوا الرَّسُوۡلَ 

হে ঈমাদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূলের আনুগত্য কর।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমার উম্মতের সকল লোক জান্নাতে প্রবেশ করবে। কিন্তু যে অস্বীকার করেছে (সে জান্নাতবাসী হতে পারবে না)। জিজ্ঞাসা করা হলঃ কে অস্বীকার করেছে, হে রাসূল! উত্তরে বললেনঃ যে আমার অনুসরণ করল সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি আমার অনুসরণ করল না, সে অস্বীকার করল। [বুখারীঃ ৭২৮০]
,
অপর বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে আমার আনুগত্য করল সে অবশ্যই আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে আমার অবাধ্য হলো সে আল্লাহর অবাধ্য হল। অনুরূপভাবে যে ক্ষমতাসীনের আনুগত্য করল সে আমার আনুগত্য করল। আর যে ক্ষমতাসীনের অবাধ্য হলো সে আমার নাফরমানী করলো। ইমাম বা শাসক তো ঢালস্বরূপ, যার পিছনে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ করা যায় এবং যার দ্বারা বাঁচা যায়। যদি ইমাম বা শাসক আল্লাহর তাকওয়ার নির্দেশ দেন এবং ইনসাফ করেন তা হলে সেটা তার জন্য সওয়াবের কাজ হবে। আর যদি অন্য কিছু করেন তবে সেটা তার উপরই বর্তাবে। [বুখারীঃ ২৯৫৭, মুসলিমঃ ১৮৩৫]

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এইরকম প্রশ্ন মনে জাগার কারনে আপনার ঈমানের সমস্যা হবেনা।

(০২)
এর কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা। আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা 

(০৩)
এরকম আপনার মনে হওয়ার কারনে বা গুগলে সার্চ দেয়ার কারনে আপনার ঈমানের কোন সমস্যা হবেনা।

আপনার বিবাহের কোন সমস্যা হবেনা।

সেখানে আস্তাগফিরুল্লাহ লেখা/বলা ঠিক হয়নি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (54 points)
আস্তাগফিরুল্লাহ লিখার কারণে কি আমার ঈমানের কোন সমস্যা হবে         
by (574,050 points)
এতে আপনার ঈমানের কোনো সমস্যা হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...