হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ
হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]
فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)
সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন।
,
নেফাস এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনের মধ্যে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যেদিন বন্ধ হবে, সেদিন গোসল করে নামায পড়া শুরু করে দিতে হবে।
কিন্তু বন্ধ না হয়, তাহলে এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনেও বন্ধ না হয়, তাহলে চল্লিশ দিন পর বন্ধ না হলেও নামায পড়তে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার সিজারের ৪১ তম দিন থেকে ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরা হবে।
এর পরের ১০ দিন হায়েজ ধরবেন।
এর পরের ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন।
এর পরের ১০ দিন হায়েজ ধরবেন।
এভাবে কাউন্ট করবেন,ইস্তেহাজার দিন গুলো নামাজ আদায় করবেন। (আদায় না করে থাকলে পরবর্তীতে কাজা আদায় করবেন।)
আর হায়েজ এর দিন গুলোতে নামাজ বন্ধ রাখবেন।
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে ঔষধ খাওয়ার পরে শেষ ব্লিডিং হয়েছে এই মাসের ১১ তারিখ সকালে।
এই ১১ তারিখ আপনার কোন দিন গুলোর মধ্যে ছিলো?
ইস্তেহাজার দিন গুলোতে থাকলে নামাজ আদায় করতে হবে।
হায়েজের দিন গুলো হলে যেহেতু আর রক্ত আসছেনা,তাই নামাজ আদায় করতে হবে।
এরপর আবারো রক্ত আসলে আপনি হিসেব করবেন যে উপরে উল্লেখিত হিসেবে অনুসারে আপনার পূর্বের হায়েজের সর্বশেষ দিন কয় তারিখ ছিল?
সেই দিন থেকে হিসাব করে ১৫ দিন অতিক্রম হলে আপনি এই ব্লিডিংকে হায়েজ ধরবেন।
আর ১৫ দিন পূর্ণ না হলে ইস্তেহাজা ধরবেন।