আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
282 views
in পবিত্রতা (Purity) by (47 points)
শাইখ, আমি বোঝার জন্য আবারো প্রশ্ন করেছি। আমি ডেইটসহই সব উল্লেখ করেছি।


এই মাসের ২৮ তারিখে আমার সিজারের ৩ মাস হবে ইনশা আল্লাহ। এখন এই ৩ মাসের ব্লিডিং এর ধরব আমি উল্লেখ করেছি।


আমার ৪১ দিনের পরের ১৫ দিন পরের ব্লিডিং গুলোর সবই কি হায়েজ? নাকি ১০ দিন হায়েজ না? তারপরের আবার ১৫ দিন ইস্তিহাজা? তারপর আবার ১০ দিন হায়েজ এভাবে কাউন্ট করব না শাইখ?যেহেতু আমার ব্লিড পরপরই হয়েছে। আল্লাহর ইচ্ছায় ওষুধ খাওয়ার পরে শেষ ব্লিডিং হয়েছে এই মাসের ১১ তারিখ সকালে, আর আজ ২৪ তারিখ মাগরিবের আগে। তাহলে এখনো তো ১৫ দিন হয়নি শাইখ। তাহলে এটাকেও কি হায়েজ ধরব? নাকি ১৫ দিন পূর্ণ হলে তারপর হায়েজ ধরব? যেহেতু ব্লিডিং বন্ধের সময় ১৫ দিন হয়নি তাই সালাত তো পড়েছি। শাইখ।


আর আমি তো ইস্তিহাজা ভেবে আগেও সালাত পড়েছি, কারন দুই ব্লিডিং বন্ধের মধ্যবর্তী সময় ১৫ দিন হয়নি।

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ «وَقَّتَ لِلنُّفَسَاءِ أَرْبَعِينَ يَوْمًا، إِلَّا أَنْ تَرَى الطُّهْرَ قَبْلَ ذَلِكَ

হযরত আনাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নেফাসওয়ালী মহিলাদের মেয়াদ সাব্যস্ত করেছেন চল্লিশ দিন। তবে যদি এর আগে পবিত্র হয়ে যায়, তাহলে ভিন্ন কথা। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৬৪৯, আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৮৩১১, সুনানে দারাকুতনী, হাদীস নং-৮৫২, সুনানে কুবরালিলবায়হাকী, হাদীস নং-১৬১৯]

فى تنوير الابصار: والنفاس لغة : دمن ويخرج عقب ولد، لا حد لاقله، واكثره أربعين يوما (رد المحتار، كتاب الطهارة، باب الحيض-1/496-497)
সারমর্মঃ সন্তান ভুমিষ্ঠের পর যেই রক্ত বের হয়,সেটাকে নেফাস বলা হয়,তার সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। 
,

নেফাস এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনের মধ্যে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে যেদিন বন্ধ হবে, সেদিন গোসল করে নামায পড়া শুরু করে দিতে হবে।
 কিন্তু বন্ধ না হয়, তাহলে এর সর্বোচ্চ মেয়াদ হল চল্লিশ দিন। যদি চল্লিশ দিনেও বন্ধ না হয়, তাহলে চল্লিশ দিন পর বন্ধ না হলেও নামায পড়তে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
আপনার সিজারের ৪১ তম দিন থেকে ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরা হবে।
এর পরের ১০ দিন হায়েজ ধরবেন।
এর পরের ১৫ দিন ইস্তেহাজা ধরবেন।
এর পরের ১০ দিন হায়েজ ধরবেন।
এভাবে কাউন্ট করবেন,ইস্তেহাজার দিন গুলো নামাজ আদায় করবেন। (আদায় না করে থাকলে পরবর্তীতে কাজা আদায় করবেন।)
আর হায়েজ এর দিন গুলোতে নামাজ বন্ধ রাখবেন।

প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে ঔষধ খাওয়ার পরে শেষ ব্লিডিং হয়েছে এই মাসের ১১ তারিখ সকালে।
এই ১১ তারিখ আপনার কোন দিন গুলোর মধ্যে ছিলো?
ইস্তেহাজার দিন গুলোতে থাকলে নামাজ আদায় করতে হবে।

হায়েজের দিন গুলো হলে যেহেতু আর রক্ত আসছেনা,তাই নামাজ আদায় করতে হবে।

এরপর আবারো রক্ত আসলে আপনি হিসেব করবেন যে উপরে উল্লেখিত হিসেবে অনুসারে আপনার পূর্বের হায়েজের সর্বশেষ দিন কয় তারিখ ছিল?

সেই দিন থেকে হিসাব করে ১৫ দিন অতিক্রম হলে আপনি এই ব্লিডিংকে হায়েজ ধরবেন।

আর ১৫ দিন পূর্ণ না হলে ইস্তেহাজা ধরবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (47 points)
reshown by
শাইখ, আমার ব্লিডিং তো একদিন, দুইদিন বন্ধ থেকে থেকে হয়েছে। নিচে তারিখ সহই দিয়েছি।
এরকম হলেও কি আপনি যেভাবে বললেন সেভাবে হিসাব করব শাইখ? ওইযে ১০, ১৫ এর হিসাব এভাবেই করব?


২য় নেফাসের তারিখের হিসাবঃ 
[[//২য় নেফাস শেষ, ৭ই আগস্ট(২০২২ সাল) যোহর থেকে আলহামদুলিল্লাহ। ৩ দিন অফ থেকে আবার ব্লিডিং হয়। মাঝে মাঝে হয়। লাস্ট হয়ত ব্লিডিং হয় শুক্রবারে (১২/ ০৮/২২),( ২১/০৮/২২), (২৪/০৮/২২), (28/08/22), (30/08/22), (৩/০৯/২২--যো,আ), (06, 09, 22),( 07,09, 22), এরপর পর পর হয়ে কন্টিনিউ ডিপ ব্লিডিং হয়।

 
৯ তারিখ রাত থেকে জ্যামিক+ মেনসিল খাওয়া শুরু করি আলহামদুলিল্লাহ। ১০ তারিখ সকালে প্যাডে আর ব্লাডের চিন্হ দেখিনি। ১১ তারিখ ফজরের পরে ব্লাডের চিহ্ন দেখেছিলাম। এর পর ব্লিডিং হয়েছে ২৪ তারিখ মাগরিবের আগে।//]]

শাইখ, আমার ব্লিডিং তো এভাবে বন্ধ থেকে থেকে হয়েছে। উপরে তারিখ দিয়েছি। এখন আপনি যেভাবে বলেছেন, ওইভাবে হিসাব করলে চলতি মাসের ১৬ তারিখ পর্যন্ত ইস্তিহাজার হিসাব আসে। কিন্তু ১১ তারিখ সকালেই আমার ব্লিডিং অফ হয়ে যায়। তাহলে তো ২৪ তারিখ মাগরিবের আগের আমার ব্লিডিং টাই তো হায়েজ হিসেবেই ধর্তব্য হচ্ছে তাইনা? [যদিও আমি সালাত কন্টিনিউ করেছি আলহামদুলিল্লাহ ]

শাইখ, আমার হিসাবটা কি ঠিক আছে?

by (573,960 points)
হ্যাঁ, আপনার হিসাব ঠিক আছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...