আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
240 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (56 points)
১.বর্ডার থেকে ব্লাক করে আনা আমদানিকৃত পন্য কেনা তো জায়েজ দেখলাম।এখন কেউ কোনো সাধারণ ব্যক্তি(মুফতি না) জায়েজ জানার পরও বলে ঐ পন্য কেনা জায়েজ নয় তাহলে কি তার ইমান চলে যাবে?? এটা হালালকো হারাম বলার শামিল হবে??

২.কেউ যদি কোনো পেজে দেখে কোনো এক ব্যক্ত প্রশ্ন করেছে "কেউ যদি ইমান ভঙ্গের কারন না জানে এবং পরে যদি সে বুঝতে পারে পূর্বে সে কোনো কুফরি কথা বা কাজ করে ফেলেছিলো সে তো জানতো না যে এটা করলে ইমান চলে যাবে।এখন কি তার ইমান আনতে হবে?" প্রশ্নটা দেখার পর ঐ ব্যক্তি মনে করল বা মনে মনে বলল ইমান ভঙ্গের কারন না জানার কারনে ঐ ব্যক্তির ইমান চলে যাবে না কিন্তু দেখলো ঐ প্রশ্নের উত্তরে শায়খ বলছে জেনে শুনে কুফরী কথা বা কুফরি কাজ করলে ইমান চলে যাবে নবায়ন করতে হবে ওজর বিন জাহালাত গ্রহনযোগ্য হবে না।এখন প্রশ্ন দেখে ইমান চলে যাবে না এটা মনে করার বা মনে মনে বলার কারণে কি ঐ ব্যক্তির ইমান চলে যাবে??যদিও সে অন্য এক শায়েখের কাছে আগেই শুনছিলো যে ইমানের ভঙ্গের কারনের ক্ষেত্রে ওজর বিল জাহালাত গ্রহণ করা হবেনা কুফরি কথা বা কুফরী কাজ করলোই ইমান চলে যাবে।

৩. কোনো এক হিন্দু মহিলা নামে মাত্র এক মুসলিম কে বিবাহ করো বিবাহের সময় সে মুসলিম হয়েঐ মহিলা যে হিন্দু এ নিয়ে উক্ত ব্যক্তির মনে কোনো সন্দেহ নেই।তবুও বিবরন মতে উক্ত ব্যক্তি ওদের মধ্যে কে মুসলিম কে কি(কি বলছে নাকি হিন্দু বলচে সন্দেহ) বলার কারণে কি তার ইমান চলে যাবে??এ কথা বলাতে কি ঐ হিন্দু মহিলাকে মুসলিম বলা হয়ে যাবে বা তার হিন্দুত্ব নিয়ে সন্দেহ করা হবে?(উপরের বিবরন টা একটু দেখে নিবেন আরেকবার?

৪.ঐ অভিনেতা কি মুসলিম বলে গন্য হবে সে হিন্দু রোলও করে আবার ঐ ধর্মের নামে কসমও খেয়েছে??

1 Answer

0 votes
by (566,340 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


অকাট্য ভাবে প্রমানিত কোনো হালালকে জেনে শুনে কেউ হারাম বললে সে কাফের হয়ে যাবে।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

اِتَّخَذُواْ أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَاباً مِّنْ دُوْنِ اللهِ-

‘আল্লাহর পরিবর্তে তারা তাদের আলেম ও সাধু-দরবেশদেরকে প্রভু বানিয়ে নিয়েছে’ (তওবা ৩১)।
আদী বিন হাতেম (রাঃ) আল্লাহর নবীকে এ আয়াত পাঠ করতে শুনে বলেছিলেন,

 إِنَّهُمْ لَمْ يَكُونُوا يَعْبُدُونَهُمْ ‘

ওরা তো তাদের ইবাদত করে না’। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছিলেন,

 وَلَكِنَّهُمْ كَانُوا إِذَا أَحَلُّوا لَهُمْ شَيْئًا اسْتَحَلُّوهُ وَإِذَا حَرَّمُوا عَلَيْهِمْ شَيْئًا حَرَّمُوهُ 

‘তা বটে। কিন্তু আল্লাহ যা হারাম করেছেন তারা ওদেরকে তা হালাল করে দিলে ওরা তা হালালই মনে করে। একইভাবে আল্লাহ যা হালাল করেছেন তারা ওদেরকে তা হারাম করে দিলে ওরা তা হারামই মনে করে। এটাই তাদের ইবাদত করা’।

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে মুশরিকদের আচরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,

وَلاَ يُحَرِّمُوْنَ مَا حَرَّمَ اللهُ وَرَسُولُهُ وَلاَ يَدِيْنُوْنَ دِيْنَ الْحَقِّ-
‘আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তারা তাকে হারাম গণ্য করে না এবং সত্য দ্বীনকে তাদের দ্বীন হিসাবে গ্রহণ করে না’ (তওবা ২৯)।

অন্যত্র তিনি বলেন,

قُلْ أَرَأَيْتُمْ مَّا أَنْزَلَ اللهُ لَكُم مِّن رِّزْقٍ فَجَعَلْتُمْ مِّنْهُ حَرَاماً وَحَلاَلاً قُلْ اللهُ أَذِنَ لَكُمْ أَمْ عَلَى اللهِ تَفْتَرُونَ-

‘আপনি বলুন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে যে রূযী দান করেছেন, তন্মধ্যে তোমরা যে সেগুলির কতক হারাম ও কতক হালাল করে নিয়েছ, তা কি তোমরা ভেবে দেখেছ? আপনি বলুন, আল্লাহ কি তোমাদেরকে এতদ্বিষয়ে অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর নামে মনগড়া কথা বলছ’ (ইউনুস ৫৯)।

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(০১)
এটি অকাট্যভাবে প্রমাণিত নয়,কেহ কেহ মতবিরোধ করেছেন।
বিধায় প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে কুফর হবেনা।

(০২)
ঐ ব্যাক্তির ঈমান চলে যাবেনা। 

(০৩)
তার ঈমান চলে যাবেনা।

(০৪)
হিন্দু চরিত্রে অভিনয় করে হিন্দুদের মত পূজা করা, হিন্দুদের বিশ্বাসের কথা বলা, তাদের মত  চালচলন প্রদর্শন, তাদের পূজা অর্চনাকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখানো এ সব কিছুই কুফরী।
,
যদি হিন্দু চরিত্রে অভিনয় করা প্রশ্নে উল্লেখিত অভিনেতা উপরোক্ত সকল কাজ বা আংশিক কাজ করে থাকে। তাহলে তার ঈমান চলে যাবে, তার জন্য তওবা করতঃ নতুন করে ঈমান আনতে হবে। বিবাহিত হলে তার বিবাহ দোহরাতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...