বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নাজাসতকে ১০টি পদ্ধতিতে পবিত্র করা যায় যথা-
(১)ধৌত করা,যেমন কাপড় ইত্যাদি।
(২)মোছা, যেমন আয়না,তলোয়ার ইত্যাদি।
(৩)টুকা দিয়ে নাজাসত দূর করা,যেমন গাড় বীর্য কে টুকা দিয়ে কাপড় থেকে দূরে সরিয়ে ফেলা,ইত্যাদি।
(৪)ঘর্ষণ, মর্দন, যেমন শরীর বিশিষ্ট নাজাসত যাকে ঘর্ষণ-মর্দন করে দূর করা হলে তা পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।
(৫)শুকিয়ে নাজাসতের আসর দূর হয়ে যাওয়া,যেমন জমিন,গাছ ইত্যাদি শুকিয়ে পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।
(৬)জ্বালানো, যেমন গোবর ইত্যাদি জ্বলে ভস্ম হয়ে ছাই হয়, যা পবিত্র।ইত্যাদি।
(৭)এক অবস্থা থেকে ভিন্নরূপ ধারণ করে পবিত্র হওয়া।যেমনঃ মদ থেকে সিরকায় পরিণত হওয়া যা কিনা পবিত্র।ইত্যাদি।
(৮)দেবাগত,যেমন মানুষ এবং খিনযির ব্যতীত সকল প্রকার প্রাণীর চামড়া কে লবন মাখিয়ে রৌদ্রে রাখলে তা পবিত্র হয়ে যায়,ইত্যাদি।
(৯)যবেহ, প্রাণীকে যবেহ করার মাধ্যমে উক্ত প্রাণীর চামড়া পবিত্র হয়ে যায়।যদি এমন প্রাণীও হয় যার গোস্ত ভক্ষণ করা হারাম,তবে তার চামড়াকে পবিত্র করে দেয়,ইত্যাদি।
(১০)নরখ,তথা যদি কোনো কোঁপে নাজসত পড়ে যায় তাহলে উক্ত কোঁপের মুনাসিব পরিমাণ পানি বাহিরে নিক্ষেপ করলেই উক্ত কোপ পবিত্র হয়ে যায়।ইত্যাদি।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিড়ালের গায়ে মল লাগার পর ভিজা কাপড় দিয়ে একবার মুছে যেহেতু পরিষ্কার করা হয়েছে। তাছাড়া বিড়ালটিও সেই জায়গায় অনেকক্ষন ধরে চেটে নিজেও পরিষ্কার করেছে।এখন বিড়ালটিকে ধরা যাবে।