হাদীস শরীফে এসেছে
أن عبد الله بن عمر يقول سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول ( كلكم راع وكلكم مسؤول عن رعيته الإمام راع ومسؤول عن رعيته والرجل راع في أهله وهو مسؤول عن رعيته والمرأة راعية في بيت زوجها ومسؤولة عن رعيتها والخادم راع في مال سيده ومسؤول عن رعيته
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ বলেন-আমি রাসূল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, তিনি বলেছেন-প্রতিটি ব্যক্তিই দায়িত্বশীল। প্রতিটি ব্যক্তিই তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। ইমামগণ দায়িত্বশীল, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। পুরুষগণ তাদের পরিবারের ব্যাপারে দায়িত্বশীল, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। মহিলাগণ স্বীয় স্বামীর গৃহের দায়িত্বশীল, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। দাস-দাসীগণ দায়িত্বশীল তার মনিবের সম্পদের ব্যাপারে, তারা তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে।
(সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৮৫৩
সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৪৮২৮
সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৪৮৯
সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২৯৩০
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৪৪৯৫
মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৫৩৭৭
মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২৯৫১
মুসনাদে আব্দ বিন হুমাইদ, হাদীস নং-৭৪৫
মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-১০৩)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার মায়ের নামাজ না পড়া,ফোনে রাতের পর রাত এই ইউটিউব ইত্যাদি অহেতুক কাজে সময় ব্যয় এর বিষয়টি আপনার বাবাকে অবহিত করে বাবার মাধ্যমেই সেটির সমাধান করুন।
নামাজ না পড়ার শাস্তি সম্পর্কে হক্কানী শায়েখদের রেকর্ডকৃত বয়ান তাকে শোনান।
এ সংক্রান্ত তাকে পড়তে দিন।
আপনার বাবা বা আপনার মায়ের অন্য কোনো মাহরামের সাথে তাকে মাস্তুরাত জামাতে পাঠাতে পারেন।
আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করবেন।
আপনি যেহেতু তাকে গুনাহ মুক্ত রাখার চেষ্টা করেতেছেন, সুতরাং আপনি তার মোবাইলের ইউটিউব বন্ধ করে দিলে তার বদ দুয়া কবুল হবেনা,ইনশাআল্লাহ।
তবে মনে হচ্ছে এটি সমাধানের পথ নয়,সাময়িক সমাধান হতে পারে,স্থায়ী সমাধান সম্ভবত হবেনা।
তাই উপরে উল্লেখিত পদ্ধতি অবলম্বন করার পরামর্শ রইলো।