ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
আপনার এ ধারণা অঠিক নয়। কেননা দ্বীনে ইসলাম হল, দ্বীনে ফিতরাহ তথা মানুষ সঠিকভাবে চিন্তা ফিকির করলে অবশ্যই সে দ্বীনে ইসলিমের দিকে ফিরো আসবে। সুতরাং এই মনোভাবের কারণে তার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং শুধুমাত্র এই মনোভাবের কারণে কেউ কাফির হবে না।
(৩)
না, কুফরি হবে না। তবে এভাবে হাসাহাসি না করাই উত্তম।
(৪)
না, এদ্বারা কুফরি হবে না।
(৫)
না, কুফরি হবে না।
(৬)
না, এটা দ্বারা কুফরি হবে না।
(৭)
এগুলো ওয়াসওয়াসা। এই ওয়াসওয়াসা থেকে বাচতে হলে,আল্লাহর সাহায্য চেয়ে উক্ত চিন্তাকে সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে।