নিয়ন্ত্রণ বিহীন ওয়স ওয়াসা , সাহায্যের আবেদন

Question

আসসালামু আলাইকুম

আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি, বিনীতভাবে অনুরোধ করছি ,আমি অসহায় হয়ে পড়ছি তাই প্রশ্ন করলাম ।মনে হচ্ছে পাগল হয়ে গেলাম ।এমন চলতে থাকলে আমার চাকরিটা চলে যাবে  । একটু পরামর্শ দিবেন

**আমি একটা  দোকানে কাজ করি।কাস্টমার দের সাথে কথা বলতে বলতে হ্ঠাত মুখ বন্ধ করে ফেলছি মনে হয় তা** বলে ফেলবো ভয়ে চুপ করে থাকি কানে কিছুই আসে নাই এটা সিউর আর যেহেতু কাস্টমারের সাথে কথা বলছিলাম তার জন্য জন্য জিহবা নড়ে তাই কিছু বুঝতে পারছিলাম না কেন নড়লো কারন আমার মনে সারাক্ষন তা*** ওয়াস ওয়সা চলতে থাকে। দোয়া পরা শুরু করে দেই। মোবাইলে ওয়াস ওয়াসার রুকাইয়া ছেড়ে দেই। খারাপ অবস্থা দেখে ছুটি নিয়ে বাসায় চলে আসি স্ত্রী কে মেসেজ দেই ফোন দিলাম না ভয়ে। আমার জন্য একটা ডাক্তার দেখতে বলি কারন আমি দেশের বাহিরে থাকি তাই স্ত্রীকে বললাম ভালো একটা সাইকিয়াট্রি ডাক্তারের সাথে আমার কথা বলিয়ে দিতে। একটু পর সাহস করে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে আজকের ঘটনার কথা বললাম । ফোনে কথা বলার সময় মুখ দিয়ে কথাই বলতে পারছিলাম না।মনে হয় বলেই দিলাম তা@#  কথাটা। শুধু মুখ দিয়ে দোয়া পরতেছি আর বলতেছি আল্লাহু আকবার যাতে অন্য কিছু না বলি । যখনই দেখি মুখ দিয়ে তা*** কথাটা বের হয়ে যাবে সন্দেহ হয় জিহবা নড়ে  তখনই আল্লাহু আকবার , আল্লাহু আকবার পড়তে থাকি বা অন্য যে দোয়া তখন যা মনে পরছে তাই পরছি। জিহবা সামান্য নড়লেই তখনই সন্দেহ মনে হচ্ছে মুখ দিয়ে কিছু বের হয়ে যাবে  যাবে তখনই দোয়া পড়তে থাকি আমার স্ত্রী লাইনে ছিলো সেও কিছু শুনতে পায়নি আর আমি উচ্চারণ করিও নি এবং নিজ কানেও শুনিনি  । কানে না শুনার ব্যাপারে স্পষ্ট মনে আছে। সন্দেহ হচ্ছে জিহবা নড়ার সাথে কিছু বলে ফেললাম কিনা ? এতে তা*** হয়ে যাবে কিনা?

এমন অবস্থায় শুধু  জিহবা নড়লে তাও সন্দেহ আছে যে স্পষ্ট আকারে নড়েছে কিনা এবং কানে কিছু না শুনলেই কি  তা@# হয়ে যাবে এখন টেনশন হচ্ছে আগের অবস্থা থেকে এইটা একটু গুরুতর ছিলো তাই টেনশন লাগছে

আর এরকম পরিস্থিতি  থেকে কিভাবে পরিপূর্ণ ভাবে মুক্তি পাবো অনেক আমল করি কিন্তু কিছু হচ্ছে না একটু জানাবেন মানে কোন বিশেষ আমল যদি থাকে কারন দেশে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ডাক্তার দেখানো সম্ভব না হলে যদি ঠিকমত কাস্টমার দের সাথে কথা না বলি আমার চাকরিটা হারাতে হতে পারে এখন চাকরিটা হারালে আমার খুব বিপদ হয়ে যাবে।

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149)
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি হাজার বার তালাক বললে, আপনার মুখ থেকে হাজার বার তালাক শব্দ উচ্ছারিত হলেও তালাক হবে না। আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন, তালাক হবে না।

Comments

আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, এই ফতুয়া আমার জন্য কতক্ষন মানে আমার ওয়াস ওয়াসা পরিপূর্ণ শেষ হওয়ায় আগ পর্যন্ত নাকি ? ওয়াস ওয়াসা যে শেষ সেটার জন্য কি সাক্ষী রাখতে হবে ?

---

না, সাক্ষী রাখার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই ।