আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
463 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (24 points)
১.দরুদে ইব্রাহিম নাকি নামাজ ছাড়া অন্য কোথাও পড়া যায় না। এইটা কতটুকু ঠিক?

২.সূরা কাউসারের প্রথম আয়াতে আমার জানা মতে নবীজী (স) কে হাউজে কাউসার দেয়ার কথা বলেছে কিন্তু একজন আলেম বললো "হাউজে কাউসার" এই শব্দের নাকি ২০ টার ও বেশি অর্থ আছে, মূলত আল্লাহ নাকি বুঝিয়েছেন যে উনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন সব কিছু নবীজিকে দিয়ে দিয়েছেন।।আল্লাহ নাকি সৃষ্টি করছেন আর মালিক নাকি নবীজী (স.) কে বানিয়েছেন। এইটা আমার একটুও বিশ্বাস হলো না তাই সত্যতা জানতে চাই।

৩. নামের শুরুতে নাকি মোঃ লিখা যাবে না কারণ কোনো সাহাবী রাখেন নাই। এইটা কি ঠিক?

৪. ঈদে মিলাদুন্নবীর মাহফিলে আসলে নাকি আল্লাহ নাকি সব গুনাহ ক্ষমা করে দেন এবং হেদায়াত দেন, কিন্তু মিলাদুন্নবী তো বিদআত তাই সত্যতা জানতে চাই।

৫. ঈদে মিলাদুন্নবী বিদআত জেনে ও মেনে এই উপলক্ষে আয়োজিত  মাহফিলে হুজুরের ওয়াজ থেকে নতুন কিছু শিখার উদ্দেশে যাওয়া যাবে কিনা?

৬. বালাগাল উলা বি কামালিহি, এইটা নাকি নবীজী শেখ সাদিকে সপ্নের মধ্যে এসে বলে দিয়েছেন তাই দরুদ হিসেবে পড়া যাবে। সত্যতা জানতে চাই।

৭. নবীজী মারা গেছেন এইটা নাকি বলা বেয়াদবি কারণ নবীজীর মৃত্যুর পর ওমর রা. বলেছেন যে নবীজী মারা গেছে বলবে তাকে আমি হত্যা করবো। সত্যতা জানতে চাই।

৮. "ইয়া নবী সালমুআলাইকা, ইয়া রাসূল সালামুআলাইকা" এইটা কি দরুদ?

১০. আল্লাহ নাকি কুরআনে বলেছেন যারা আল্লাহর ওলী তারা মৃত না জীবিত, সত্যতা জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
এ কথা ঠিক নয়।বরং দুরুদে ইবরাহিমি যেকোনো জায়গায়,যেকোনো সময় পাঠ করা যায়।এমনকি দুরুদে ইবরাহিমিই সর্বোত্তম দুরুদ।

(২)
সূরা কাউসারের প্রথম আয়াতে আমার জানা মতে নবীজী (স) কে হাউজে কাউসার দেয়ার কথা বলেছে।এটাই সঠিক।উনি যা বলেছেন,সেটা সঠিক নয়।

(৩)
যাবে না, বিষয়টা এমন নয়।তবে নামের শুরুতে মুহাম্মাদ লিখা সুন্নত বা জরুরী সেটা মনে করা বিদআত। হিন্দুস্থানের শ্রী মন্দিরের হিন্দুরা তাদের নামের পূর্বে মন্দিরের নাম শ্রী লাগিয়ে রাখত,সেই এলাকার আশপাশের মুসলমানরা তাদের নামের পূর্বে মুহাম্মদ লাগাত।সেই থেকে মুহাম্মদ নামের প্রচলন শুরু হয়।

(৪)
এটা ঠিক নয়।কেননা ঈদে মীলাদুন্নবী বিদআত।

(৫)
না,যাবে না।

(৬)
এই দুরুদ পড়া নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।তবে বিশুদ্ধ কথা হল,পড়া যাবে।তবে নবীজী যে স্বপ্নে বলেছেন,সেটা বিশুদ্ধ ভাবে প্রমাণিত নয়।

(৭)
নবীজী মারা গেছেন এইটা বলা বেয়াদবি।এমন কথা সঠিক নয়।উমর রাযি তখন স্বাভাবিক হালতে সেটা বলেননি।

(৮)
"ইয়া নবী সালমুআলাইকা, ইয়া রাসূল সালামুআলাইকা"

উক্ত শব্দে হাদীসে কোনো দুরুদ প্রমাণিত হয়নি।

(৯)
যারা শহীদ, তারা মৃত নয়,বরং জীবিত।অর্থাৎ তারা জান্নাতে সাথে সাথেই প্রবেশ করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...