বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/48756?show=48820#a48820 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে-
জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব। ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ ছেড়ে দিলে সে পশু খাওয়া
হারাম হয়ে যাবে।
কেননা, আল্লাহ
তাআলা বলেন,
وَلَا تَأْكُلُوا
مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ وَإِنَّهُ لَفِسْقٌ
যেসব জন্তুর উপর আল্লাহর নাম উচ্চারিত হয় নি, সেগুলো থেকে ভক্ষণ করো না; এ ভক্ষণ করা
গোনাহ। (সুরা আনআম-১২১)
তবে ভুলে বিসমিল্লাহ ছুটে গেলে জবাই সহীহ হয়ে যায়। ‘বিসমিল্লাহ’ ভুলে যাওয়ার
কারণে জবাইকৃত পশু-পাখি হারাম হয়ে যায় না। আল্লাহ তাআলা বলেন,
رَبَّنَا لاَ
تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা
ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে
আমাদেরকে অপরাধী করো না। (সূরা বাকারা ২৮৬)
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ
شَهِدْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم الأَضْحَى بِالْمُصَلَّى فَلَمَّا
قَضَى خُطْبَتَهُ نَزَلَ عَنْ مِنْبَرِهِ فَأُتِيَ بِكَبْشٍ فَذَبَحَهُ رَسُولُ اللَّهِ
صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ وَقَالَ " بِسْمِ اللَّهِ وَاللَّهُ أَكْبَرُ
জাবির ইবনু
আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কে কুরবানীর ঈদে প্রত্যক্ষ করেছি। তিনি খুতবা প্রদান শেষ করে মিম্বর
থেকে নেমে এলেন। একটি মেষ আনা হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
নিজের হাতে সেটিকে যবাহ করলেন। বললেন,
"বিসমিল্লাহি
আল্লাহু আকবর"। সহীহ আবূ দাউদ ২৫০১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫২১
হাদিসে এসেছে, আব্দুল্লাহ
ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
إِنَّ اللَّهَ
تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ وَالنِّسْيَانَ ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا
عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ আমার উম্মতের ভুল, বিস্মৃতি এবং বাধ্য হয়ে করা বিষয় ক্ষমা করেছেন। (ইবন মাজাহ ২০৪০)
জবেহের কাজে অংশীদার ব্যক্তির বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব। জবাইয়ে শরিক ব্যক্তি
ইচ্ছাকৃত বিসমিল্লাহ না বললে জবাইকৃত পশু হারাম হয়ে যাবে। তবে যারা পশুকে ধরাশায়ী
করার জন্য সাহায্য করে, তাদের জন্য
বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব নয়। (ফতোয়ায়ে শামি: ৯/৪৮২, জাদিদ ফিকহি মাসায়িল২/২৩৪ (কপি)
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. জবাইয়ের সময় বিসমিল্লাহ বলা ওয়াজিব। আর হাদীস
শরীফে এসেছে যে, রাসূল সা. জবাইয়ের সময় "বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবর" বলেছেন। তবে
শুধু ‘বিসমিল্লাহ’
বলে জবাই করলেও হবে। কিন্তু উত্তম হলো "বিসমিল্লাহি
আল্লাহু আকবর" বলা।
২. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে নামাজের কোনো সমস্যা হবে না, যদি ছোয়া লাগার কারণে (দৃশ্যমান) নাপাকি না
লাগে।
৩. না, সালাতের জায়গায় বা সেজদার জায়গায় ছোট বাচ্চা ঘুরা ফেরা
করাতে নামাজের কোনো সমস্যা হবে না। এমনকি নামাজ মাকরূহ হবে না।