আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
169 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, সম্মানিত শাইখ,এক বোন জানতে চেয়েছে (সমস্যার জন্য পরিচয় দিতে চায় না)

বোনটি পরিবার বোনটিকে খুবই বিয়ের প্রেশারে রাখে।অথচ বিয়ের আল্লহর হুকুম।কোন প্রপোজাল আসলেই কেন রাজি হয় না, এসব নিয়ে খুব কটাক্ষ আচরণ করে। অথচ একজনকেও চক্ষুশীতলকারী হিসেবে পায় নি(কথা,আচরণ সবকিছুতে ভাল লাগা)পছন্দ না হলে দ্বীনদারিত্ব এসব নিয়ে কঠিন আচরণ করে। মেয়েটা আইওএম এর ২২৭ ব্যাচের স্টুডেন্ট। খুব কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে সে পড়ে(১ম সেমি,অনেকটা চুরি করে পড়েছে,) এখানে অনেক কথা, অপমান সহ্য করতে হয়। সে পারিবারিকভাবে আগে সাহায্য সব ই করতো, সাম্প্রতিক সে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছে (পারিবারিক মানসিক অত্যাচারে)ডাক্তার বোনটিকে মানসিক এর জন্য মেডিসিন দেয়। বোনটি কখনোই চায় নি অনলাইনের দারস্থ হতে বিয়ের জন্য, কারন,সে পরিপূর্ণ দ্বীনদার হয়ে চলার চেষ্টা করে। এখন প্রশ্ন
১) সে বিয়ের জন্য চেষ্টা করতে গেলে (অনলাইনে বায়ো খুজা, পাঠানো, এসব)আইওএম এর পড়ার সময় মিলাতে কষ্ট হয়,অন্যদিকে বাসার কাজ না করলে মা এর এটিটিউড এমন থাকে যেন নারাজ(এমন হলে তো আল্লহ নারাজ হবে,অথচ চায়লে হেল্পিং হ্যান্ড বাসায় রাখতে পারে) এই জিনিস নিয়ে বোনটি খুন মানসিক অস্থিরতায় ভোগে,যদি দ্বীনি পড়ার জন্য মায়ের অভিশাপ লাগে, বোনটি সব কিছুই পরীক্ষার আগ করে পড়ে পরীক্ষা দেয়।  অথচ বোনটি নিজেই শারিরীক +মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত আল্লহর সাহায্য প্রার্থনা করছে।

(বলে রাখা ভাল,অই বোন আগে সংসারের সব কাজ ই মোটামুটি করতো, এখন অসুস্থ থাকায় কোনটাই ই করতে পারে না,)
এই মুহুর্তে বোনটি কি করবে?সে কি আইওম এর পড়া ছেড়ে মা কে সাহায্য করবে?বিয়ের  জন্য চেষ্টা করবে?প্লিজ সে খুব নসীহত চেয়েছে। আইওম এর কোন একজন উস্তাদ এর সাথে এই ব্যাপারে মাশোয়ারা চেয়েছে।

সে আরো চেয়েছে আপনাদের কাছে খুব করে দুয়া।
আফওয়ান, আমার লেখায় ভুল থাকলে।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...