আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
293 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
হুজুর,

বেশ কয়েকমাস যাবত আমি খুবই হতাশাগ্রস্ত শায়েখ। তালাকের ওয়াসওয়াসা আমাকে এতটাই কাবু করে ফেলেছে যে, সবসময় তালাক, তালাক বাক্যটি মনের ভিতর ঘুরতে থাকে। কোন সময় উচ্চারণ করে ফেলছি কিনা সেটা বুঝতে পারছি না। মনের ভিতর একটা ভয় কাজ করে সবসময়। কোন কিছুতেই শান্তি পায় না। কিছুদিন ভাল থাকলেও আবার সমস্যা ফেস করি। ওয়াইফ এর সাথে কথা স্বাভাবিক কথা বলতে গেলেও মনের ভিতর তালাক বাক্য চলে আসে। তালাক দিতে চায় না তবুও মনে চলে আসছে তালাক দিয়ে দেবো। অনেক সময় মনে মনে তালাক বললেও উচ্চারণ করে ফেলেছি ভেবে কষ্ট পেতে থাকি। আবার কিছু কিছু সময় তালাক শব্দ উচ্চারণ করে ফেলি সম্ভবত। স্বাভাবিকভাবে তালাক দেবার কোন ইচ্ছা নেই। কিন্তুু আমার মনে তালাকের ওয়াসওয়াসা সবসময় আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। যার দরুন আমি কোন কাজে ফোকাস করতে পারছি না।  ওয়াইফ কল করলে মনে হচ্ছে তালাক দিয়ে দেবো।বিশেষ করে নামাজের ভিতরে, খাওয়ার সময়, গোছলের সময় মনে হচ্ছে তালাক উচ্চারন করে ফেলছি। এই মানসিক কষ্ট আর নিতে পারছি না হুজুর। এসব ভাবলে বুকের ভিতর জ্বালা করে ও বুক ধড়ফড় করে। কোন কিছুতেই ভাল লাগে না আর। মানসিক ডাক্তার এর পরামর্শ মত ঔষধ খেলাম কিন্তুু শুধু বুক ধড়ফড় কম হলেও মনের এসব চিন্তা ভাবনা আসা ঠিক হয়নি।

(১) বর্তমানে আমার ওয়াইফ তার বাবার বাসায় আছে। তার আগামি শুক্রবার আসার কথা। কিন্তুু আমি তাকে ফোনে বৃহস্পতিবার আসতে বললাম। সে শুনে বললো যে, আমি বৃহস্পতিবার কিভাবে যাবো? আমার ভাই শুক্রবার রেখে আসবে, তাছাড়া আমার জামা বানাতে দেয়া আছে তা শুক্রবার সকালে দেবে। আমি শুনে ধীর গলায় বললাম যে, দেখো যা ভাল বোঝো তাই করো। যখন আমি একথা বললাম তখনি আমার মনে হল এটাতো কেনায়া শব্দ। এবং আমার মনে তালাক চলে এসেছে। তারপর আমার ওয়াইফ বললো ভিডিও কল দাও, তোমার মেয়ে দেখবে। আমি কল কেটে দিলাম আমার সাথে আমার বন্ধু ছিল তাই।
এতে কি তালাক হবে হুজুর?

(২) মুখ দিয়ে কোন শব্দ বের হলেই তালাক বলে ফেললাম কিনা কনফিউশনে পড়ে যাচ্ছি।
আজ দুপুরে কম্পিউটারে একটা ভিডিও দেখার সময় হালকা হাসি আসলে হাসির সাথে মনে হলো তালাক উচ্চারন করে ফেললাম।
এতে কি তালাক হবে হুজুর?

1 Answer

0 votes
by (587,340 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আপনাকে বলবো দয়াকরে আপনি এই তালাকের ওয়াসওয়াসাকে পরিহার করুন। কিভাবে পরিহার করবেন,সেটা হল, যখনই মনে এরকম ওয়াসওয়াসা আসবে, সাথে সাথেই মনকে বলবেন, আমি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রোগী, তাই আমার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুমে শীতিলতা রয়েছে।আমি অন্য দশজনের মত নই। কেননা ওয়াসওয়াসা রোগি কাউকে হত্যা করলেও শরীয়তের দৃষ্টিতে কেসাস আসেনা।ওয়াসওয়াসার রোগী সারাদিন কুফরি বাক্য উচ্ছারণ করলেও সে কাফির হয়না।বরং তার ঈমান বহাল থাকে।

যদি ওয়াসওয়াসা থেকে আপনি বের না হন,তাহলে আপনার ভবিষ্যত আপনি নিজেই নষ্ট করবেন।ওয়াসওয়াসা থেকে বের হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হল, এই চিন্তাকে পরিহার করে ভিন্ন চিন্তা গ্রহণ করা,লোকদের সাথে হাশিখুশিতে থাকা।

ইবনে হাজার হাইতামি রাহ এ সম্পর্কে বলেন,
( وسئل نفع الله به عن داء الوسوسة هل له دواء ؟
فأجاب بقوله : له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان - فإنه متى لم يلتفت لذلك لم يثبت بل يذهب بعد زمن قليل كما جرب ذلك الموفقون) (الفتاوى الفقهية الكبرى 1/149)
মর্মার্থ - পরিপূর্ণ ভাবে এই চিন্তাকে পরিহার করার চেষ্টা করাই এর সর্বোত্তম চিকিৎসা।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনাকে বলবো, আপনি প্রথসে অটিসি রোগের চিকিৎসা গ্রহণ করবেন।তারপর একজন নেককার লোকের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলবেন। নেককার লোকের সাথে সদা সর্বদা সম্পর্ক রাখবেন।সম্ভব হলে তাবলীগে সময় লাগাবেন।আল্লাহ আপনার সকল বিষয়কে আসান করে দিক।আমীন।

তালাকের ভয়কে জয় করুন। এরকম ওয়াসওয়াসার দ্বারা তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...