আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
145 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম
১.হুজুর স্বামীর যদি কেনায়া তালাক সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকে সে শুধু জানে তালাক স্পষ্ট উচ্চারন করলে তালাক হয় আর তার স্ত্রীকে তালাক করার কোনো নিয়ত নাই তাই সে কোনোদিনও তালাক উচ্চারন করে না  তবে একদিন মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে(স্ত্রী ও জানত না কেনায়া তালাক সম্পর্কে) স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া রাগ ও বিরক্ত হয়ে যাও মুক্তি দিছি বলে কারন মুক্ত বলার দ্বারা ও যে তালাক সম্ভব তা তিনি জানতেন না তাহলে কী দিয়ানাতান তালাক হবে
তার স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার কোনো নিয়ত নাই সে যদি জানত এ ধরনের কথা দ্বারা তালাক হয় তাহলে সে কোনোদিন ও এটা বলত না আল্লাহ কসম আর এটা বলার সময় তার কেনায়া তালাক মুযাকারয়ে তালাক সম্পর্ক কোনো জ্ঞান ছিল না আল্লাহ তো অসীম দয়ালু আমার স্বামী আল্লাহর কাছে প্রতিনিয়ত দোয়া করে যেন পরিস্থিতি যাইহোক তার মুখ দিয়ে যেন তালাক শব্দ বের না হয় আল্লাহ তো আল খাবীরু তিনি তো তার বান্দার নিয়ত সম্পর্কে জানেন দয়া করে জানাবেন মুক্তি দিছি বলার দ্বারা কি দিয়ানাতান তালাক হবে কিনা

https://ifatwa.info/24050/

এই লিংকে স্পষ্ট লিখা আছে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্র হলে কাযাআন তালাক হবে কিন্তু দিয়ানাতান তালাক হবেনা

২. আর এ ব্যাপারে স্বামী স্ত্রী দুজনেরই যথেষ্ট  সন্দেহ রয়েছে স্ত্রী ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত সে  এটা স্বামীকে বারবার জিজ্ঞেস করছে তখন বলসে এটা বলি নি কিন্তু পরে বলে তুমি বারবার জিজ্ঞেস করার কারনে এখন আমার মনে হচ্ছে মনে হয় একবার বলেছিলাম
দয়া করে ২টা পয়েন্টের উত্তর দিবেন আমি ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত  আমার জন্য এতে সুবিধা হবে

1 Answer

0 votes
by (714,240 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
প্রশ্ন জাগে,মুযাকারায়ে তালাক কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)
মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1049


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনি উপরে দেখেছেন, মুযাকারায়ে তালাক কাকে বলে, ঝগড়ার মূহুর্ত মুযাকারায়ে তালাকের মুহূর্ত নয়। সুতরাং বিষয়টা ঝগড়ার মুহূর্তের। আর ঝগড়ার মুহূর্তে তালাকের নিয়ত ব্যতিত তালাক হয়না। যেহেতু স্বামী কেনায়া তালাক সম্পর্কে জানতো না। স্বামীর বিশ্বাসে ছিলো যে, স্পষ্ট তালাক বললেই শুধুমাত্র তালাক হয়, তাই প্রশ্নের বিবরণমতে কোনো তালাকই পতিত হবে না।


(২)
"আর এ ব্যাপারে স্বামী স্ত্রী দুজনেরই যথেষ্ট  সন্দেহ রয়েছে, স্ত্রী ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত সে এটা স্বামীকে বারবার জিজ্ঞেস করছে তখন বলসে এটা বলেনি কিন্তু পরে বলে তুমি বারবার জিজ্ঞেস করার কারনে এখন আমার মনে হচ্ছে মনে হয় একবার বলেছিলাম"

এভাবে ওয়াসওয়াসা দ্বারা তালাক হয়না। কেননা ওয়াসওয়াসাগ্রস্ত ব্যক্তির তালাক কুফরী কোনো কিছুই শরীয়তে গ্রহণযোগ্য হয় না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...