আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
228 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ,

১. এক ভাইকে দেখলাম প্রশ্ন করতে আল্লাহ হাফেজ কি কেনায়া শব্দ কিনা?  উনার প্রশ্ন টা দেখার পর থেকে একটু আগেও কথা বলার সময় এই রকম হল আমার সাথে। সাধারণ কথাবার্তা শেষ করে ফোন রাখার সময় বলি " আচ্ছা ঠিকাছে বাসায় গিয়ে জানাবো এখন রাখি, আল্লাহ হাফেজ "বলার পর অটোমেটিক তা** চিন্তা চলে আসছে কিন্তু আল্লাহ হাফেজ বলার উদ্দেশ্যে ছিলো বিদায়ের জন্য আসলে এর অর্থ আমিও জানিনা। চিন্তা আসার সাথে সাথে আমিও না সূচক মাথা নাড়াতে থাকি যেন নিয়ত না আসে । এখন টেনশন হচ্ছে কেনায়া হয়ে যাবে কি যেহেতু এটা সাধারণত বিদায় বেলায় আমাদের দেশে বলা হয়? আমরা হাসিখুশিই কথা বলছিলাম । দীর্ঘদিন যে টেনশনে ছিলাম আপনাদের গত প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার আমি অনেক খুশি হয়ে গিয়েছিলাম যে হাসিখুশি ছিলাম তা নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। এটা কি কেনায়া শব্দ একটু জানাবেন। আর কেনায়া শব্দ গুলো কি কি যদি একটু বলে দিতেন তাহলে ভবিষ্যতে আরো সাবধান হতে পারতাম।

২.

 আমার প্রচন্ড পরিমাণে ওয়াস ওয়াসা আগে যে প্রশ্ন করেছিলাম সেখানে বলেছিলাম।সারাক্ষণ মনে তা*** চিন্তা চলতে থাকে। ঠোট নাড়ানো বিষয়ে অনেক সন্দেহ কিছতেই বের হতে পারছিনা এর থেকে। জিহবা নড়ে সাধারণ কারনে কিন্তু মনে তা*** চিন্তা থাকলে মনে হয় এই কারনেই নড়লো।  তবে ঠোট নড়ে নি এবং নিজ কানেও শুনিনা। যেহেতু ঠোট নড়েনি এবং নিজ কানেও শুনিনি এতটুকু হলেই কি নিশ্চিত থাকতে পারবো।এটা প্রায়ই ঘটে থাকে। সিউর হয়ে ঊঠতে পারিনা । সন্দেহ থেকে যায়। সকাল থেকে এই পর্যন্ত মুখ খুললেই এই সন্দেহ হচ্ছে ভয়ে মুখ খুলতে পারিনা  । তবে  ১০০ পারসেন্ট সিউর কানে না শুনার ব্যাপারে । এইরকম হলে কোন সমস্যা হবে কিনা জানাবেন ? আর এর থেকে বের হবার উপায় জানাবেন প্লিজ । খুব মানসিক যন্ত্রনায় আছি।

 আমার আপাতত এই দুটি প্রশ্নের উত্তর পজিটিভ হলে বিশ্বাস করেন আমার খুশির সীমা থাকবেনা। আমার প্রচন্ড ওয়াস ওয়াসা দীর্ঘদিন ধরে । আমার দিক গুলো বিবেচনা করে জানাবেন একটু।

মাসয়ালা পড়ার পড় থেকে অন্যের সমস্যা গুলো নিজের সমস্যায় পরিনত হচ্ছে দিন দিন । এক্ষেত্রে পরামর্শ দিবেন দয়া করে।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
গ্রহণযোগ্য ফেকহি কিতাব "ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া) তে বর্ণিত রয়েছে,
لَا يَقَعُ بِهَا الطَّلَاقُ إلَّا بِالنِّيَّةِ أَوْ بِدَلَالَةِ حَالٍ كَذَا فِي الْجَوْهَرَةِ النَّيِّرَةِ. ثُمَّ الْكِنَايَاتُ ثَلَاثَةُ أَقْسَامٍ (مَا يَصْلُحُ جَوَابًا لَا غَيْرُ) أَمْرُك بِيَدِك، اخْتَارِي، اعْتَدِّي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَرَدَّا لَا غَيْرُ) اُخْرُجِي اذْهَبِي اُعْزُبِي قُومِي تَقَنَّعِي اسْتَتِرِي تَخَمَّرِي (وَمَا يَصْلُحُ جَوَابًا وَشَتْمًا) خَلِيَّةٌ بَرِيَّةٌ بَتَّةٌ بَتْلَةٌ بَائِنٌ حَرَامٌ
কেনায়া শব্দাবলী দ্বারা নিয়ত ব্যতীত বা তালাকের ব্যাপারে ইশরা ইঙ্গিত ব্যতীত তালাক পতিত হয় না।কেনায়া তালাক তিন প্রকার যথাঃ-
(১)
যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না।যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো। (২) যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক হওয়া এবং না হওয়া উভয়টি বুঝায়।যেমন,তুমু বের হও,তুমি চলে যাও,তুমি আমার কওম থেকে দূরে চলে চাও,তুমি নেকাব পরিধান করো,তুমি পর্দার আড়ালে চলে যাও,তুমি উড়না পরিধান করো। (৩) যা তালাক এবং গালির উভয়টির সম্ভাবনা রাখে। হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1049

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
"আল্লাহ হাফেয"

এই কথা সরিহ তালাকের শব্দও নয় এবং কেনায়া তালাকের শব্দও নয়।সুতরাং এসব শব্দ দ্বারা তালাক হবে না। তালাকের নিয়তে বললেও তালাক হবে না।

(২)
এই সব ওয়সওয়াসার দ্বারা তালাক হবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (14 points)
edited by
আলহামদুলিল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ , আলহামদুলিল্লাহ। সারাদিন আপনার উত্তরের আশায় ছিলাম। আপনার উত্তর শুনে বিশ্বাস করেন আমার যে কেমন লাগছে আপনাকে বলে বুঝাতে পারবোনা । মন থেকে দোয়া চলে আসে । আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুক।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...