বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
আপনার যে ওয়াসওয়াসার রোগ রয়েছে, চাকুরী করতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে এই ওয়াসওয়াসার দরুন বিশেষ প্রভাব পড়লে তারা রোগ বা দোষ এর বিষয় জানতে চাইলে এই রোগটি গোপন করা আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।
কেননা এটি ধোকার অন্তর্ভুক্ত হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি চাকুরী করতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে এই ওয়াসওয়াসার দরুন যেহেতু খুব বেশি প্রভাব পড়বেনা,হালকা প্রভাব পড়তে পারে।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি এই দোষ গোপন রেখে চাকুরী ও বিবাহ করতে পারেন।
(০২)
ক,
যদি সেই ছিটা পানির পরিমাণ এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে পরিধানকৃত কাপড়টি নাপাক হয়ে যাবে।
যদি এক দিরহাম থেকে কম লাগে,সেক্ষেত্রে সেটি মাফ।
খ,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি কাজ করলে আপনার শরীর পাক হবে।
(০৩)
মগের হাতল বালতির পানিতে যেনো না ডুবে যায়,সেদিকে সচেষ্ট থাকলেই প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো সমস্যা হবেনা।
বালতির পানিতে হাতলের পানি না পড়ার জন্য আপনি মগের সম্মুখভাগ বালতির পানিতে ডুবিয়ে পানি নিবেন,হাতল যেনো না ডুবে।
প্রয়োজনে কাছে ছোট বালতি রাখবেন,যাতে মগের প্রয়োজন না হয়।
ঐ ছোট বালতি তে শুরু থেকে বড় বালতি হতে পানি নিয়ে পূর্ণ করবেন।
তারপর ওই ছোট বালতি হালকা উপুর করে পানি নিয়ে নাপাক কাপড় ধৌত করবেন।
,
চেষ্টা চালিয়ে যাবেন,ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।