আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
205 views
in পবিত্রতা (Purity) by (33 points)
edited by

অামার যে ওয়াসওয়াস রোগ অাছে ও ফোটায় ফোটায় প্রসাব লিক হয় কিন্তু প্রসাব লিক হয় অামার মতে ওয়াসওয়াস এর জন্য। এই রোগ গোপন রেখে কোন চাকরি নিলে ও বিয়ে করলে। চাকরির বেতন কি হালাল হবে ও বিয়ে হালাল হবে।
কারণ দেখা যাবে হালকা হলেও এর প্রভাব পড়বে জীবণ ও কর্মক্ষেএে। অার সবাই একদম ফিট লোক চায়। অার এই প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে যদি এর কথা বলি তবে ত অামাকে চাকরি হয়ত পাব অাবার অনেকে দিবেও না। অনেকে করুণা করবে, অনেকে দেখে নাক ছিটকাবে।


 নাপাক কাপড় যাতে ৪-৫ ফোটা প্রসাব বা অদৃশ্য নাপাক লাগার ফলে নাপাক হয় সে নাপাক কাপড় ধোয়ার সময় যদি ২-৪ ফোটা পানির ছিটা পরণে পাক কাপড়ে লাগে তবে কি পরণে কাপড় নাপাক হয়ে যায়।

অাবার অনেক সময় দেখা যায় এই ধরণের কাপড় যাতে ৪-৫ ফোটা নাপাক লাগে। তা পড়ে গোসল করার অাগে কাপড় পড়া অবস্থায় কাপড়ের উপর হালকা পানি প্রবাহিত করি যার ফলে পানি টাউজারের বিভিন্ন অংশ বেয়ে বেয়ে নিচে পড়ে পানি। তারপর এই টাউজার পড়ে গোসল করি।এখন এই টাউজার পড়ে গোসল করার ফলে কি গোসল হবে।
অার না হলে যদি এই কাপড় পড়ে গোসল করি তারপর গা মোছার অাগে নাভির নিচ থেকে নিয়ে একবার মোটামুটি ভাবে ২-৩ মগ পানি দিয়ে ধুয়ে নেই তবে কি পাক হব।


অাপনি বলছেন নাপাক কাপড় ধোয়া অবস্থায় হাতে লেগে থাকা সাবান মিশ্রিত পানি  বালতির পানিতে পড়লে নাপাক হয়ে যায় কিন্তু এটা এড়ানো ত কঠিন

 অার কাপড়ে পানি ঢালার সময় ও ত মগে পানির লাগে যা এড়ানো খুব খুব খুব কঠিন  ।

  মগ দিয়ে বালতি থেকে পানি নিতে গেলে ত কাপড় ধোয়ার সময় যে পানি হাতে লেগেছে তার কয়েক ফোটা পড়েই অনেক সময়।
সমস্ত পানি ফেলে দিলে ত অপচয় এর ভয় ও থাকে। এটা র ক্ষেএে এখন কি করব। অামার ত পবিএ হতে গিয়ে এখন ভয় লাগে অার অনেক সময় লাগে,অার পানি ও বেশি লাগে। ( অামার ঘরে ট্যংকি নেই তাই এভাবেই কাপড় ধুতে হবে অন্য উপায় নেই অামার জানামতে।)

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
আপনার যে ওয়াসওয়াসার রোগ রয়েছে, চাকুরী  করতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে এই ওয়াসওয়াসার দরুন বিশেষ প্রভাব পড়লে তারা রোগ বা দোষ এর বিষয় জানতে চাইলে এই রোগটি গোপন করা আপনার জন্য জায়েজ হবেনা।

কেননা এটি ধোকার অন্তর্ভুক্ত হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি চাকুরী  করতে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে এই ওয়াসওয়াসার দরুন যেহেতু খুব বেশি প্রভাব পড়বেনা,হালকা প্রভাব পড়তে পারে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি এই দোষ গোপন রেখে চাকুরী ও বিবাহ করতে পারেন।

(০২)
ক,
যদি সেই ছিটা পানির পরিমাণ এক দিরহাম সমপরিমাণ বা তার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে পরিধানকৃত কাপড়টি নাপাক হয়ে যাবে।

যদি এক দিরহাম থেকে কম লাগে,সেক্ষেত্রে সেটি মাফ।

খ,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি কাজ করলে আপনার শরীর পাক হবে।

(০৩)
মগের হাতল বালতির পানিতে যেনো না ডুবে যায়,সেদিকে সচেষ্ট থাকলেই প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো সমস্যা হবেনা।

বালতির পানিতে হাতলের পানি না পড়ার জন্য আপনি মগের সম্মুখভাগ বালতির পানিতে ডুবিয়ে পানি নিবেন,হাতল যেনো না ডুবে। 

প্রয়োজনে কাছে ছোট বালতি রাখবেন,যাতে মগের প্রয়োজন না হয়।
ঐ ছোট বালতি তে শুরু থেকে বড় বালতি হতে পানি নিয়ে পূর্ণ করবেন।
তারপর ওই ছোট বালতি হালকা উপুর করে পানি নিয়ে নাপাক কাপড় ধৌত করবেন।
,
চেষ্টা চালিয়ে যাবেন,ইনশাআল্লাহ সমাধান মিলবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 145 views
...