আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
127 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

১।একটা মেয়েকে স্বামী তালাকের পাওয়ার দিছে।তহ সে হেসে হেসে মেয়ে ওটা ওর ভাইকে বান্ধবীর ব্রেকআপের কথা বলতেছিল।বান্ধবীর ব্রেকআপের কথাকে সে হেসে ভুলে বেরেকআপ বলে ফেলেছিল।তহ মেয়েটা নিজের কথার ভুল বুঝতে পেরে হেসে বলতেছে বেরেকআপ ।মানে এটা বুঝাতে চাচ্ছে কথাটা ভুল বলেছে,সবার সাথে হেসে।লাস্টের কথাটা দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে?সে এটা তালাকের উদ্দ্যশ্যে বলে নি।

২।মেয়েটার খালাত ভাই ওর ছোট।তহ ভাই বলতেছে আজকাল কেউ লয়াল নাই প্রেমের ক্ষেত্রে।মেয়েটা বলে আমাকে পাবি যে।মানে এটা বুঝাইছে ও নিজে লয়াল।কিন্তুু সে খারাপ উদ্দ্যশ্যে বলে নি।ওর স্বামীকে ও ভালবেসে বিয়ে করেছে কোনদিন ঠকাই নি সেটা বুঝাতে চেয়েছে।এটার দ্বারা কি কোন সমস্যা হবে? মানে কথা গুলো সে তালাকের উদ্দ্যশ্যে বলে নি।

৩।ধরেন স্বামী স্ত্রী ফোনে কথা বলতেছে বা মেসেজে।কোন মেয়ে যদি স্বামীর দিকে ইন্গিত করে তালাক বলে আর স্বামী যদি ঠিক আছে বলে তাহলে কি তালাক হয়?এটা এমনিতে জানার জন্য।ধরেন মেয়েটাকে  মুখে পাওয়ার দিলেও মেয়েটা আর স্বামীটা জানে না মেয়রা এই ক্ষমতা পায় ইসলামে।ধরেন শুনেও নি এমন কোন কথা।।তহ মেয়েটা ধরেন স্বামীর দিকে ইন্গিত করে বলেছে কিন্তুু ইন্গিতটা ধরেন মনে মনে করেছে।প্রশ্নটা মনে হয় আগেও করেছি।কিন্তুু তালাক হবে না বলেছিলেন মনে হয়।দয়া করে একটু বলবেন।স্বামীও ধরেন এমনিতে ঠিক আছে বলেছে ছেড়ে দেওয়ার নিয়তে না।

৪।আমার স্বামী আমাকে পাওয়ার দিছে  কিন্তু প্রশ্ন গুলো আমি অন্য জনের দিকে ইন্গিত করে করেছি।মাসআলা জানার জন্য।এতে আমার বৈববাহিক সম্পর্কে কি কোন সমস্যা হবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


তালাক খুবই মারাত্মক এক বিষয় । নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

তালাকের উদ্দেশ্য ছাড়া শুধু তালাক শব্দ উচ্চারণ করলে বা লিখলেও তালাক হয় না। কেননা, ফকিহগণ বলেছেন,

يشترط بالاتفاق القصد فى الطلاق، وهو إرادة التلفظ به ولو لم ينو فلا يقع طلاق فقيه يكره ولا طلاق حاك عن نفسه أو غيره لأنه لام يقصد معناه، بل قصد التعليم والحكاية، (الفقه الاسلام وادلته، كتاب الطلاق، باب شروط الطلاق-7/368)
সারমর্মঃ  
সকলের মতে তালাকের ইচ্ছা থাকতে হবে। আর তাহল, (তালাকের উদ্দেশ্যে) ইচ্ছাকৃতভাবে তালাক শব্দ উচ্চারণ করা। (আল ফিকহুল ইসলামী ওয়া আদিল্লাতুহু ৭/৩৬৮)

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো সমস্যা হবেনা।
শেষ কথাটি দ্বারাও কোনো সমস্যা হবেনা।

(০২)
এটার দ্বারাও কোন সমস্যা হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৪)
এতে আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে  কোন সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...