ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)আমর বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার ফরযে কেফায়া এর অন্তর্ভুক্ত।
(২)জেনারেল লাইন এর শিক্ষার্থীদের জন্য নাস্তিক, ইসলাম্বিদ্বেষী দের সাথে যুক্তি তর্কের মাধ্যমে তাদের মতবাদ দমন করে কিংবা তাদের দমন করার চেষ্টা করা ফরযে কেফায়। এটাও কি আমর বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার এর অন্তর্ভুক্ত। কিছু সংখ্যকের উপর ফরয।কেউ আদায় না করলে সবাই গোনাহগার হবে।
(৩)প্রতিবাদ করাও আমর বিল মারুফ অয়া নাহি আনিল মুনকার এর শামিল।
(৪)একজন মুসলিম কিন্তু চিন্তা ধারায় কিছু সমস্যা আর একজন স্বঘোষিত ইসলাম্বিদ্বেষী দুজনের ক্ষেত্রে যুক্তি তর্ক প্রদর্শন করার ভঙ্গি একই রকম হবে না।বরং মুসলিমের প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন মূলক দাওয়াত দেয়াই তারজন্য কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
(৫)আমির বিল মারুফ ওয়া নাহি আনিল মুনকার এর কারণে মুসলিম পরস্পর মনোমালিন্যতার সম্ভাবনা দেখা দিলে কিংবা বিভক্তি সৃষ্টির আশংকা দেখা দিলে, কিংবা এক মুসলিম কর্তৃক আরেক মুসলিম এর কষ্ট পাবার আসংকা থাকলে তখন আমর বিল মা'রুফ করতে হবে।
(৬)অনেকেই চেহারা খোলা রাখেন কিন্তু মাথায় কাপড় দেন পর্দার উদ্দেশ্য নিয়ে। তাদের অবশ্যই গুনাহ হবে।
(৭)অনেকেই আছেন মেক আপ ও করেন আবার মাথায় ও কাপড় দেন কিন্তু মেক আপ অন্য পর পুরুষ কে আকৃষ্ট করার উদ্দেশ্যে নয় বরং নিজে কে গোছালো বা সুন্দর বা পরিপাটি রাখার উদ্দেশ্যে। যদি তিনি সর্বদা পর পুরুষের আড়ালে থাকেন, তাহলো তার কোন্র গুনাহ হবে না।
(৮)
জেনারেল লাইন শিক্ষিতরা এই লাইম এ এসেছে তাদের পিতা মাতার এর জন্য এবং দ্বীন এর জ্ঞান এর অভাব এটাও পরিবেশ পরিস্থতির জন্য। সুতরাং জেনারেল লাইনের শিক্ষার্থীরা আল্লাহ এর সন্তুষ্টির জন্য দ্বীন শিখবে, দ্বীনের উপর আ'মল করবে। সর্বদা নেককার মানুষের সাথে উঠাবসা করবে।
(৯)
জেনারেল লাইনের শিক্ষার্থীরা জেনারেল লাইনে থেকেই প্রথমে নিজের আমলকে সংশোধন করবে, তারপর অন্যকে যথাসম্ভব দাওয়াত দেয়ার চেষ্টা করবে।
(১০)জ্বী, আপনি আপনার চেয়ে বেশি নেক্কার স্ত্রী চাইতে পারবেন।
জাযাকাল্লাহু খইরন।