জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক তালাক দিলে ইদ্দতের মাঝে ফিরিয়ে নিলে আর ২ তালাক থাকবে।
স্বামী পরবর্তীতে আর দুই তালাক দিলেই তিন তালাক পতিত হয়ে যাবে।
সুরা বাকারার ২২৯ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-
الطَّلَاقُ مَرَّتَانِ فَإِمْسَاكٌ بِمَعْرُوفٍ أَوْ تَسْرِيحٌ بِإِحْسَانٍ وَلَا يَحِلُّ لَكُمْ أَنْ تَأْخُذُوا مِمَّا آَتَيْتُمُوهُنَّ شَيْئًا إِلَّا أَنْ يَخَافَا أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا فِيمَا افْتَدَتْ بِهِ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَعْتَدُوهَا وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودَ اللَّهِ فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ (229)
"এ তালাক দু'বার, অতঃপর স্ত্রীকে হয় বিধিসম্মতভাবে রাখবে অথবা সদয়ভাবে বিদায় দেবে। আর স্ত্রীকে দেয়া কোন কিছু ফেরৎ নেয়া তোমাদের পক্ষে উচিত নয়। তবে যদি তাদের উভয়ের আশংকা হয় যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না এবং তোমরা যদি আশংকা কর যে তারা আল্লাহর সীমারেখা রক্ষা করে চলতে পারবে না, তবে (সে অবস্থায়) স্ত্রী কোন কিছুর বিনিময়ে (স্বামী থেকে) নিষ্কৃতি পেতে চাইলে তাতে (স্বামী-স্ত্রীর) কারো কোনো পাপ নেই। এসব আল্লাহর সীমারেখা। কাজেই তা লংঘন কর না। যারা আল্লাহর (নির্দিষ্ট) সীমারেখা লংঘন করে তারাই অত্যাচারী।" (২:২২৯)
(০২)
স্ত্রী উক্ত কাজ করলে এক তালাক পতিত হয়ে যাবে।
স্ত্রীকে এক্ষেত্রে ইদ্দত পালন করতে হবে।
ইদ্দত পালন শেষে উক্ত মহিলা অন্যত্রে বিবাহ বসতে পারবে।
উক্ত তালাকের পর যদি স্বামী তাৎক্ষনিক ফিরিয়ে নিতে চায়,সেক্ষেত্রে ইদ্দত জরুরি নয়।
তাৎক্ষনিক ফিরিয়ে নিলে তারা আবারো ঘর সংসার করতে পারবে।
ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পরে ফিরিয়ে নিতে চাইলে নতুন করে বিবাহ পড়িয়ে নিতে হবে।
(০৩)
প্রশ্নের বিবরন মতে তালাকের নিয়ত থাকায় এতে তালাক হবে।
(০৪)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত ইমাম সাহেব যদি সব সময় আসলেই বড় হা এর স্থানে ছোট হা উচ্চারণ করে,সেক্ষেত্রে যদি নামাজ ফাসেদ হয়ে যাওয়ার মতো অর্থ বিকৃত হয়ে যায়,তাহলে তার পিছনে
আরো জানুনঃ-