জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
হস্তমৈথুন কারীর জন্য আখেরাতে কঠিন শাস্তি রয়েছে।
হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” سَبْعَةٌ لَا يَنْظُرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يُزَكِّيهِمْ، وَلَا يَجْمَعُهُمْ مَعَ الْعَالَمِينَ، يُدْخِلُهُمُ النَّارَ أَوَّلَ الدَّاخِلِينَ إِلَّا أَنْ يَتُوبُوا، إِلَّا أَنْ يَتُوبُوا، إِلَّا أَنْ يَتُوبُوا، فَمَنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ النَّاكِحُ يَدَهُ، وَالْفَاعِلُ وَالْمَفْعُولُ بِهِ، وَالْمُدْمِنُ بِالْخَمْرِ، وَالضَّارِبُ أَبَوَيْهِ حَتَّى يَسْتَغِيثَا، وَالْمُؤْذِي جِيرَانَهُ حَتَّى يَلْعَنُوهُ، وَالنَّاكِحُ حَلِيلَةَ جَارِهِ “
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: সাত প্রকার ব্যক্তি, যাদের দিকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকাবেন না। তাদেরকে পবিত্র করবেন না। তাদেরকে অন্যদের সাথে একত্রিত করবেন না। তাদেরকেই সর্বপ্রথম জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। তবে যদি তওবা করে তাহলে ভিন্ন কথা। তবে যদি তওবা করে, তাহলে ভিন্ন কথা। যদি তওবা করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাদের তওবা কবুল করবেন। সেসব লোক হল, হস্তমৈথুনকারী, সমকামী, মদে অভ্যস্ত,পিতা মাতাকে প্রহারকারী, অথচ তারা তার কাছে সাহায্যপ্রার্থী, প্রতিবেশীকে নিপিড়নকারী যখন তার উপর অভিশাপ করে,প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে পরকিয়াকারী। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৫০৮৭]
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: يَجِيءُ النَّاكِحُ يَدَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَدُهُ حُبْلَى
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ বলেন, কিয়ামতের ময়দানে হস্তমৈথুনকারী এমনভাবে উঠবে যে, তার হাত গর্ভবতী থাকবে। [শুয়াবুল ঈমান, বর্ণনা নং-৫০৮৭]
(০২)
হ্যাঁ উপরে বর্ণিত আখেরাতে হস্তমৈথুনের শাস্তি ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য একই হবে।
(০৩)
মেয়েদের ক্ষেত্রেও গুনাহ হবে।
শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ কাজ করাও মেয়েদেরও গুনাহ হবে।
(০৪)
জী,উপরে এ সংক্রান্ত দলিল দেয়া হয়েছে।
(০৫)
লাগাতার রোযা রাখতে হবে।
এতেও কাজ না হলে কাহারো মাধ্যমে হোক বা নিজে নিজেই হোক,স্পষ্ট আকারে নিজের বিবাহের প্রয়োজনীয়তা অভিভাবকদের বুঝাতে হবে।
(০৬)
বালেগাহ মেয়ে সন্তান হলে যদি সেই মেয়ে সন্তানের বিবাহের চেষ্টা যদি বাবা না করে, তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অবশ্যই এতে বাবার গুনাহ হবে।
আর ছেলে সন্তান হলে বিবাহের সামর্থ্য যদি সেই ছেলে সন্তানের থাকে,তারপরেও বাবা যদি তাকে বিবাহ করতে না দেয় শুধু সেক্ষেত্রে বাবা গুনাহগার হবে।
আর যদি ছেলে সন্তান বিবাহের সামর্থ্য না রাখে,তাহলে এতে বাবা বিবাহ না দিলে বাবার গুনাহ হবেনা।