আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
622 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (16 points)
হুশ আপ এপ্সে মাঝেমধ্যে প্রাক্টিসিং বোনদের থেকে এমন প্রশ্ন আসে অনেক বোন হস্তমৈথুনে লিপ্ত। তারা কোনোরকম অশ্লীল ছবি,গান,ভিডিও,লেখালেখি দেখেন না বা পড়েন না তারপরও এতবেশি উত্তেজিত হয়ে যান যে উত্তেজনা চেপে রাখতে না পেরে নফসের ধোঁকায় হস্তমৈথুন করে ফেলেন। পরিবার তাদেরকে বিবাহ দিতে তৎপর না এমতাবস্থায় উত্তেজনা কনট্রোল করতে না পেরে ফাহেশা কাজ করে ফেলেন পরে আবার অনুশোচনা জাগ্রত হয়।
১. হস্তমৈথুনের শাস্তি কী?

২. আখিরাতে ছেলে মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে এই গোপন গুনাহের শাস্তির বিধান কি একইরকম হবে? তাহলে তা কেমন শাস্তি?

৩. অনেকের লজিক এমন যে ছেলেদের ক্ষেত্রে বীর্য নষ্ট করার গুনাহ কিন্তু মেয়েদের তো এমন না তাহলে গুনাহ হবে কি?

৪. আন নিকাহু বিল ইয়াদী বা আঙুলের সাথে বিবাহ বলে একটা লেখা পড়েছিলাম, সেখানে এমন ছিলো যে হস্তমৈথুনের শাস্তি হলে বিচার দিবসে আঙুলের পেট(মধ্যভাগের ফাঁপা অংশ) থেকে বাচ্চা টেনে বের করা হবে। এটা কতটা গ্রহণযোগ্য? এরকম কোনো কওল আছে? শরঈ দলীল আছে?

৫. উত্তেজনা কমাতে রোজা রেখেও অনেকের কাজ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে আর কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে? যেহেতু বিয়ে হচ্ছে না/দিচ্ছে না। এ-সব বোনেরা কীভাবে কনট্রোল করবে নিজেকে?

৬. পিতামাতার কি গুনাহ/সাজা হবে সন্তানের এসব গুনাহের কারণে?

1 Answer

–1 vote
by (566,340 points)
জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


(০১)
হস্তমৈথুন কারীর জন্য আখেরাতে কঠিন শাস্তি রয়েছে।

হাদীসে বর্ণিত হয়েছে:

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” سَبْعَةٌ لَا يَنْظُرُ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلَيْهِمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَلَا يُزَكِّيهِمْ، وَلَا يَجْمَعُهُمْ مَعَ الْعَالَمِينَ، يُدْخِلُهُمُ النَّارَ أَوَّلَ الدَّاخِلِينَ إِلَّا أَنْ يَتُوبُوا، إِلَّا أَنْ يَتُوبُوا، إِلَّا أَنْ يَتُوبُوا، فَمَنْ تَابَ تَابَ اللهُ عَلَيْهِ النَّاكِحُ يَدَهُ، وَالْفَاعِلُ وَالْمَفْعُولُ بِهِ، وَالْمُدْمِنُ بِالْخَمْرِ، وَالضَّارِبُ أَبَوَيْهِ حَتَّى يَسْتَغِيثَا، وَالْمُؤْذِي جِيرَانَهُ حَتَّى يَلْعَنُوهُ، وَالنَّاكِحُ حَلِيلَةَ جَارِهِ “

হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন: সাত প্রকার ব্যক্তি, যাদের দিকে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা তাকাবেন না। তাদেরকে পবিত্র করবেন না। তাদেরকে অন্যদের সাথে একত্রিত করবেন না। তাদেরকেই সর্বপ্রথম জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। তবে যদি তওবা করে তাহলে ভিন্ন কথা। তবে যদি তওবা করে, তাহলে ভিন্ন কথা। যদি তওবা করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তাদের তওবা কবুল করবেন। সেসব লোক হল, হস্তমৈথুনকারী, সমকামী, মদে অভ্যস্ত,পিতা মাতাকে প্রহারকারী, অথচ তারা তার কাছে সাহায্যপ্রার্থী, প্রতিবেশীকে নিপিড়নকারী যখন তার উপর অভিশাপ করে,প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে পরকিয়াকারী। [শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকী, হাদীস নং-৫০৮৭]

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: يَجِيءُ النَّاكِحُ يَدَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَدُهُ حُبْلَى 
হযরত আনাস বিন মালেক রাঃ বলেন, কিয়ামতের ময়দানে হস্তমৈথুনকারী এমনভাবে উঠবে যে, তার হাত গর্ভবতী থাকবে। [শুয়াবুল ঈমান, বর্ণনা নং-৫০৮৭]

(০২)
হ্যাঁ উপরে বর্ণিত আখেরাতে হস্তমৈথুনের শাস্তি ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য একই হবে।

(০৩)
মেয়েদের ক্ষেত্রেও গুনাহ হবে।
শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ কাজ করাও মেয়েদেরও গুনাহ হবে।

(০৪)
জী,উপরে এ সংক্রান্ত দলিল দেয়া হয়েছে।

(০৫)
লাগাতার রোযা রাখতে হবে।
এতেও কাজ না হলে কাহারো মাধ্যমে হোক বা নিজে নিজেই হোক,স্পষ্ট আকারে নিজের বিবাহের প্রয়োজনীয়তা অভিভাবকদের বুঝাতে হবে।

(০৬)
বালেগাহ মেয়ে সন্তান হলে যদি সেই মেয়ে সন্তানের বিবাহের চেষ্টা যদি বাবা না করে, তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে অবশ্যই এতে বাবার গুনাহ হবে।

আর ছেলে সন্তান হলে বিবাহের সামর্থ্য যদি সেই ছেলে সন্তানের থাকে,তারপরেও বাবা যদি তাকে বিবাহ করতে না দেয় শুধু সেক্ষেত্রে বাবা গুনাহগার হবে।

আর যদি ছেলে সন্তান বিবাহের সামর্থ্য না রাখে,তাহলে এতে বাবা বিবাহ না দিলে বাবার গুনাহ হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
শায়েখ,,এই গুনাহ টা যদি জ্বীনে আক্রান্ত মানুষ দ্বারা হয়,অই মেয়ের উপর আশিক জ্বীনের আছড় থাকার কারনে সে এসব কাজ থেকে দূরে থাকতে চাইলেও তার জন্য কষ্ট হয়ে যায়।জ্বীনের কঠিন আছড়ের কারনে তার এমন হয়ে যায়।এক্ষেত্রে তার জন্য ইসলামের বিধান কি?
by (566,340 points)
আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।
আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন। 
by (42 points)
যদি বাবা মা কে সরাসরি বলার পর ও বিয়ে মা দেয় এই বলে যে এখনও সময় হয় নী, এখন টাকা পয়সা জোগাড় হয় নী কিংবা মেয়ের পড়াশোনা বাকি এসব বলে বিয়েতে দেরি করে। মেয়েদের তো অভিভাবক ছাড়া বিয়েও হয় না। তাছাড়া এসব সেনসিটিভ বিষয়ে যদি বাবা মা কোনোভাবে মানতে রাজি না হয় তবে তাদের সম্মানের জন্যও তো আর কারো কাছে এসব বলা যায় না। এমন সময় ওইসব বোন কী করবেন? সবসময় ছেলেদের নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু মেয়েদের স্বভাব ছেলেদের থেকে আলাদা, এক্ষেত্রে খারাপ জিনিস দেখাও লাগে না যেমন আবার রোজা রেখেও কাজ হয় না। যতদূর শুনেছি অনেক মেয়েই এই সমস্যায় ডিপ্রেসড তাদের নিয়ে আলোচনায় হয় না, অথচ প্র্যাক্টিসিং হয়েও এরকম শয়তানি ফাঁদে পা দিয়ে কত কষ্টে দিন কাটাচ্ছে অনেকে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...