জবাবঃ-
(১)
কাধের সাথে কাধ মিলিয়ে রাখা সুন্নত।
আয়েশা রা. বলেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﻗَﺎﻟَﺖْ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَ ﺳَﻠّﻢَ ﺍِﻥّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻭَ ﻣَﻠٰﺌِﻜَﺘَﻪُ ﻳُﺼَﻠُّﻮْﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺬِﻳْﻦَ ﻳَﺼِﻠُﻮْﻥَ ﺍﻟﺼُّﻔُﻮْﻑَ ﻭَ ﻣَﻦْ ﺳَﺪّ ﻓُﺮْﺟَﺔً ﺭَﻓَﻌَﻪُ ﺍﻟﻠﻪُ ﺑِﻬَﺎ ﺩَﺭَﺟَﺔً .
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা এবং ফেরেশতাগণ তাদের প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, যারা কাতারসমূহকে সংযুক্ত করে। আর যে ব্যক্তি ফাঁক বন্ধ করল, এর বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন।
(সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৯৯৫; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ২৪৬৩১)বিস্তারিত জানুন-
983
(২)
সমান সমান রাখা সুন্নত।
(৩)
বাম পা বিছিয়ে সেই পায়ের পাতার উপর নিতম্ব রেখে বসা।এবং ডান পাকে খাড়া রাখা।পায়ের আঙ্গুলি সমূহকে পশ্চিমমুখী করে রাখা।এটাই সুন্নত।প্রথম ও শেষ বেঠকে এটাই সুন্নত।তবে অন্যন্য মাযহাবে ভিন্ন ব্যখ্যাও রয়েছে।
(৪)
কান পর্যন্ত উঠানো সুন্নত।স্পর্শ করা সুন্নত নয়।
(৫)
ইমাম মুহাম্মাদ রাহ থেকে বর্ণিত,
وعن محمد لو تشهد في قيامه قبل قراءة الفاتحة فلا سهو عليه وبعدها يلزمه سجود السهو، وهو الأصح؛ لأن بعد الفاتحة محل قراءة السورة فإذا تشهد فيه فقد أخر الواجب وقبلها محل الثناء،
সূরায়ে ফাতেহার পূর্বে তাশাহুদ পড়ে নিলে সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে না।তবে সূরা ফাতেহার পর তাশাহুদ পড়ে নিলে, সাহু সিজদা ওয়াজিব হবে।এটাই বিশুদ্ধতম মত।কেননা সূরা ফাতেহার পর কিরাতের স্থান।এখন যদি কেউ তাশাহুদ পড়ে নেয়।তাহলে ওয়াজিব পিছিয়ে যাবে।আর সূরা ফাতেহার পূর্বে ছানার তথা আল্লাহর প্রশংসার স্থান(বিধায় সেখানে তাশাহুদ পড়া যাবে)
(তাবয়ীনুল হাক্বাঈক্ব-১/১৯৩,ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৭)
(৬)
যদি সে পুজাকে সম্মান করে বা হক মনে করে এমনটা করে,তাহলে তার ঈমান থাকবে না।তবে নিরুপায় হয়ে বা ভিন্ন কোনো হেকমত বা রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের লক্ষ্যে গেলে ঈমান যদিও থাকবে,তবে বুঝা যাবে যে,তার ঈমান সর্বনিম্নপর্যায়ের ।