আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
373 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
reshown by
আমি বিস্তারিত বলেছি হুজুরের কাছে। ফায়সালা আসছে তালাক হয়নি। এখন আবার অন্য কথা মনে পড়ছে যেগুলো তখন মনে ছিলনা। এক্ষত্রে করনীয় কি?আবার কি নতুন করে হুজুরের কাছে বলতে হবে? আমি এরকম কয়েকবার প্রশ্ন করেছি।প্রতিবারই ফায়সালার পর আবার নতুন কথা মনে আসে যেগুলো তখন মনে ছিলনা।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ:  
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রসশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তালাকের মাস'আলার ফয়সালা আসার পর নতুন করে মনের মধ্যে কিছুর উদ্রেক হলে, দ্বিতীয়বার প্রশ্ন করা আপনার জন্য জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।
by
reshown
আমি উত্তরের শেষ অংশ টা ভুল বুঝছি কিনা মনের মধ্যে সন্দেহ হচ্ছে,আরেকটু পরিষ্কার করে দিলে খুব ভাল হত আমার জন্য। ফায়সালা যেদিন হয়েছে তার আগের নতুন কথা মনের মধ্যে উদ্রেক হলে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। কিন্তু ফায়সালা হওয়ার পরে নতুন করে কিছু বললে তা কি হুজুরের কাছে বলতে হবে?
সেক্ষেত্রে কি ফায়সালা হওয়ার পরে যে কথা বলেছি সেই বিষয়টি বলার সাথে সাথে ফায়সালার আগের যে কথাগুলো,ফায়সালা হওয়ার পরে মনে হয়েছিল সেগুলো বলতে হবে?আমাকে ক্ষমা করবেন হুজুর। আমি নিজে কিছু বুঝতে গেলে মনে হচ্ছে ভুল বুঝছি। 

by (590,550 points)
ফয়সালা হওয়ার পরে আর কোনো রকম প্রশ্ন করা যাবে না। 
by
edited
আমি যখন হুজুরের কাছে ফতোয়া নিই, তখন নিজের পরিচয় লুকিয়ে অন্য পরিচয় দিয়েছিলাম। আমি নিজেই হুজুরের কাছে গিয়েছিলাম আর বলেছিলাম এটা আমার এক বন্ধুর ঘটনা। আমি বলেছিলাম, আমার সেই বন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, যদিও আমি নিজে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

আবার হয়ত এটাও বলেছিলাম যে তালাক সম্পর্কে আমি জানতাম না, আপনার( যার কাছে ফতোয়া নিয়েছি সেই হুজুরের) বয়ান শুনে তালাক সম্পর্কে জেনেছি তারপর নিজের মধ্যে ভয় আসা শুরু করে। কিন্তু আসলে আমি তালাকের ব্যাপারে জেনেছিলাম অন্য হুজুরের কথায়, আর নিজে পড়াশুনা করে।
এখন এই ভুলের জন্য কি হুজুরের কাছে আমার আবার নতুন করে সেই ঘটনা বলে ফায়সালা নিতে হবে? 
তাছাড়া যখন আমি হুজুরের কাছে ঘটনা লিখে নিয়ে যাই, তখন আমার মনের মধ্যে যা ছিল তা সুন্দর করে, সততার সাথে এবং সহিহ নিয়তে লিখেছিলাম। কিন্তু ঘটনাটি আমার পরিষ্কার মনে ছিল না এবং আমি অনেক বিষয়ে সন্দিহান ছিলাম। মুল ঘটনা আমি সহিহ নিয়তে, সর্বোচ্চ পরিষ্কার করে বলার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, কথার মধ্যে কিছুটা অস্পষ্টতা ছিল, আরেকটু পরিষ্কার করা যেত। আবার তখন যেটা হয়নি বলে মনে হয়েছিল, এখন আবার মনে হচ্ছে যে সেই টায় হয়েছিল প্রকৃত পক্ষে। কিন্তু যখন আমি হুজুরের কাছে ঘটনা লিখে নিয়ে যাই, তখন ১০০% সঠিক করে লেখার চেষ্টা করেছি। 

ফায়সালা হওয়ার প্রায় ১ বছর পরে গিয়ে আমার এসব কথা মনের মধ্যে উদ্রেক হয়েছে।
আপনি আমাকে বলেছিলেম ২য় বার কোন ধরনের প্রশ্ন করা জায়েজ নেই, তাই অনেক প্রশ্ন মনের মধ্যে উদ্রেক হলেও প্রশ্ন করিনাই। আজ যেহেতু আপনাকে একটা প্রশ্ন করলাম সেজন্য আমার মনের মধ্যে উদ্রেক হওয়া যেসব প্রশ্ন আমি জিজ্ঞাসা করি নাই আপনি নিষেধ করেছেন বলে, সেসব প্রশ্ন কি আমাকে আবার করতে হবে?

আমার করনীয় কি?
by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর। আমি খুব পেরেশানিতে আছি। উত্তর দিলে খুব উপকার হতো।

জাঝাকাল্লাহ খইরন
by (590,550 points)
প্রশ্ন করতে যেয়ে পরিচয় প্রদাণে গড়মিল হলে মাসআলার সমাধানে কোনো হেরফের হবে না। বরং মাসআলা ঠিকই থাকবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...