বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
(১)
তিন সময়ে ফরয-নফল তথা সকল প্রকার নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী।যথা- (১)সূর্যোদয়ের সময় (২)সূর্যাস্তের সময় (৩)সূর্য ঠিক মধ্যখানে অবস্থানের সময়।
আর পাঁচ সময়ে শুধুমাত্র নফল নামায পড়া মাকরুহ।
উপরোক্ত তিন সময়। (৪)সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত।অর্থাৎ ফজরের নামাযের আগে ও পরে (৫)আছরের নামাযের পরে। (শেষোক্ত দুই সময়ে ফরয নামায পড়া মাকরুহ নয়)
সুতরাং এই পাঁচ সময়ে যেকোনো প্রকার নফল নামায,চায় তাহিয়্যাতুল ওজু হোক বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হোক, সবই মাকরুহ।প্রথম তিন প্রকারে মাকরুহে তাহরিমীর বিধান রয়েছে।আর শেষ দুই প্রকারে প্রকাশ্যে কোথাও পাইনি।তবে যতটুকু সম্ভব মনে হচ্ছে, মাকরুহে তানযিহি-ই হবে।(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1330
(২)
জ্বী, বলা যাবে। বলতে বাধা নেই।।
(৩)
তাবলীগের মাধ্যমে মা'শাআল্লাহ দ্বীনের অনেক কাজ হচ্ছে।সর্বস্থরে দ্বীনের দাওয়াত পৌছার কাজ হচ্ছে।অনেক মানুষ নামায ও দ্বীন শিখছে।
ফাযাইলে আ'মল কিতাব খানাতে অবশ্যই অনেক যঈফ হাদীস রয়েছে।তবে আ'মল ও তারগিবের জন্য যঈফ হাদীসের উপর আ'মল করা বৈধ রয়েছে।
ইমাম আহমাদ সহ অন্যান্য মুহাদ্দিসীনে কেরাম বলেন-
ﺇﺫﺍ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﺤﻼﻝ ﻭﺍﻟﺤﺮﺍﻡ ﺷﺪﺩﻧﺎ ﻭﺇﺫﺍ ﺭﻭﻳﻨﺎ ﻓﻲ ﺍﻟﻔﻀﺎﺋﻞ ﻭﻧﺤﻮﻫﺎ ﺗﺴﺎﻫﻠﻨﺎ
অর্থঃ যখন আমরা হালাল – হারামে রেওয়ায়েত করি (সনদে খুব) কড়াকড়ি করি। আর যখন ফযীলাত ইত্যাদির ক্ষেত্রে রেওয়ায়েত করি শিথিলতা করি।(হাফেয সুয়ূতী, তাদরীবুর রাবী ১/২৯৮)
মুহাদ্দিসিনে কেরামের নীতি অনুযায়ী বলা যায়, যে ফাযাইলে আ'মালের ক্ষেত্রে যঈফ হাদীসকে বর্ণনা করা ও তার উপর আ'মল করা জায়েয রয়েছে।তবে মাওযু(বানোয়াট/মিথ্যা)বর্ণনার ভিত্তিতে আ'মল করা জায়েয হবে না।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/984
আরো জানুন-
https://www.ifatwa.info/1687
(৪)
জ্বী, তাবলীগে যাওয়া যাবে। ঈমান আ'মলকে আয়ত্বে নিয়ে আসার উত্তম মাধ্যম হিসেবে তাবলীদের অবস্থান আজকাল শীর্ষে রয়েছে।