আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
245 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (65 points)
reshown by
আসসালামু 'আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।
আমার তালাকের ওয়াসোয়াসা হত।যখন ঝগড়া হত তখন তা প্রবল হত।

১,আমার স্ত্রীকে বলতাম যতদিন তোমার বাবার বাসায় আসো ততদিন তোমার বাবা মার কথা মেনে চল পড়ে তারপর আমাদ কথা।কিন্তু এই কথা বলাতে ভয় ধরে যায় তার বাবা মা যদি আমার থেকে তালাক নিতে বলে তাহলে কি আমি আমার এই কথার দ্বারা অনুমতি দিয়ে দিলাম?.

২, আমার স্ত্রী বলছিল মাঝে মাঝে যখন আমার সাথে মনমালিন্য হয় তখন তার অনেক সময় নষ্ট হয় সে প্রোডাক্টভ কোনো কাজ বা পড়াশুনা করত পারেনা।তখন আমি বপ্লছি ধুর,আমার যা হয় হোক,আমি যাই বলি যতই ঝগড়া দিই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবি,এসবে (মানে আমার ইস্যু নিয়ে) ব্যস্ত থাকার টাইম আছে তোর? এখানে এরকম আরো কিছু কথা বলি এসব বলতে গিয়েই তালাকের নিয়ত বা তালাকের কথা মাথায় এসে যায়। মানে এখানে তালাকের নিয়তে বল্ললে কোনো রুপ তালাক বা তার অনুমতি দেয়া হবে কিনা।কারণ সে আমার কথা পাত্তা না দিয়ে তালাক চেয়ে বসে যদি

৩,আমি যখন রাগের মাথায় বলব  যে 'তোমার যা খুশি কর,যেটা ভাল মনে হয় কর' এসব যদি তালাকের নিয়তে বলি তাহলে কি তালাকের অনুমতি বা এমন কিছ্য হবে

৪,আমি স্ত্রীর সাথে মেসেজ করছিলাম,তখন বললাম 'উম্মাহর কত সমস্যা,আর আমরা ফালতু বিষয় নিয়ে ঝগড়া করি।তোর কাজ ঠিকঠাক কর দায়িত্ব পালন কর,আমার এসব বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবেনা'। এখানে যখন বলি 'মনোযোগ দিতে হবেনা' তখন সম্পূর্ন তালাকের নিয়ত এসে যায় তাই ভয়েতে মনোযোগ এর পড় থেকে আর মেসেজ লিখিনি। 'দিতে হবেনা' বদলে ওই বাক্য কেটে লিখি 'মনোযোগ দিতে হবে কেন?'। এতে কি তালাক হবে

৫, ধরে আমি স্ত্রীকে মেসেজে লিখতিসি তালাকের কথা,একেবারে স্পষ্ট ভাবে,কিন্তজ মেসেজ সেন্ড না করে কেটে দিলাম, তাহলে কি তালাক পড়বে?

6,অনেক সময় স্ত্রীর উপর রাগান্বিত হয়ে ভাবি থাক আর না,একে বেশি আদর ও করবনা ধমক ও দিবনা যা খুশি করুক।যতটুক হলে স্বামী স্ত্রী থাকে ততটুক করব।।তাই ওকে বলি আমার কাছে আর কিছু বলার দরকার নাই যা মন চায় করো।এসব এ কি সমস্যা হবে? আমার ভয় হয় হয়ত সমসুয়া হবে,তাও এসব বলতে গিয়েও পারিনা।
৭, তাকেত পড়াশুনার সুযোগ দিসি যখন এমন কষ্টদায়ক আচরণ আসে তখন বলি 'আমার কিসের ঠেকা তোমার এসব কাজ করে দেয়ার,নিজের হিসাব নিজে বুঝ' এয়টা অনেক সময় পড়াশুনার জন্য বলি বা সামগ্রিক অর্থেও।তালাকের নিয়তে বললে কি তালাক হবে? আসলে রাগ এসে যায়

৮, স্ত্রীকে যদি তালাকের নিয়তে বলি তোমাকে আর সহ্য হচ্ছেনা,. Amake শান্তি দাও। তাহলে কি তালাক হবে

৯,স্ত্রীকে যদি তালাকের উদ্দ্যেশ্যে বলি তোমাদের এলাকায় আর জীবনেও যাবনা তাহলে কি তালাক হবে
by (1 point)
ভাই পরামর্শ হল, আপনি দ্রুত কোন সাইকিয়াট্রিস্ট  এর শরাণাপন্ন হোন অথবা সম্ভব না হলে সরকারি মেডিক্যালের সাইকিয়াট্রি বিভাগ এর আউটডোর এ দেখান। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে। অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়। আপনার তালাক নিয়ে ওয়াসওয়াসা, এটি মানসিক রোগে পরিনত হয়েছে, যা আপনাকে মানসিকভাবে অনেক কষ্ট দিতে থাকবে।
ইনশাআল্লাহ এ রোগ ৩/৪ মাস মেডিসিনে ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয় এবং মেডিসিন কন্টিনিউ করতে হবে, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
চার মাযহাব সম্ভলিত সর্ববৃহৎ ফেকহি গ্রন্থ "আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যা"গ্রন্থে লিপিবদ্ধ রয়েছে যে,
نَقَل ابْنُ عَابِدِينَ عَنِ اللَّيْثِ: فِي مَسْأَلَةِ طَلاَقِ الْمُوَسْوَسِ  أَنَّهُ لاَ يَجُوزُ طَلاَقُ  الْمُوَسْوَسِ  ، قَال: يَعْنِي الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
وَنَقَل ابْنُ الْقَيِّمِ: إِنَّ الْمُطْلِّقَ إِنْ كَانَ زَائِل الْعَقْل بِجُنُونٍ أَوْ إِغْمَاءٍ أَوْ وَسْوَسَةٍ لاَ يَقَعُ طَلاَقُهُ،  قَال: وَهَذَا الْمَخْلَصُ مُجْمَعٌ عَلَيْهِ بَيْنَ عُلَمَ ـ اءِ الأُْمَّةِ

- رِدَّةُ الْمُوَسْوَسِ: 
٢١ - إِنْ تَكَلَّمَ الْمُوَسْوَسُ  بِكَلاَمٍ يَقْتَضِي الرِّدَّةَ لَمْ يَكُنْ فِي حَقِّهِ رِدَّةٌ. صَرَّحَ بِذَلِكَ الْحَنَفِيَّةُ، يَعْنُونَ الْمَغْلُوبَ فِي عَقْلِهِ
ইবনে আবেদিন শামী রাহ বর্ণনা করেন,ওয়াসওয়াসা গ্রস্থ ব্যক্তি -যার বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে বসেছে-তার তালাক গ্রহণযোগ্য নয়।
ইবনুল কাইয়িম রাহ বলেন, যদি তালাক প্রদানকারী ব্যক্তির ওয়াসওয়াসা,বেহুশি বা পাগলামির দরুণ বিবেকবুদ্ধি লোপ পেতে থাকে, তাহলে তার তালাকও গ্রহণযোগ্য হবে না। এর উপর সমস্ত উলামাদের ঐক্যমত রয়েছে।

বিবেক বুদ্ধি লোপ পেতে বসা ওয়াসওয়াসা রোগীর এমন কোনো কথা বার্তা যা মুরতাদ হওয়াকে লাযিম করে দেয়, সেই কথাবার্তার দরুণ উক্ত ওয়াসওয়াসার রোগী মুরতাদ হবে না।(আল-মাওসু'আতুল ফেকহিয়্যাতুল কোয়েতিয়্যাহ-৪৩/১৫৬)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/835

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) না, এই কথা দ্বারা তালাকের অনুমোদন যুক্ত হবে না।

(২) এদ্বারা তালাক হবে না।

(৩) তালাকের অনুমতি হবে না।

(৪)না, এতেকরেও তালাক হবে না।

(৫) তালাক হয়ে যাবে।(মুবাইল ফোন কে যরিয়া নিকাহ তালাকক-২১৪)

(৬)
এদ্বারা কোনো সমস্যা হবে না।তালাক হবে না।

(৭)
এভাবে বললেও তালাক হবে না।

(৮)
এভাবে বললেও তালাক হবে না।

(৯)
এভাবে বললে তালাক হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...