ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
১. স্বামী স্ত্রী তালাক হয়েছে কিনা সন্দেহতে আছে।
স্ত্রী তালাক হয়েছে কিনা এই নিয়ে টেনশনে ছিল।
তখন স্বামী স্ত্রীকে বলে," সহবাস করলে তো তালাক বাদ হয়ে যায় বলা থাকে, চল সহবাস করি, তাইলে আর ঝামেলা থাকে না, থাকবে না।"
পরে তারা নিশ্চিত হয় তালাক হয় নাই।
এখন স্বামী ভয়ে আছে, কারন সে তার স্ত্রীকে বলেছে- "সহবাস করলে তো তালাক বাদ হয়ে যায় বলা থাকে। চল সহবাস করি, তাইলে আর ঝামেলা থাকে না, থাকবে না"-
স্বামীর এইভাবে কথা বলাতে তালাক হবে না।
২. স্ত্রী স্বামী কে বুঝাচ্ছিল "কেউ যদি তার স্ত্রীকে বলে তুমি অমুক কাজ করলে তালাক, তখন কিন্তু স্ত্রী সেইকাজ করলে সাথে সাথে তালাক হয়ে যায়"।
তখন স্ত্রী স্বামীকে ১ম বার জিজ্ঞেস করল "কেনায়া বাক্য বলার সময় তোমার তালাকের কোনো নিয়ত ছিল?"
স্বামী উত্তর দেয়, ছিল না।
তার পর স্ত্রী ২বার স্বামীকে জিজ্ঞেস করে "কেনায়া বলার সময় তোমার কি কোনো নিয়ত ছিল?
স্বামী তখন বলে "হ্যা"। স্ত্রী বলে "কি বললা?"
তখন স্বামী বলে "তুমি জানো নিয়ত নাই, আমি এমনেই মজা করে হ্যা বলেছি।"
এইখানে স্বামীর ২বার উত্তরে মিথ্যা স্বীকারোক্তির জন্য তালাক হবে না। কেননা মিথ্যা স্বীকারোক্তি দ্বারা তালাক হয় না।
৩. স্ত্রী যদি স্বামী কে মুখে তালাক উচ্চারণ না করে এইভাবে প্রশ্ন করে, "তোমার কি ওইরকম কোনো নিয়ত ছিল?"
স্বামী উত্তর দেয় "হ্যা"- স্বামীর নিয়ত না থাকলে স্বামীর এই মিথ্যা স্বীকারোক্তির জন্য তালাক হবে না।
৪. স্ত্রী যদি স্বামীকে মুখে তালাক উচ্চারণ না করে এইভাবে প্রশ্ন করে, "তোমার কোনো নিয়ত ছিল?"
স্বামী বলে "হ্যা"- স্বামীর নিয়ত না থাকলে স্বামীর এই মিথ্যা স্বীকারোক্তির জন্য তালাক হবে না।