بسم الله
الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/10204/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইসলামে আযান
এবং ইকামতের গুরুত্ব অনেক। এমনকি রাসুলুল্লাহ সাঃ সফর অবস্থায় বা একাকী নামাজ পড়ার
অবস্থাতেও আযান ইকামত দেওয়া কথা বলেছেন।
আযান দেওয়া
সুন্নাতে মুয়াক্কাদা,জামাআতের সাথে নামাজ
আদায় কারীর জন্যে ইকামত দেওয়া সুন্নাত।
উকবা ইবনু আমির
রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে,
يَعْجَبُ
رَبُّكَ مِنْ رَاعِي غَنَمٍ فِي رَأْسِ شَظِيَّةِ الْجَبَلِ يُؤَذِّنُ
بِالصَّلاَةِ وَيُصَلِّي فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي
هَذَا يُؤَذِّنُ وَيُقِيمُ الصَّلاَةَ يَخَافُ مِنِّي قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي
وَأَدْخَلْتُهُ الْجَنَّةَ
তোমার রব সে
ব্যক্তির উপর খুশি হন, যে পাহাড়ের উচ্চশৃঙ্গে
বকরী চরায় এবং নামাযের জন্য আযান দেয় ও নামায আদায় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন,
আমার এই বান্দাকে দেখ! নামাযের জন্য সে আযান ও ইকামত দিচ্ছে। সে আমাকে
ভয় করছে। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম ও জান্নাতে প্রবেশ করালাম। (আবু দাউদ ১২০৩)
মহানবী (সাঃ)
বলেন, “যখন সফরে থাকবে, তখন
তোমরা আযান দিও এবং ইকামত দিও। আর তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করো।” (বুখারী,
মিশকাত ৬৮২নং)
তাছাড়া আল্লাহর
নবী (সাঃ) এবং সাহাবাগণ সফরে থাকলে ফাঁকা মাঠে আযান দিয়ে নামায পড়েছেন। (মুসলিম, সহীহ ৬৮১নং, প্রমুখ)
মহানবী (সাঃ)
বলেন, “তোমার প্রতিপালক বিস্মিত হন পর্বত চূড়ায় সেই
ছাগলের রাখালকে দেখে যে নামাযের জন্য আযান দিয়ে (সেখানেই) নামায আদায় করে; আল্লাহ আযযা অজাল্ল্ বলেন, “তোমরা আমার এই বান্দাকে লক্ষ্য
কর, (এমন জায়গাতেও) আযান দিয়ে নামায কায়েম করছে! সে আমাকে ভয়
করে। আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম এবং জান্নাতে প্রবেশ করালাম।” (আবূদাঊদ, সুনান, নাসাঈ, সুনান, সহিহ তারগিব ২৩৯ নং)
তিনি বলেন, “কোন ব্যক্তি যখন কোন বৃক্ষ-পানিহীন প্রান্তরে থাকে, অতঃপর সেখানে নামাযের সময় উপস্থিত হয়, তখন সে যেন ওযু
করে। পানি না পেলে যেন তায়াম্মুম করে। অতঃপর সে যদি শুধু ইকামত দিয়ে নামায পড়ে,
তাহলে তার সাথে তার সঙ্গী দুই ফিরিশ্তা নামায পড়েন। কিন্তু সে যদি আযান
দিয়ে ও ইকামত দিয়ে নামায পড়ে, তাহলে তার পশ্চাতে আল্লাহর এত ফিরিশ্তা
নামায পড়েন, যাদের দুই প্রান্ত নজরে আসে না!” (আব্দুর রাযযাক,
মুসান্নাফ, সহিহ তারগিব ২৪১নং)
আর একদা তিনি
আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রহ্মানকে মরুভূমিতে ছাগপালে থাকাকালে নামাযের জন্য উচ্চশব্দে
আযান দিতে আদেশ করেছিলেন। (বুখারী প্রমুখ, মিশকাত
৬৫৬নং
★প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনি ভাই/বোন!
আজান বা ইকামতের মাঝেই যদি ভুলটি মনে পড়ে যায়, কিংবা
আজান ইকামত শেষ করার পর মনে হয়, তাহলে কথা
বলার আগেই ভুলটি শুদ্ধ করে বলে বাকিটুকু দোহরিয়ে নিলে আজান ও
ইকামত হয়ে যাবে। আর যদি ভুল পড়ার পর আজান শেষ করে মনে পড়ে, এবং কথা বলে ফেলে তাহলে আজান পুনরায় দিতে হবে। ভুলে এমনটি হলে সমস্যা নেই।
কিন্তু ইচ্ছেকৃত আজান বা ইকামত ছাড়া মসজিদে নামায পড়া মাকরূহ।
কিন্তু নামায হয়ে যাবে।