আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (1 point)
আমাদের একটা লিমিটেড কোম্পানি পরিচালনার বিষয়য়ে নিম্ন লিখিত মাসালার বিষয়ে জানতে চাই।
১.আমরা টেন্ডার  এর  প্রজেক্টের , লাভলস  হিসাব এর পর ওই কাজটি সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন মানুষের থেকে ইনভেস্টমেন্ট  নিয়ে থাকি,যদি তাদের কে লস এর কথা বললে ইনভেস্টমেন্ট করতে চায় না । সে ক্ষেত্রে যারা ইনভেস্টমেন্ট করে অনেক সময় লস এর সম্মুখীন হলে অন্য  প্রজেক্ট(একই সময় অন্যান্য প্রজেক্ট চলমান থাকে) থেকে তাদের লাভের অংশ দিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে মসালা গত কোনো সমস্যা আসে কিনা থাকলে তার সসমাধান কি হবে?
২.নিদিষ্ট কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট  বিভিন্ন দেশে উৎপাদন হয়ে থাকে , উৎপাদকরা অনেক সময় ভুল করে অন্য দেশে উৎপাদিত প্রোডাক্ট দিয়ে  দেয় ,সে ক্ষেত্রে অনেক সময় উৎপাদক দেশ এর নাম পরিবর্তন করতে হয় (উল্লেখ যে সরকারি  টেন্ডার এ  যে নিদিষ্ট দেশ উল্লেখ থাকে সেটা ছাড়া তারা অন্য দেশে উৎপাদিত প্রোডাক্ট গ্রহণ করে না ,যেমন: Made in India আছে ,সেটা পরিবর্তন করে চীন লিখে দেয় ,যেহেতু তারা চীন থেকে চেয়েছে কিন্তু প্রোডাক্ট এর কোম্পানি একই থাকে। সেক্ষেত্রে মসালা গত কোনো সমস্যা আসে কিনা থাকলে তার সসমাধান কি হবে?
বুঝতে অসুবিধা হলে যোগাযোগ:০১৬৭৭০০৩২১২

1 Answer

0 votes
by (677,280 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
ব্যবসার ক্ষেত্রে এক পক্ষের মাল,অপর পক্ষের শ্রম দেওয়াকে মুদারাবা বলা হয়।
এটি জায়েজ আছে। 
,
মুদারাবার ক্ষেত্রে শরীয়তের উসুল হলো যাহা লাভ হবে,তাহা শতকরা হারে উভয়ের মাঝে বন্টন করার চুক্তি করতে হবে।
কোনো নির্দিষ্ট টাকার চুক্তি করা যাবেনা,লোকসান হলে আগে লাভের টাকা থেকে সেটা পূরন করা হবে,অতঃপর মূলধন থেকে পূরন করা হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ     
بَاب الشَّرِكَةِ وَالْمُضَارَبَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ اشْتَرَكْتُ أَنَا وَسَعْدٌ، وَعَمَّارٌ، يَوْمَ بَدْرٍ فِيمَا نُصِيبُ فَلَمْ أَجِئْ أَنَا وَلاَ عَمَّارٌ بِشَىْءٍ وَجَاءَ سَعْدٌ بِرَجُلَيْنِ .
শারীকাত (অংশিদারী) ও মুদারাবা ব্যবসা
আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, বদর যুদ্ধের দিন সাদ (রাঃ) , আম্মার (রাঃ) ও আমি গানীমাতের মালের ব্যাপারে অংশীদার হই (এই মর্মে যে, আমরা যা পাবো তা তিনজনে ভাগ করে নিবো)। আম্মার ও আমি কিছুই আনতে পারিনি। অবশ্য সাদ (রাঃ) দু’জন যুদ্ধবন্দী নিয়ে আসেন।
নাসায়ী ৪৬৯৭, আবূ দাউদ ৩৩৮৮, বায়হাকী ফিস সুনান ৪/১৯৪, ইরওয়া ১৪৭৪। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সকল ইনভেস্টমেন্ট দের লাভ লোকসান উভয় ক্ষেত্রেই শরিক হতে হবে।
নতুবা শুধু লাভ নিবে,লোকসান নিবেনা, এ চুক্তি শরীয়তে জায়েজ হবেনা।

হ্যাঁ যদি তারা লাভ লোকসান উভয় ক্ষেত্রেই শরিক হবে বলে চুক্তিবদ্ধ হয়,আর লোকসান হওয়ার ছুরতে আপনারা সন্তুষ্টি চিত্তে অন্য  প্রজেক্ট(একই সময় অন্যান্য প্রজেক্ট চলমান থাকে) থেকে তাদের লাভের অংশ দিয়ে থাকলে সেটি জায়েজ হবে।।
এটি তখন হাদিয়া বলে গন্য হবে।

(০২)
উৎপাদক দেশ এর নাম পরিবর্তন করা জায়েজ হবেনা।
এটি ধোকার অন্তর্ভুক্ত। 
,
তবে এভাবে নাম পরিবর্তন করে পন্য বিক্রয় করলে সেই পন্যের ইনকামকে হারাম বলা হবেনা।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...