আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
215 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (22 points)
আসসালামু আলাইকুম। দয়া করে ভালভাবে পড়ে সমাধান দিবেন প্লিজ!  পুত্রবধূর বয়স যদিও একদম কম নয়( ২৮+)। তার অপরিপক্ক ব্যবহার, কাজকর্মের কারণে শাশুড়ি ভুল শুধরে দেয়, বকা দেয়। কিন্তু তার অসুস্থতায় শাশুড়ি দেখাশোনা করেন, দূরের দোকান থেকে ওষুধপত্র এনে দেন। যদিও শাশুড়ি নিজেও ৫০+ এবং শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগে থাকেন প্রায়ই। যখন ভালো ফিল করেন, পুত্রবধূর কাজে সহযোগিতা করেন,কাপড়ও সেলাই করে দেন। পরিবারের একমাত্র পুরুষ হলেন পুত্র, যিনি কাজের কারণে দূরে থাকেন।
পুত্রবধূ আলহামদুলিল্লাহ সব কাজই করতে পারেন, কিন্তু তারমধ্যে কিছুটা অলসতা এবং উদাসীনতা লক্ষণীয়।

বাসায় শুধুমাত্রই শাশুড়ী, পুত্রবধূ, ক্লাস  ফোর পড়ুয়া ননদ থাকেন। কাজ কর্ম হলো ঘর দোর পরিচ্ছন্ন রাখা, খাবার তৈরি করা, বাগানের বা বাড়ির বিষয়াদি পর্যবেক্ষণে রাখা এইসব। পরিবারে দেবর-ভাসুর না থাকায় কোনো গায়রে মাহরামও নেই।
শাশুড়ির সেবা বলতে তাকে শুধুই শাশুড়ির সাথে সময় কাটানো এবং সময়মতো (যেহেতু শাশুড়ি বয়স্ক) খাবার পরিবেশনটাই বুঝানো হয়।
এরকম অবস্থায় সে এরকম মনোভাব পোষণ করে যে "শাশুড়ির সেবা করা তার জন্য ফরয নয়" এবং শাশুড়ি তার কাজকর্মে ভুল শুধরে দিলে, বকা দিলে সে বিষয়টাতে কষ্ট পায়। সে নিজের মতো থাকতে চায় (অনেকটাই অগোছালো)।
১) এরকম অবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীকে আদেশ করে শাশুড়ির সাথে ভালো হয়ে থাকতে, সময় কাটাতে, টুকটাক সেবা করতে এবং সংসারের প্রতি উদাসীনতা পরিহার করে গোছালো হয়ে থাকতে, এই আদেশ যেহেতু জায়েজ,
সেটা করতে কি স্ত্রী বাধ্য থাকবে?
২) স্বামীর সকল জায়েয আদেশের আনুগত্য করতে কি স্ত্রী বাধ্য?

1 Answer

0 votes
by (713,640 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আপনার প্রশ্নের জবাব প্রস্তুত হচ্ছে।ইনশাআল্লাহ অচিরেই জবাব পেয়ে যাবেন। ধর্য সহকারে অপেক্ষার জন্য আন্তরিক অভিবাদন। জাযাকুমুল্লাহ।

প্রথমে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোকে একটু মন দিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন-
ফতোয়া আরবী শব্দ এবং কুরআন-সুন্নাহ ও ইসলামী শরীয়তের একটি মর্যাদাপূর্ণ পরিভাষা। বিস্তারিত আলোচনার পূর্বে ‘ফতোয়া’ সংক্রান্ত আরো কিছু শব্দের অর্থ জেনে নেওয়া আবশ্যক। যথা : ইস্তিফতা, মুসতাফতী, মুফতী, ইফতা ও দারুল ইফতা। কুরআন-সুন্নাহ ও দ্বীনী ইলমের মাহির আলিমের নিকট কোনো দ্বীনী বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের বিধান জিজ্ঞাসা করাকে ‘ইস্তিফতা’ বলে। প্রশ্নকারীকে ‘মুস্তাফতী’ বা ‘সাইল’ বলে। বিশেষজ্ঞ আলিম শরীয়তের দলীলের আলোকে যে বিধান বর্ণনা করেন তাকে ‘ফতোয়া’ বলে। বিধান বর্ণনাকারী আলিমকে মুফতী এবং তার এই কাজ অর্থাৎ প্রশ্নকারীর প্রশ্নের উত্তরে শরীয়তের বিধান বর্ণনা করাকে ‘ইফতা’ বলে। যে প্রতিষ্ঠান এই দায়িত্ব পালন করে তাকে ‘দারুল ইফতা’ বলে।। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...