আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (31 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ, উস্তাদ আমার দু মাস হয়েছে দাম্পত্য জীবনের, বিয়ের একমাস পর আমার স্বামী সৌদি থেকে আসেন সে অনুযায়ী স্কংসার জীবন একমাস।

যখন তিনি বাহিরে ছিলেন ফোন আলাপে উনার কথা বলার ধরণ অনুযায়ী আমি উনার উপর কষ্ট পেতাম এবং একসময় বিরক্ত হতে শুরু করি এবং আসতাগফিরুল্লাহ আমি উনার সাথে প্রায় তর্ক করি এবং অবাধ্যতা করি যদিও আমি তা না করার চেষ্টা করি তবে হয়ে যায় কেনো বুঝি না।

উনার বয়স ২৩ এবং আমার ২২ মাশা'আল্লাহ আমার স্বামী অবেক জ্ঞান রাখেন উনি মাদিনা ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট।
এখন দেখা হওয়ার পর বুঝতে পারলাম দু'জন দু'জনকে উনার আচরণ আমার প্রতি পরিবর্তন হলেও আমি পরিবর্তন করতে পারছি না তর্ক করে ফেলি বা উনাকে আঘাত দিয়ে কথা বলে ফেলি।

আমি এই অভ্যাস হতে কিভাবে নিজেকে পরিবর্তন করবো?

স্বামীর ভালোবাসা আমার একান্তই কাম্য আমি উনার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত হতে চাই না।

1 Answer

0 votes
by (719,040 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1073 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
এই অপ্রকাশ্য আ'মলগুলোর শিক্ষা গ্রহণ এবং প্রকাশ্য আ'মলগুলোকে ব্যবহারিক ভাবে নিজের জীবনের সাথে ঘনিষ্টকরণের জন্য যে শিক্ষার প্রয়োজন পড়ে সেটার নামই হল তাসাউফ বা আত্ম-সংশোধন।
এই তাসাউফ বা আত্ম-সংশোধনের জন্য একজন মুসলিহ বা আত্মসংশোধনকারীর প্রয়োজন পড়ে।যার সাথে সার্বক্ষণিক ভাবে উৎপেতে থেকে শিক্ষা অর্জন করতে হয়।কেননা সার্বক্ষণিক সাথে না থাকলে ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব হয় না।

মোটকথাঃ
শিক্ষাগ্রহণ-ই তাসাউফ বা সুফীবাদের মূল হাকিকত।মুরিদ করা বা হওয়া মূল উদ্দেশ্য নয়,বরং সংশোধন করা বা হওয়াই মূল উদ্দেশ্য।মুরিদ হওয়াকে প্রাতিষ্টানিক ভর্তির সাথে তুলনা করা যেতে পারে।কেউ প্রাতিষ্টানিক ভর্তির মাধ্যমে জ্ঞানার্জন করে।আবার কেউবা প্রাতিষ্ঠানিক ভর্তি ছাড়াই জ্ঞানার্জন করতে সক্ষম হয়।বিস্তারিত জানতে দেখুন-(আহসানুল ফাতাওয়া-১/৫৪৬)

তাসাউফ বা সুফীবাদের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ তথা বুজুর্গানে কেরামগণ সাধারণত কুরআন-হাদীসের আলোকেই লোকদেরকে শিক্ষা প্রদান করে গেছেন।তবে এর মধ্যেও কারো কাছ থেকে কিছু অতিরঞ্জন শোনা যায়।
সেজন্য এটাই বলা যায় যে,কুরআন-হাদীসের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো মতবাদ বা পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হবে না।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।(শেষ)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি যেই সমস্যার কথা বললেন, সেই সমস্যার সহজ সমাধান হল, আপনি কোনো প্রকার প্রশ্ন না করে, বরং তার সব কথা মেনে চলুন। সাথে সাথে দ্বীনদার কোনো সাথীর সাথে বেশ সময় উটাবসা করুন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (719,040 points)
+1
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...