আসসালামু আলাইকুম। দয়া করে ভালভাবে পড়ে সমাধান দিবেন প্লিজ! পুত্রবধূর বয়স যদিও একদম কম নয়( ২৮+)। তার অপরিপক্ক ব্যবহার, কাজকর্মের কারণে শাশুড়ি ভুল শুধরে দেয়, বকা দেয়। কিন্তু তার অসুস্থতায় শাশুড়ি দেখাশোনা করেন, দূরের দোকান থেকে ওষুধপত্র এনে দেন। যদিও শাশুড়ি নিজেও ৫০+ এবং শারীরিক বিভিন্ন অসুস্থতায় ভুগে থাকেন প্রায়ই। যখন ভালো ফিল করেন, পুত্রবধূর কাজে সহযোগিতা করেন,কাপড়ও সেলাই করে দেন। পরিবারের একমাত্র পুরুষ হলেন পুত্র, যিনি কাজের কারণে দূরে থাকেন।
পুত্রবধূ আলহামদুলিল্লাহ সব কাজই করতে পারেন, কিন্তু তারমধ্যে কিছুটা অলসতা এবং উদাসীনতা লক্ষণীয়।
বাসায় শুধুমাত্রই শাশুড়ী, পুত্রবধূ, ক্লাস ফোর পড়ুয়া ননদ থাকেন। কাজ কর্ম হলো ঘর দোর পরিচ্ছন্ন রাখা, খাবার তৈরি করা, বাগানের বা বাড়ির বিষয়াদি পর্যবেক্ষণে রাখা এইসব। পরিবারে দেবর-ভাসুর না থাকায় কোনো গায়রে মাহরামও নেই।
শাশুড়ির সেবা বলতে তাকে শুধুই শাশুড়ির সাথে সময় কাটানো এবং সময়মতো (যেহেতু শাশুড়ি বয়স্ক) খাবার পরিবেশনটাই বুঝানো হয়।
এরকম অবস্থায় সে এরকম মনোভাব পোষণ করে যে "শাশুড়ির সেবা করা তার জন্য ফরয নয়" এবং শাশুড়ি তার কাজকর্মে ভুল শুধরে দিলে, বকা দিলে সে বিষয়টাতে কষ্ট পায়। সে নিজের মতো থাকতে চায় (অনেকটাই অগোছালো)।
১) এরকম অবস্থায় স্বামী যদি স্ত্রীকে আদেশ করে শাশুড়ির সাথে ভালো হয়ে থাকতে, সময় কাটাতে, টুকটাক সেবা করতে এবং সংসারের প্রতি উদাসীনতা পরিহার করে গোছালো হয়ে থাকতে, এই আদেশ যেহেতু জায়েজ,
সেটা করতে কি স্ত্রী বাধ্য থাকবে?
২) স্বামীর সকল জায়েয আদেশের আনুগত্য করতে কি স্ত্রী বাধ্য?