আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
282 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (9 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ!
ইমারজেন্সি! এর আগে একবার প্রশ্ন করেছিলাম ১০ দিন হয়ে গেছে উত্তর পাইনি। অনুগ্রহ করে যদি উত্তর টি দিতেন তাহলে আমার ভিতরের পেরেশানি একটু হলেও কমতো।

১.বিয়েতে না চাইতেই আমার আব্বা আম্মা অনেক খরচ করে ফেলছে। পারা প্রতিবেশী, আত্নীয় সজন,বরযাত্রী ৫০ জন। এতে করে তাদের প্রায় অনেকটাই খরচ হয়ে যাবে। আমি অনেক ভাবে তাদের বুঝিয়েছি যে বিয়েতে কম খরচে বরকত বেশি কিন্তু তারা তা কিছুতেই শুনছে না। তারা টেবিল বসিয়ে টাকাও তুলবে হয়তো।নারী পুরুষ ফ্রি-মিক্সিং ও হতে পারে।উনারা আমার কোন কথাই শুনছেন না। আমি দু'আ করে যাচ্ছি। এখন আমি অপারগ। এটার জন্য কি আমার বিয়েতে বরকত কমে যাবে?

২.আমার বিয়ে ঠিক হওয়ার আগে আমি ৩/৪ দিম ইস্তেখারা করেছি। করার পর পাত্রের বাসায় যখন আমার পরিবার যায়। তখন তাদের সম্পত্তি কম দেখে আমার বাবা একটু নাকোচ করেন। পুরোপুরি নাও না হ্যাঁ ও না এমন অবস্থা। আমি তখন খুব কষ্ট পেয়েছিলাম যে আমার বাবা কেন দ্বীনদারিতা না দেখে সম্পত্তি দেখে। এর মাঝেই আমার বাবা আরেক বেদ্বীন ছেলের থেকে প্রস্তাব আসলে সেটা নিয়ে চিন্তা করে। তাই আমি অনবরত সালাতুল হাজত পড়ে আল্লাহর কাছে অনেক কান্নাকাটি করে বলেছি হে আল্লাহ!আমার জন্য যদি সেই সম্পর্ক কল্যান হয় তাহলে সহজ করে দিন। তারপর আমার এমন মন খারাপ দেখে আমার মা আমার বাবাকে বুঝিয়ে বলেছেন। তারপর আমার বাবা রাজি হয়েছেন। এখন দেখতে পাচ্ছি আমার আপু আর আম্মা ছেলের ব্যবসা নিয়ে সারাদিন তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। বলে এই ব্যবসা আমাদের সাথে যায়?

এগুলো শুনে আমি সারাদিন ডিপ্রেশনে থাকি। আবার পাত্রের কিছু ব্যবহার যেমন- পাত্র নাকি উনার আম্মা আব্বাকে বলছে বরযাত্রী নিয়ে আসবেনা কিন্তু উনারা মানছেন না, আমাদের বাসা থেকে বিয়ের জন্য পাত্রকে পোশাক বানিয়ে দিছে ৫/৬ হাজার টাকাও দিছে। এগুলোর জন্য আমি ডিপ্রেশনে শেষ। আসলেই কি পাত্র দ্বীনদার?

এখন আমার করনীয় কী?পাত্রের দ্বীনদারিতা নিয়ে যে সন্দেহ হচ্ছে তা কিভাবে মন থেকে সরাবো?

২ দিন পর আমার বিয়ে আল্লাহ চাইলে।

1 Answer

0 votes
by (62,670 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

হাদীস শরীফে এসেছে-

وَعَن عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَعْظَمَ النِّكَاحِ بَرَكَةً أَيْسَرُهُ مُؤْنَةً» . رَوَاهُمَا الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان

আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সর্বাপেক্ষা উত্তম বিবাহ হলো স্বল্প খরচে সম্পন্ন করা। (বায়হাক্বী হাদীস দু’টি শু’আবুল ঈমান গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন) মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)

 

বিয়ের আগে পাত্রপাত্রীর যে বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে তার মধ্যে ‘কুফু’ অন্যতম।

আরবি ‘কুফু’ শব্দের অর্থ সমতা, সমান, সাদৃশ্য, সমকক্ষ, সমতুল্য ইত্যাদি।

 

বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের দ্বীনদারি, সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্যতা সব কিছু সমান সমান বা কাছাকাছি হওয়াকে ইসলামী পরিভাষায় কুফু বলে।

 

স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের রুচি, চাহিদা, অর্থনৈতিক অবস্থান খুব বেশি ভিন্ন হলে সেখানে সুখী দাম্পত্যজীবন প্রতিষ্ঠা কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। একজন উচ্চ শ্রেণীর ছেলেমেয়ের চাহিদা-রুচির সাথে একজন দরিদ্র বা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ের রুচিবোধের মিল না থাকাটাই স্বাভাবিক।

 

 আবার একজন দ্বীনদার পাত্রপাত্রীর সাথে একজন ধর্মবিষয়ে উদাসীন পাত্রপাত্রীর জীবনাচার নাও মিলতে পারে। দ্বীনদার চাইবে সব কিছুতে ধর্মের ছাপ থাকুক। আর দীনহীন চাইবে সব কিছু ধর্মের আবরণমুক্ত থাকুক। সুতরাং এ দুইয়ের একত্রে বসবাস কখনো শান্তি-সুখের ঠিকানা হতে পারে না। তাই পবিত্র কুরআনও বিয়ের ক্ষেত্রে দ্বীনদারিতে সমতা রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।

কুফু সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/4541/

বিয়ের পর ওলিমার আয়োজন করা সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/52878/

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. আপনি আপনার পিতা মাতাকে বুঝাবেন। তারপরও যদি তারা এমন পরিবেশ করে যার ফলে নারী পুরুষ ফ্রি-মিক্সিং ইত্যাদি হবে। তাহলে এতে আপনার পিতা মাতার গোনাহ হবে, আপনার নয়।

২. ছেলে দ্বীনদার কি না এটা দেখবেন এভাবে যে, সে নামাজ-কালাম ঠিকমত পড়ে কি না। ইসলামী বিধি-বিধান ঠিকমত মেনে চলে কি না। মুখে দাড়ি আছে কি না ইত্যাদি।

৩. কনের বাড়ীতে দাওয়াত খাওয়া সংক্রান্ত জানুন- https://ifatwa.info/52878/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...