ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছে-
وَعَن عَائِشَةَ قَالَتْ: قَالَ النَّبِيُّ
صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ أَعْظَمَ النِّكَاحِ بَرَكَةً
أَيْسَرُهُ مُؤْنَةً» . رَوَاهُمَا الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সর্বাপেক্ষা উত্তম বিবাহ
হলো স্বল্প খরচে সম্পন্ন করা। (বায়হাক্বী হাদীস দু’টি শু’আবুল ঈমান গ্রন্থে বর্ণনা
করেছেন) মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
বিয়ের আগে পাত্রপাত্রীর যে
বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে তার মধ্যে ‘কুফু’ অন্যতম।
আরবি ‘কুফু’ শব্দের অর্থ
সমতা, সমান, সাদৃশ্য, সমকক্ষ, সমতুল্য ইত্যাদি।
বিয়ের ক্ষেত্রে বর-কনের
দ্বীনদারি, সম্পদ, বংশ, সৌন্দর্যতা সব কিছু সমান সমান বা কাছাকাছি হওয়াকে ইসলামী পরিভাষায় কুফু বলে।
স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের
রুচি, চাহিদা, অর্থনৈতিক অবস্থান খুব বেশি ভিন্ন হলে সেখানে সুখী দাম্পত্যজীবন প্রতিষ্ঠা
কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। একজন উচ্চ শ্রেণীর ছেলেমেয়ের চাহিদা-রুচির সাথে একজন দরিদ্র বা
মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়ের রুচিবোধের মিল না থাকাটাই স্বাভাবিক।
আবার একজন দ্বীনদার পাত্রপাত্রীর সাথে একজন
ধর্মবিষয়ে উদাসীন পাত্রপাত্রীর জীবনাচার নাও মিলতে পারে। দ্বীনদার চাইবে সব কিছুতে
ধর্মের ছাপ থাকুক। আর দীনহীন চাইবে সব কিছু ধর্মের আবরণমুক্ত থাকুক। সুতরাং এ
দুইয়ের একত্রে বসবাস কখনো শান্তি-সুখের ঠিকানা হতে পারে না। তাই পবিত্র কুরআনও
বিয়ের ক্ষেত্রে দ্বীনদারিতে সমতা রক্ষার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছে।
কুফু সম্পর্কে আরো
বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/4541/
বিয়ের পর ওলিমার আয়োজন করা সম্পর্কে জানুন- https://ifatwa.info/52878/
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
১. আপনি আপনার পিতা মাতাকে বুঝাবেন।
তারপরও যদি তারা এমন পরিবেশ করে যার ফলে নারী পুরুষ ফ্রি-মিক্সিং ইত্যাদি হবে।
তাহলে এতে আপনার পিতা মাতার গোনাহ হবে, আপনার নয়।
২. ছেলে দ্বীনদার কি না এটা দেখবেন এভাবে যে, সে নামাজ-কালাম ঠিকমত পড়ে কি না। ইসলামী বিধি-বিধান ঠিকমত মেনে চলে কি না। মুখে দাড়ি আছে কি না ইত্যাদি।
৩. কনের বাড়ীতে দাওয়াত খাওয়া
সংক্রান্ত জানুন- https://ifatwa.info/52878/