জামাআতের সাথে নামাজ আদায় কারীর জন্যে ইকামত দেওয়া সুন্নাত।
একাকী নামাজ আদায় কারীর জন্য ইকামত দেওয়া মুস্তাহাব।
,
★যদি একাকী নামাজ আদায় কারী ইকামত না দেয়,তাহলে মাকরুহ হবেনা।
নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
জামায়াতের সহিত নামাজ যদি ইকামত ছাড়া হয়,তাহলে মাকরুহ হবে,সুন্নাতের খেলাফ হবে।
,
উকবা ইবনু আমির রাযি. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ ﷺ-কে বলতে শুনেছি যে,
يَعْجَبُ رَبُّكَ مِنْ رَاعِي غَنَمٍ فِي رَأْسِ شَظِيَّةِ الْجَبَلِ يُؤَذِّنُ بِالصَّلاَةِ وَيُصَلِّي فَيَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ انْظُرُوا إِلَى عَبْدِي هَذَا يُؤَذِّنُ وَيُقِيمُ الصَّلاَةَ يَخَافُ مِنِّي قَدْ غَفَرْتُ لِعَبْدِي وَأَدْخَلْتُهُ الْجَنَّةَ
তোমার রব সে ব্যক্তির উপর খুশি হন, যে পাহাড়ের উচ্চশৃঙ্গে বকরী চরায় এবং নামাযের জন্য আযান দেয় ও নামায আদায় করে। আল্লাহ তাআলা বলেন, আমার এই বান্দাকে দেখ! নামাযের জন্য সে আযান ও ইকামত দিচ্ছে। সে আমাকে ভয় করছে। আমি আমার বান্দাকে ক্ষমা করে দিলাম ও জান্নাতে প্রবেশ করালাম। (আবু দাউদ ১২০৩)
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
একাকী নামাজ আদায় কালে ইকামত দেওয়া আবশ্যকীয় নয়।
ইকামত ছাড়া একাকী নামাজ আদায় করলে কোনো সমস্যা হবেনা।
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির ইকামত দেওয়া জরুরি নয়। না দিলেও নামাজ হয়ে যাবে।
(০২)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
নজর হেফাজতের জন্য করনীয় হলোঃ-
*সর্বদা মনে রাখতে হবে যে মহান আল্লাহ আমাকে দেখছেন।
*সর্বদা মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যেকটি দৃষ্টি সম্পর্কে কিয়ামতের দিন আমাকে প্রশ্ন করা হবে ।
*একবার দেখলে সমস্যা নেই, এই ভূল বুঝটি অন্তর থেকে দূর করে দিতে হবে
* সামর্থ্য থাকলে দ্রুত বিবাহ করা, না হয়, রোযা রাখা।
* মনে রাখা যে, এটা এক ধরনের যেনা (ব্যাভিচার) যা চোখ দ্বারা সম্পন্ন হয়ে থাকে ।
*পূর্ণ মনোযোগের সঙ্গে নামাজ আদায় করা । কারণ, নামাজ মানুষকে যাবতীয় গুনাহ থেকে দূরে রাখে।
*সেসব স্থান পরিহার করা, যেখানে সর্বদা অশালীন কথা ও কাজ হয়ে থাকে।
*যেই রাস্তায়/যেই এলাকায় গেলে বেপর্দা নারী বেশি চোখে পড়ে,সেই রাস্তায়/সেই এলাকায় যথাসম্ভব না যাওয়া।
*কোনো কিছু দেখার সময় আল্লাহ তায়ালাকে স্মরণ করা ।
*অসৎ সঙ্গ থেকে দূরে থাকা ।