হারাম টাকায় ব্যবসা করাও নাজায়েজ।
,
তবে কঠিন প্রয়োজন বশত এমনটি হলে উক্ত ব্যবসার লভ্যাংশ ব্যবহারের অনুমতি কিছু ইসলামী স্কলারগন দিয়েছেন। তারা বলেছেন যে এটি সেই ব্যবসায় তার পরিশ্রমের বিনিময়।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ مَخْلَدِ بْنِ خُفَافٍ قَالَ : ابْتَعْتُ غُلَامًا فَاسْتَغْلَلْتُه ثُمَّ ظَهَرْتُ مِنْهُ عَلٰى عَيْبٍ فَخَاصَمْتُ فِيهِ إِلٰى عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ فَقَضٰى لِىْ بِرَدِّه وَقَضٰى عَلَىَّ بِرَدِّ غَلَّتِه فَأَتَيْتُ عُرْوَةَ فَأَخْبَرْتُه فَقَالَ : أَرُوْحُ إِلَيْهِ الْعَشِيَّةَ فَأُخْبِرُه أَنَّ عَائِشَةَ أَخْبَرَتْنِىْ أَنَّ رَسُوْلَ اللّٰهِ ﷺ قَضٰى فِىْ مِثْلِ هٰذَا : أَنَّ الْخَرَاجَ بِالضَّمَانِ فَرَاحَ إِلَيْهِ عُرْوَةُ فَقَضٰى لِىْ أَنْ اٰخُذَ الْخَرَاجَ مِنَ الَّذِىْ قَضٰى بِه عَلَىِّ لَه
মাখলাদ ইবনু খুফাফ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একটি দাস কিনেছিলাম এবং তার মাধ্যমে কিছু উপার্জনও করিয়েছিলাম। অতঃপর আমি তার মধ্যে একটি দোষ সম্পর্কে অবগত হলাম এবং শাসনকর্তা ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ)-এর কাছে আমি তার বিষয়ে অভিযোগ করলাম। তিনি বিচার করলেন যে, আমি তাকে ফেরত দিতে পারবো, তবে অবশ্যই তার দ্বারা উপার্জিত সব কিছুই আমাকে ফেরত দিতে হবে। আমি ‘উরওয়াহ্ (রহঃ)-এর নিকট এ রায় জানালাম। তিনি বললেন, আমি সন্ধ্যাকালেই শাসনকর্তার নিকট যাবো এবং তাঁকে অবহিত করবো। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ জাতীয় ঘটনায় রায় দিয়েছেন যে, উপার্জিত আয় তার তত্ত্বাবধান ব্যয় বলে সাব্যস্ত হবে। ‘উরওয়াহ্ (রহঃ) সন্ধ্যাকালেই ‘উমার ইবনু ‘আবদুল ‘আযীয (রহঃ)-এর কাছে গেলেন। এমতাবস্থায় তিনি বিচার করলেন যে, উক্ত উপার্জিত আয় তিনি পূর্বে (প্রথমে) যাকে দেয়ার জন্য আদেশ করেছিলেন তার কাছ থেকে আমি যেন তা ফেরত নেই।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ২৮৭৯)
উক্ত সম্পদ দ্বারা ব্যবসা করে যে লভ্যাংশ অর্জিত হয়েছে বা হবে,তাহা গ্রহন করা জায়েজ নেই,এটিই অনেক ইসলামী স্কলারদের মত।
★তবে ইমাম শাফেয়ী ও মালেক রহঃ এর মতে সে ব্যাক্তি লভ্যাংশ নিজের পরিশ্রমের বিনিময় বা পারিশ্রমিক হিসাবে গ্রহণ করতে পারবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১)।
তবে তাদের মতেও এহেন ব্যবসার লাভ পরিত্যাগ করাই অধিকতর নিরাপদ ও তাক্বওয়াপূর্ণ।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে যে আপনি শুধু সটওয়্যার এর মাসিক সাবস্ক্রিপশন এর টাকা এবং আমার ডিজাইন করা টিশার্ট বিক্রি করার জন্য ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন দেয়ার টাকা আপনার আব্বুর থেকে নিবেন।
এক্ষেত্রে আপনি যে টিশার্ট ডিজাইন করবেন এবং তা টিশার্ট ও অন্যান্য পণ্যের উপর প্রিন্ট করে বিক্রি করবেন,এই বিক্রয়ের টাকাকে হারাম বলা যায়না ।
এটি হালাল।
তবে এখানে হারাম টাকার কিছুটা ব্যবহার থাকায় উক্ত টাকা ব্যবহার করবেননা।
হালাল টাকা ব্যবহারের চেষ্টা করবেন।
(০২)
আপনি এভাবে ধার নিতে পারেন।
পরবর্তীতে আপনি হালাল টাকায় আপনার আব্বুকে টাকা শোধ করে দিবেন।
তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা।
(০৩)
আপনি বলবেন যে তাহা হতে ৪৫০০০ টাকা ধার নিবো।
অথবা পুরো টাকা ধার নেয়ার কথা বলবেন।
ধার নেয়ার ক্ষেত্রে এভাবে অস্পষ্টতা রাখবেননা।
(০৪)
আপনি জানার ভিত্তিতে ও প্রবল ধারনার ভিত্তিতে সূদের টাকা নির্ণয় করে সেই পরিমান টাকা গরিব মিসকিনকে ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দিবেন।
তাহলেই ব্যবসার ইনকাম হালাল হবে।
(০৫)
আপনার ইনকাম হালাল হবে।
(০৬)
আপনি অনির্দিষ্টকালের জন্যেও ধার নিতে পারেন।
আপনার বাবা রাজি থাকলে তাতে সমস্যা নেই।
(০৭)
আপনার ইনকাম হালাল হবে।
(০৮)
আপনার ইনকাম হালাল হবে।
(০৯)
আপনি যতটাকা এভাবে খাবেন,সেই পরিমাণ টাকা পরবর্তীতে আনুমানিক একটি হিসেব করে গরিব মিসকিনকে দান করে দিবেন।