আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
169 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (37 points)
খাওয়ার সময় জুদি আমার কারও প্রয়োজন পড়ে তাহলে আমি কি তাকে ডাকতে পারব  কি ? বা কেউ জুদি কোন দরকারে ডাকে সেই ক্ষেত্রে খাবার ছেড়ে কি আমি অই কাজে যেতে পারব কি ? নাকি এতে আমার কবিরা বা সগিরা গুনাহ বা মাকরুহ  বা কুফর বা শিরক হবে কি  ? নাকি কোন গুনাহ হবে না ?

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

খাবার খাওয়ার সময় কথা বলা হাদীস শরীফ দ্বারা প্রমানীত, তাই প্রচলিত প্রশ্নে উল্লেখিত কথাটি শরীয়ত সম্মত নয়।

এই সময় ভালো কথাবার্তা বলবে।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে খাবার খাওয়ার সময় চুপ থাকাকে অগ্নিপুজক দের তরিকা বলে আখ্যায়িত করেছেন।

তবে কেহ যদি এসময় চুপ থাকাকে সুন্নাত বা জরুরি মনে না করে,এমনিতেই চুপ থাকে,তাহলে এটি জায়েজ আছে। কোনো সমস্যা নেই।

,

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، أَخْبَرَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ، عَنْ أَبِي زُرْعَةَ بْنِ عَمْرِو بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ أُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِلَحْمٍ فَرُفِعَ إِلَيْهِ الذِّرَاعُ فَأَكَلَهُ وَكَانَتْ تُعْجِبُهُ فَنَهَسَ مِنْهَا نَهْسَةً ثُمَّ قَالَ " أَنَا سَيِّدُ النَّاسِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ هَلْ تَدْرُونَ لِمَ ذَاكَ يَجْمَعُ اللَّهُ النَّاسَ الأَوَّلِينَ وَالآخِرِينَ فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ فَيُسْمِعُهُمُ الدَّاعِي وَيَنْفُذُهُمُ الْبَصَرُ وَتَدْنُو الشَّمْسُ مِنْهُمْ فَيَبْلُغُ النَّاسُ مِنَ الْغَمِّ وَالْكَرْبِ مَا لاَ يُطِيقُونَ وَلاَ يَحْتَمِلُونَ فَيَقُولُ النَّاسُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ أَلاَ تَرَوْنَ مَا قَدْ بَلَغَكُمْ أَلاَ تَنْظُرُونَ مَنْ يَشْفَعُ لَكُمْ إِلَى رَبِّكُمْ فَيَقُولُ النَّاسُ بَعْضُهُمْ لِبَعْضٍ عَلَيْكُمْ بِآدَمَ

ثم ذكر حديث الشفاعة الطويل .

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে গোশত আনা হলো। তারপর তাকে সামনের একটি রান উঠিয়ে দেয়া হলো। তিনি তা খুবই পছন্দ করতেন- আর তিনি তা দাঁত দিয়ে ছিড়ে ছিড়ে খেতে থাকলেন। তারপর তিনি বললেনঃ  কিয়ামাত দিবসে আমিই হবো সকল মানুষের নেতা। তোমরা কি জান এর কারণ কি? আল্লাহ তা'আলা সেদিন পূর্বেকার ও পরের সকল মানুষকে এক জায়গায় সমবেত করবেন।

 

একজনের আওয়াজই সবার কাছে পৌছে যাবে এবং সবাই একজনের দৃষ্টিসীমার মধ্যে থাকবে। সূর্য তাদের খুব নিকটে এসে যাবে। মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ ও সামর্থ্যের অতীত দুর্ভাবনায় পড়ে যাবে এবং ধৈর্যহারা হয়ে পড়বে। তারা পরস্পরকে বলবে, তোমরা কি এ দুঃসহ বিপদ দেখতে পাচ্ছ না? তোমাদের প্রভুর নিকট তোমাদের জন্য সুপারিশ করতে পারে এরূপ কাউকে খুঁজে দেখছ না কেন? লোকেরা একে অপরকে বলবে, তোমাদের উচিত আদম (আঃ)-এর কাছে যাওয়া।  (অতঃপর শাফায়াত সংক্রান্ত লম্বা হাদীস উল্লেখ করেন।) তিরমিজি, হাদীস নং-২৪৩৪

قال النووي: " وَفِيهِ اِسْتِحْبَاب الْحَدِيث عَلَى الْأَكْل تَأْنِيسًا لِلْآكِلِينَ". انتهى من "شرح صحيح مسلم

সারমর্মঃ এই হাদীস দ্বারা খাবার খাওয়ার সময় কথা বলা মুস্তাহাব বুঝায়,,,

 

"ويكره السكوت حالة الأكل؛ لأنه تشبه بالمجوس، و يتكلم بالمعروف".

সারমর্মঃ খাবার খাওয়ার সময় চুপ থাকা মাকরুহ,কেননা এর দ্বারা অগ্নি পুজকদের সাথে সাদৃশ্যতা হয়। এক্ষেত্রে ভালো কথাবার্তা বলবে। রদ্দুল মুহতার, ৬/৩৪০

 

"يكره السكوت حالة الأكل؛ لأنه تشبه بالمجوس، كذا في السراجية. ولايسكت على الطعام ولكن يتكلم بالمعروف وحكايات الصالحين، كذا في الغرائب"

সারমর্মঃ খাবার খাওয়ার সময় চুপ থাকা মাকরুহ,কেননা এর দ্বারা অগ্নি পুজকদের সাথে সাদৃশ্যতা হয়। ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া, ৫/৩৪৫

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

হ্যাঁ, খাওয়ার সময়  প্রয়োজনে কাউকে ডাকতে পারবেন। আবার খাবার ছেড়ে প্রয়োজনে ঐ কাজেও যেতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। কোনো গোনাহও হবে না ইনশাআল্লাহ। তবে খাবার যেনো অপচয় না হয় সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...