আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
344 views
in সালাত(Prayer) by (41 points)
আসসালামু আলাইকুম।
ফরজ নামাজে ইমাম সাহেব যে কিছু নামাজে উচ্চ ও কিছু নামাজে নিম্ন স্বরে কিরাত পাঠ করেন এটার সুনির্দিস্ট কোন কারণ আছে কিনা?অনেকে বলে থাকেন যে, ইসলামের প্রাথমিক জামানায় যেহেতু  ইসলামের শত্রুদের থেকে ক্ষতির আশঙ্কা ছিল সেহেতু দিনের বেলার নামাজ সমূহে নিম্ন স্বরে ও রাতের নামাজে উচ্চ স্বরে তিলাওয়াত করা হতো। বিষয়টি সুস্পস্ট করলে কৃতজ্ঞ থাকব।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি নিম্নস্বর ও উচ্ছস্বরের নামায সম্পর্কে হে হেকমতের কথা উল্লেখ করেছেন,সেটা বিশুদ্ধ কোনো দলীল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত নয়।বহুদিন পূর্বে মাসিক মদীনায় এরকম একটি আর্টিকেল পড়েছিলাম। এমতের পক্ষে আরো কিছু প্রমাণ পাওয়া যায় যে,

মক্কায় যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ নির্যাতিত নিপীড়িত ছিলেন,তাই মক্কায় এরকম পড়তেন।এবং পরবর্তীতে এটাকেই বহাল রাখা হয়েছে।মদীনায় আসার পর যত নামায ফরয হয়েছে,তা দিনের হোক বা রাতের, তাতে উচ্ছস্বরেই কেরাত পড়ার বিধান রয়েছে।যেমন,ঈদের নামায,জুমুআর নামায,সালাতুল খুসুফ,সালাতুল কুসুফ।ইত্যাদি, ইত্যাদি।

তবে এছাড়া আরো কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম মনে করেন,এভাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ পড়েছেন,বিধায় আমাদের জন্যওএভাবে পড়া ওয়াজিব।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।(সূরা আহযাব-২১)

তাছড়া রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
তোমরা আমাকে দেখে নামায পড়ো।

সুতরাং যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ পড়েছেন,তাই আমাদের জন্য জোড়ের জায়গায় জোড়ে আর আস্তের জায়গায় আস্তে নামায পড়া ওয়াজিব।

মোটকথা এ সম্পর্কে স্পষ্টত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়না।তবে প্রথম মতটাই যুক্তি সংগত মনে হচ্ছে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...