বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনি নিম্নস্বর ও উচ্ছস্বরের নামায সম্পর্কে হে হেকমতের কথা উল্লেখ করেছেন,সেটা বিশুদ্ধ কোনো দলীল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত নয়।বহুদিন পূর্বে মাসিক মদীনায় এরকম একটি আর্টিকেল পড়েছিলাম। এমতের পক্ষে আরো কিছু প্রমাণ পাওয়া যায় যে,
মক্কায় যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ নির্যাতিত নিপীড়িত ছিলেন,তাই মক্কায় এরকম পড়তেন।এবং পরবর্তীতে এটাকেই বহাল রাখা হয়েছে।মদীনায় আসার পর যত নামায ফরয হয়েছে,তা দিনের হোক বা রাতের, তাতে উচ্ছস্বরেই কেরাত পড়ার বিধান রয়েছে।যেমন,ঈদের নামায,জুমুআর নামায,সালাতুল খুসুফ,সালাতুল কুসুফ।ইত্যাদি, ইত্যাদি।
তবে এছাড়া আরো কিছু সংখ্যক উলামায়ে কেরাম মনে করেন,এভাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ পড়েছেন,বিধায় আমাদের জন্যওএভাবে পড়া ওয়াজিব।কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।(সূরা আহযাব-২১)
তাছড়া রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
তোমরা আমাকে দেখে নামায পড়ো।
সুতরাং যেহেতু রাসূলুল্লাহ সাঃ পড়েছেন,তাই আমাদের জন্য জোড়ের জায়গায় জোড়ে আর আস্তের জায়গায় আস্তে নামায পড়া ওয়াজিব।
মোটকথা এ সম্পর্কে স্পষ্টত কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়না।তবে প্রথম মতটাই যুক্তি সংগত মনে হচ্ছে।