জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামী খিলাফত থাকলে এমন কটূক্তিকারী/গালীদাতাকে মৃত্যুদন্ডের শাস্তি দেয়া হতো। যার অসংখ্য নজীর ইসলামী খিলাফতের সময়কার পাওয়া যায়।
فَإِنْ تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَإِخْوَانُكُمْ فِي الدِّينِ ۗ وَنُفَصِّلُ الْآيَاتِ لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٩:١١]وَإِنْ نَكَثُوا أَيْمَانَهُمْ مِنْ بَعْدِ عَهْدِهِمْ وَطَعَنُوا فِي دِينِكُمْ فَقَاتِلُوا أَئِمَّةَ الْكُفْرِ ۙ إِنَّهُمْ لَا أَيْمَانَ لَهُمْ لَعَلَّهُمْ يَنْتَهُونَ [٩:١٢]أَلَا تُقَاتِلُونَ قَوْمًا نَكَثُوا أَيْمَانَهُمْ وَهَمُّوا بِإِخْرَاجِ الرَّسُولِ وَهُمْ بَدَءُوكُمْ أَوَّلَ مَرَّةٍ ۚ أَتَخْشَوْنَهُمْ ۚ فَاللَّهُ أَحَقُّ أَنْ تَخْشَوْهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ [٩:١٣]
অবশ্য তারা যদি তওবা করে, নামায কায়েম করে আর যাকাত আদায় করে, তবে তারা তোমাদের দ্বীনী ভাই। আর আমি বিধানসমূহে জ্ঞানী লোকদের জন্যে সর্বস্তরে র্বণনা করে থাকি। আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে, তবে কুফর প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর। কারণ, এদের কেন শপথ নেই যাতে তারা ফিরে আসে। তোমরা কি সেই দলের সাথে যুদ্ধ করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের শপথ এবং সঙ্কল্প নিয়েছে রসূলকে বহিস্কারের? আর এরাই প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করেছে। তোমরা কি তাদের ভয় কর? অথচ তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও। {সূরা তওবা-১১-১৩}
আল্লামা জালালুদ্দীন সুয়ুতী রহঃ এ আয়াতের দ্বারা দলিল দিয়ে বলেন- যে ব্যক্তি ইসলাম বা কুরআনের বিরুদ্ধে খারাপ মন্তব্য করে, অথবা রাসূল সাঃ এর ব্যাপারে মন্দ কথা বলে ঐ ব্যক্তিকে হত্যা করা হবে। {মাহাসিনুত তাওয়ীল-৫/১৪২}
ابن عباس أن أعمى كانت له أم ولد تشتم النبى -صلى الله عليه وسلم- وتقع فيه فينهاها فلا تنتهى ويزجرها فلا تنزجر – قال – فلما كانت ذات ليلة جعلت تقع فى النبى -صلى الله عليه وسلم- وتشتمه فأخذ المغول فوضعه فى بطنها واتكأ عليها فقتلها فوقع بين رجليها طفل فلطخت ما هناك بالدم فلما أصبح ذكر ذلك لرسول الله -صلى الله عليه وسلم- فجمع الناس فقال ্র أنشد الله رجلا فعل ما فعل لى عليه حق إلا قام গ্ধ. فقام الأعمى يتخطى الناس وهو يتزلزل حتى قعد بين يدى النبى -صلى الله عليه وسلم- فقال يا رسول الله أنا صاحبها كانت تشتمك وتقع فيك فأنهاها فلا تنتهى وأزجرها فلا تنزجر ولى منها ابنان مثل اللؤلؤتين وكانت بى رفيقة فلما كانت البارحة جعلت تشتمك وتقع فيك فأخذت المغول فوضعته فى بطنها واتكأت عليها حتى قتلتها. فقال النبى -صلى الله عليه وسلم- ্র ألا اشهدوا أن دمها هدر
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। এক অন্ধ সাহাবীর একটি উম্মে ওয়ালাদ বাদি ছিল। সে বাদিটি রাসূল সাঃ কে গালাগাল করতো। অন্ধ সাহাবী তাকে নিষেধ করেন, কিন্তু সে নিষেধ অমান্য করে, তিনি তাকে হুমকি দেন, তাতেও সে বিরত থাকে না। তিনি বলেন, একদা রাতে বাদিটি রাসূল সাঃ কে গালাগাল শুরু করে, তখন সাহাবী খঞ্জর নিয়ে তার পেটে চেপে ধরলেন। এবং জোরে চাপ দিলেন। ফলে বাদিটি মারা গেল। এমনকি বাদিটি দুই পায়ের মাঝখান দিয়ে পেটের বাচ্চা বের হয়ে যায়। বাচ্চাটি রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। সকালে বিষয়টি রাসূল সাঃ এর কাছে উপস্থাপিত হয়। তখন রাসূল সাঃ সবাইকে একত্র করে বলেন, যে এ কাজ করেছে তাকে আল্লাহর কসম ও আমার উপর থাকা তার হকের কসম দিচ্ছি সে যেন দাঁড়িয়ে যায়। তখন সেই অন্ধ সাহাবী দাঁড়ালেন। তিনি লোকদের ভীর ঠেলে কাঁপতে কাঁপতে এগিয়ে গেলেন। রাসূল সাঃ এর সামনে গিয়ে বসে পড়লেন। তারপর বললেন-হে আল্লাহর রাসূল! সে আপনাকে গালাগাল করতো, আপনার কুৎসা রটাতো। আমি তাকে এসব করতে বাঁধা দিতাম। কিন্তু সে বিরত হতো না। তাকে হুমকি ধামকি দিতাম, তবু সে থামতো না। আর আমার হীরার টুকরোর মত দু’টি সন্তান তার গর্ভ থেকে আছে। আমি তাকে খুব ভালবাসতাম। গতরাতে সে যখন সে আপনাকে গালাগাল শুরু করে, কুৎসা বলতে থাকে, তখন আমি একটি খঞ্জর তার পেটে চেপে ধরি। তারপর তা চাপ দিয়ে তাকে হত্যা করি। তখন রাসূল সাঃ বললেন- লোকেরা! তোমরা স্বাক্ষ্যি থাক! এর প্রাণটা বেঘোরে গেল। (কোন বদলা নেয়া ছাড়া অনর্থক প্রাণ বিসর্জিত হল)। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৩৬৩, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১০৩, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১১৯৮৪, বুলুগুল মারাম, হাদীস নং-১২০৪}
এটা বাস্তবায়ন করবে সরকার।
যেহেতু ইউরোপ-আমেরিকায় ইসলামী শাসন ব্যবস্থা নেই, তাই মৃত্যুদন্ড দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
,
যারা মানুষের কাছে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছান,যারা দ্বীনের দায়ী,যেমনটি প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছে, তাদেরকে অবশ্যই সতর্কতার সাথে কাজ করতে হবে।
দাওয়াত দিতে গিয়ে দেখা যায় যে কিছু খ্রিষ্টান
নবী (সা.)-কে নিয়ে,জিহাদ নিয়ে কটূক্তি করে;গালি দেয়, কিংবা নবী (সা.)-এর নামে বিভিন্ন খারাপ কথা প্রচার করে বেড়ায় তারাও জানে যে, নবী (সা.) ছিলেন একজন মহান মানুষ।
অনেক সময় ইসলাম সম্পর্কে না জানার কারনে তারা এমনটি বলে থাকে,
আবার অনেক সময় তাদের কেহ কেহ নবী (সা.)-কে কটুক্তি করার মাধ্যমে কিছু মুসলিমদের চরিত্র ও আচার-আচরণ মানুষের সামনে তুলে ধরতে চায়। তারা এর মাধ্যমে বুঝাতে চায় যে, যারা নবী (সা.)-কে অনুসরণ করে তাদের আচার-আচরণ ভালো নয়।
,
সর্বছুরতেই তাদের এহেন কাজকে কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায়না।
তবে দ্বীনের দায়ীর জন্য ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে: আপনি হয়ত শুনেছেন যে, কেউ নবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করেছে সাথে সাথেই আপনি উত্তেজিত হয়ে পড়বেন না এবং আবেগ প্রবল হয়ে পড়বেন না। বরং আগে আপনি বিষয়টি সম্পর্কে জ্ঞানার্জন করতে হবে,ভালোভাবে বুঝাতে হবে। অতঃপর শান্তভাবে তাদেরকে বুঝাইতে হবে। এটাই ইসলামের শিক্ষা।
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন,
.....لتبلون في أموالكم وانفسكم ولتسمعن من الذين
হে মুসলমানগণ! তোমাদের অবশ্যি ধন ও প্রাণের পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হবে এবং তোমরা আহলে কিতাব ও মুশরিকদের থেকে অনেক কষ্টদায়ক কথা শুনবে। যদি এমন অবস্থায় তোমরা সবর ও তাকওয়ার নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত থাকো তাহলে তা হবে বিরাট সাহসিকতার পরিচায়ক। (সূরা-আল ইমরান, আয়াত-১৮৬)
.
যদি বেশি সমস্যাকর মনে করেন,তাহলে দেশীয় আইনের সহায়তা নিতে পারেন।