আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
177 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (24 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
প্রিয় শায়েখ,
আমার আগের প্রশ্ন ও আপনাদের উওর :
https://ifatwa.info/53555/
https://ifatwa.info/53631/

★আজ রাতে ওয়াশরুমে যাবার পর বার বার তালাক শব্দটি মনে পড়ছিল। আর মনে হচ্ছে মুখ দিয়ে বেরিয়ে যাবে। ঠোট চেপে রাখার পরও মনে হচ্ছে জিব্বা নড়ে যাচ্ছে। এবং অস্পষ্ট কোন শব্দ করে ফেলছি। ওয়াইফ এর কথা ও মনে পড়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে ওয়াইফকে বাদ দেবার নিয়ত করে ফেলছি। বাহিরে এসে মনে হচ্ছে আমি তো উচ্চারণ করে ফেলেছি। তারপরে আবার ভয়ে বুকের ভিতর ধড়পড় শুরু হচ্ছে। বুকের ভিতর জালা করছে। এতে কি তালাক হবে হুজুর???

★★ আমাদের বাসার গেটের সামনে আমি ও আমার ওয়াইফ দাড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ বাসার সামনে কিছু হট্টোগোল শোনা গেল। আমার ওয়াইফ গেটের পর্দা সরিয়ে দেখছিল। তাই আমি রেগে গিয়ে বললাম "সরো এখান থেকে "।  বলার পর মনে হল এটা কেনায়া শব্দ।  তারপর আমি তালাক শব্দটি যেন মনে না চলে আসে তার জন্য চেষ্টা করছিলাম। তারপরেও মনে চলে আসছিল তালাক দিলাম।
এটা কি কেনায়া শব্দ হবে ?

ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন :

https://photos.app.goo.gl/cqooWaXTL2xnsbKs9

মানসিক ডাক্তার এর সাথে কথা বলছি। আমার OCD (চিন্তার বাতিকগ্রস্ত) রোগ আছে। ওষধ খাওয়া শুরু করছি। মনে সবসময় ভয় কাজ করে। মনে হচ্ছে আমি মনে হয় যেনা করে যাবো আজীবন। এমন ভয় মনের ভিতর চলে আসছে। নামাজ পড়তে বা কোন ইসলামি কাজে মন বসাতে পারছি না। সাধারন কোন কাজেও মন বসাতে পারছি  না। সারাদিন এসব নিয়ে চিন্তা করি।
এভাবে তো আমি মারা যাবো হুজুর। দয়া করে আমাকে শেষ বারের মতো একটু মন খুলে এডভাইস করুন। আল্লাহ আপনার উওম প্রতিদান দিন।
যাজাকাল্লাহু খইরান।
by (1 point)
প্রশ্নকারীকে পরামর্শ হল, আপনি দ্রুত ভাল কোন সাইকিয়াট্রিস্ট এর শরাণাপন্ন হোন। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে।
অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়। ইনশাআল্লাহ এ রোগ মেডিসিন ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয়, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (685,200 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,

إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ تَجَاوَزَ لأُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ وَحَدَّثَتْ بِهِ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ بِهِ

‘নিশ্চয় আল্লাহ্ তাআলা আমার উম্মতের ওয়াসওয়াসা, মনে মনে কথা বলা ক্ষমা করে দিয়েছেন; যতক্ষণ না সে কর্ম করে কিংবা কথা বলে।’ (সহিহ বুখারী ৬৬৬৪ সহিহ মুসলিম ১২৭)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত কোনো ছুরতেই তালাক হবেনা। আপনার বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো ধরণের ক্ষতি হবে না। 

আপনি সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত থাকুন। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি তালাক সংক্রান্ত কোন মাসআলা পড়বেন না। কাউকে জিজ্ঞাসা করতেও যাবেন না। কারো সাথে এ সংক্রান্ত আলাপ ও আলোচনাও করবেন না। 

পরামর্শ থাকবে, আপনি এই ফতোয়া বিভাগ সহ কোনো ফতোয়া বিভাগেই তালাক সংক্রান্ত কোনো প্রশ্ন করবেননা।
,
মনের মাঝে এ বিষয়ক কোন কিছু আসতে দিবেন না। আসলেই অন্য বিষয় নিয়ে মগ্ন হয়ে যাবেন, প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলবেন। ইবনে হাজার আল-হাইতামি রহ. বলেন,
له دواء نافع وهو الإعراض عنها جملة كافية ، وإن كان في النفس من التردد ما كان
‘ওয়াসওয়াসার কার্যকরী চিকিৎসা হল, একে সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে যাওয়া; এমনকি মনের মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও।’ (আল-ফাতাওয়া আল-ফিকহিয়্যা আল-কুবরা ১/১৪৯)

অহেতুক পেরেশানী করে নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না। পরামর্শ থাকবে,  আপনি কিছুদিন বাহিরে থাকুন।
তাবলিগে গিয়ে ৪০ দিন সময় লাগান,চিল্লায় চলে যান,চিকিৎসা নিন।
মনের তীব্র কনফিউশন থেকে নিজেকে মুক্ত করে নিন। 

★সকাল ও সন্ধ্যায় পড়ুন-

أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ

 (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার আশ্রয় প্রার্থনা করি তার অসম্ভষ্টি ও শাস্তি থেকে এবং তার বান্দার অনিষ্ট থেকে এবং শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে ও শয়তানের সংস্পর্শ থেকে।)

★ফজর ও মাগরিবের পর এবং ঘুমানোর আগে সূরা ফালাক ও নাস পড়ুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...