আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
783 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (6 points)
reshown by
আসসালমুআলাইকুম শায়েখ:--------


১@ মনে মনে তালাক উচ্চরণ করলে নিজের কানে শুনতে হবে কিন্তু মনে মনে তালাক উচ্চরণ করলে তো সাধারণভাবে মাথায় চলে যায় মনে হলো শুনতে পেয়েছি। ( অনুরোধ করছে বুঝিয়ে বলবেন উচ্চারণ সম্পর্ক বিষয় টা।


২@ আমি ওয়াসওয়াসা রুগী , সুস্থ হবার জন্য ঘুমের ওষধ খাই , আনমনা হয়ে যখন তখন যা টা বলি , কিন্তু কাল থেকে মনে মনে উচ্চারণ হচ্ছিল তালাকে মলাজ্জা। আমার আখন গোসল করতে গিয়ে মনে মনে বলছি " আমি আমার নিজের নফসে তালাক, বা স্ত্রীর )


এই কথা মনে বলেছি দিয়ে ভাবছি উচ্চরণ হলো নাকি আমি গোসল করছিলাম মুখ হাঁ বা খোলা অবস্থায় ছিল জিব নরেছি কিনা সেটা বোঝার জন্য অন্য কথা বলে দেখলাম । হুজুর বুঝতে পারছিনা । আমার কোনো উদ্দেশ্য ই ছিল না , হটাৎ মুখে বা মনে চলে আসে , বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মনে এবং হালহা মুখে। ( মনে মনে বললে তো মাথায় চলেযায় শুনতে পাওয়া বিষয় বুঝতে পারিনি।) কথা বলার সময় যোদি কি বললো সেটা স্পষ্ট শুনতে পেলনা শুধু বাতাস এর মত শব্দ হলো মুখে তাহলে কি হবে? একটু বুঝিয়ে বলেন


মুখে উচ্চারণ হয়ে গেলে নিয়ত নেই আমি বুঝতে পারছি না কেমন উচ্চারণ এর কথা বলেছেন কিন্তু নিয়ত বা উদ্দেশ্য ছিল না।


*******ওয়াসওয়াসা র জন্য যদি এমন ছোট ছোট কথা বিনা উদ্দেশ্যে উচ্চারণ হয় তালাক হবে?


৩@ কোনো ছেলে যদি বলে আমি আমার নিজের নফসে তালাক দিলাম এই কথার মানে কি বোঝাই। ( Bisoy টা জানার জন্য বললাম।)


৪. হুজুর আমি কিছু খাচ্ছি, সে ক্ষেত্রে আমার ঠোঁট এবং জিহবা নড়বে সাভাবিক। সেই সময় যদি তালাক এর কথা মনে পড়ে বা মনে ওই টা বার বার বিরক্ত করে তাহলে কি তালাক হবে?

দয়া করে ৪ টি প্রশ্নের জবাব দিবেন,,,,


*********ভীষণ চিন্তিত শায়েখ সাহেব, উক্ত বিবরণে কি আমার তালাক হবে শায়েখ। দয়া করে একটু দেখবেন। খুব ভালোবাসি আমি আমর স্ত্রী কে। ওয়াসওয়াসা এর জন্য এমন হচ্ছে।
by (1 point)
প্রশ্নকারীকে পরামর্শ হল, আপনি দ্রুত ভাল কোন সাইকিয়াট্রিস্ট এর শরাণাপন্ন হোন। ওয়াসওয়াসা একটি মানসিক রোগ, যাকে মেডিক্যালের ভাষায় ওবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসওর্ডার(OCD) বলে।
অনেক দিনের শয়তানি ওয়াসওয়াসা মানসিক রোগে পরিণত হয়। ইনশাআল্লাহ এ রোগ মেডিসিন ও কাউন্সিলিং এ ভাল হয়, সাথে আল্লাহর কাছেও এ রোগ মুক্তির জন্য দোয়া করতে হয়।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান হলো, মুখে উচ্চারণ না করে শুধু মনে মনে তালাক দিলে বা মনে মনে শর্ত যুক্ত তালাক দিলে তাহা পতিত হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ زُرَارَةَ بْنِ أَوْفٰى عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ اللهَ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي مَا حَدَّثَتْ بِه„ أَنْفُسَهَا مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَتَكَلَّمْ
قَالَ قَتَادَةُ إِذَا طَلَّقَ فِي نَفْسِه„ فَلَيْسَ بِشَيْءٍ.

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেনঃ আল্লাহ আমার উম্মতের হৃদয়ে যে খেয়াল জাগ্রত হয় তা ক্ষমা করে দিয়েছেন, যতক্ষণ না সে তা কার্যে পরিণত করে বা মুখে উচ্চারণ করে।

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুইতালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

অন্য এক হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
নিজ স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে জিহবা নাড়িয়ে এমন ভাবে উচ্চারণ করতে হবে,যাতে নিশ্চত ভাবে এর আওয়াজ আপনার কানে আসে। 

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা। 

(০৩)
এটি অহেতুল বিষয়। 
এতে কোনক তালাক হবেনা।
ছেলেরা নিজেকে তালাক দিতে পারেনা।

(০৪)
না,প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...