ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নামাযে নারী-পুরুষের মুহাযাত তথা সামনাসামনি হয়ে যাওয়া নামায ভঙ্গের কারণ।তবে মুহাযাতের মাধ্যমে নামায ফাসিদ হতে হলে সাতটি শর্ত রয়েছে।
এরমধ্যে পাঁচ নাম্বার শর্ত হলো,
الخامس كونهما في مكان واحد بلا حائل؛ لأنه يرفع المحاذاة وأدناه قدر مؤخرة الرحل؛ لأن أدنى الأحوال القعود فقدر أدناه به وغلظه كغلظ الإصبع والفرجة تقوم مقام الحائل ولهذا لم يفردها بالذكر وأدناه قدر ما يقوم فيه الرجل، كذا قال الزيلعي.
নারী-পুরুষ উভয় একই স্থানে পাাশাপাশি প্রতিবন্ধকতা বিহীন হওয়া।প্রতিবন্ধকতা মুহাযাতকে বাধা প্রদাণ করে।সর্বনিম্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী হলো,এক আঙ্গুল চওড়া এবং দেড়হাত উচু কিছু একটা মধ্যখানে থাকা।একজন পুরুষ দাড়াতে যতটুকু জায়গার প্রয়োজন মধ্যখানে ততটুকু ফাঁকা জায়গাই মুহাযাতের জন্য প্রতিবন্ধকতার শামিল।(দুরারুল হুক্কাম শরহু গুরারিল আহক্বাম-১/৯১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/9571
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কোনো মহিলা বা পুরুষ যদি নামায বা দোয়ার পর ভিন্ন কোনো আমলে ব্যস্ত থাকে, তাহলে তার একেবারে পাশ ঘেষে অন্য কোনো পুরুষ বা মহিলার জন্য নামায আদায় করা জায়েয হবে না।এবং নামায ফাসিদ হয়ে যাবে। তবে একজন মানুষের যাতায়ত সমপরিমাণ জায়গা মধ্যখানে ফাঁক থাকলে নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
শরীরে এক দিরহাম বা তার চেয়ে বেশী পরিমান নাজাসত থাকলে, শরীর নাপাক বলে বিবেচিত হবে। তবে গোসল ফরয হবে না।হ্যা,উক্ত নাজাসত লেগে যাওয়া স্থানকে ধৌত করা জরুরী।
(৩)
যেভাবে গোসল ফরয হয়না,ঠিক সেভাবে অজুও ফরয হয়না। হ্যা,উক্ত নাজাসত লেগে যাওয়া স্থানকে ধৌত করা জরুরী।
(৪)
এতে যেহেতু তারা মজবুর।তাই যার যার সুবিধা অনুযায়ী তারা চলবে। পাশাপাশি উম্মাহকে পরিপূর্ণ ইসলামি ত্বরিকায় নিয়ে আসার সর্বোচ্ছ চেষ্টা করতে হবে।