আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
58 views
in পবিত্রতা (Purity) by (7 points)
আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ্

#আমার হায়েজ শেষ হয় ৬-৭ দিনের মধ্যে।কখনো দেখা যায় ৫ দিনেই শেষ হয়ে গিয়েছে।তখন ৬ দিনের দিন ফরজ গোসল করে যোহরের নামাজ পড়লে দেখা যায় আসরের সময় আবার ব্লেডিং হচ্ছে। কিন্তু মাগরিব/এষার সময় আর ব্লেডিং হচ্ছে না।

১। এমতাবস্থায় আমাকে কি পুনরায় ফরজ গোসল করতে হবে না শুধু ওযু করে কোরআন পড়তে পারবো?
২। ৬ষ্ঠ দিন আসরের পরে ব্লেডিং হয়ে এষার সময় ব্লেডিং বন্ধ হলে আমি কি পরের দিন ফরজ গোসল করবো না সাথে সাথেই ফরজ গোসল করে এষার নামাজ আদায় করবো?

৩। সাধারণত আমাদের ব্লেডিং ৬-৭ দিনের মধ্যে বন্ধ হয়।৫/৬ তম দিনে হঠাৎ ব্লেডিং বন্ধ হয় ফরজ গোসের পর আবার ব্লেডিং শুরু হয়। এরকম হলে কি প্রতি ওয়াক্তে যখন ব্লেডিং হবে না তখন ফরজ গোসল করে নামাজ আদায় করবো?

1 Answer

0 votes
by (63,200 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://ifatwa.info/40252/  নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে,

শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বনিম্ন সময়সীমা হলো ৩ তিন,আর সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।

এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)

হাদীস শরীফে এসেছে 

أقل الحیض للجاریۃ البکر والثیب ثلاثۃ أیام ولیالیہا وأکثرہ عشرۃ أیام

دار قطني، السنن، 1: 219، رقم: 61

রাসুল সাঃ বলেন  মহিলাদের হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা হলো ৩ দিন ৩ রাত,সর্বোচ্চ সীমা হলো ১০ দিন ১০ রাত।

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে।

উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা। (কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা। (ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )

সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও।

বিস্তারিত জানুনঃ 

https://ifatwa.info/9904/

https://ifatwa.info/38291/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. দশ দিনের মধ্যে যেই রক্ত আসে তা সাধারণত হায়েজের রক্ত হিসেবেই ধরা হবে। সুতরাং ৬/৭ম দিনে সর্বশেষ রক্ত দেখার পর পুনরায় গোসল করতে হবে এবং সালাত আদায় করতে হবে। ফরজ গোসলের পূর্বে শুধু অযু কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয নেই।

২. সাথে সাথেই ফরজ গোসল করে ঈশার সালাত আদায় করতে হবে।

৩. ৬ষ্ঠ বা ৭ম দিনে সর্বশেষ রক্ত দেখা পর্যন্ত কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। অতপর লাস্টলি রক্ত বন্ধ হওয়ার পর ফরজ গোসল করে সালাত আদায় করতে হবে। ফাইনালি রক্ত বন্ধ হওয়ার পূর্বে গোসল করলে উক্ত গোসল পবিত্র হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ হবে না। পবিত্র হওয়ার জন্য পুনরায় গোসল করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...