আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
100 views
in সালাত(Prayer) by (15 points)
আসসালামু আলাইকুম।

আমি পড়ালেখার জন্য ঢাকা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি এবং আমার পরিবার থাকে ঢাকার বাইরে (দূরত্ব ২০০+ কি.মি.) । আমি যদি পরিবারের উদ্দেশ্যে রওনা দেই এবং রাস্তায় থাকাকালীন সালাতের ওয়াক্ত হয় তবে বাসের মধ্যে কিভাবে সালাত আদায় করবো?
এক্ষেত্রে কি রওনা দেওয়ার আগেই যোহর,আসর অথবা মাগরিব,এশার সালাত এক করে পড়া যাবে নাকি বাসের মধ্যেই ওয়াক্তের সালাত আদায় উত্তম?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


শরীয়তের বিধান মতে হজ্বের সময় আরাফা ও মুযদালিফা ছাড়া বাকি সময় মুকিম হোক বা মুসাফির হোক কোন অবস্থায়ই এক নামাযকে অন্য নামাযের সময়ে একসাথে করে পড়া জায়েজ নয়।

তবে আকৃতিগতভাবে একত্রিত করা যাবে, আর তা হচ্ছে যোহরকে তার শেষ সময় পর্যন্ত দেরী করে আদায় করা তারপর আসরকে তার প্রথম ওয়াক্তে আদায় করা। [আদ-দুররুল মুখতার ওয়া হাশিয়া ইবন আবেদীন, ১/৩৮১]

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে রওনা দেওয়ার আগেই যোহর,আসর অথবা মাগরিব,এশার সালাত এক করে পড়া যাবে না
 
আছরের সাথে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে পারবেননা।
আপনি মাগরিবের একেবারে শুরুর ওয়াক্তে মাগরিবের নামাজ আদায় করতে পারেন।
অথবা ট্রেনে আপনি বাসে উঠার আগে চলতি ওয়াক্তের নামাজ আদায় করে বাসে উঠার পর পরবর্তী নামাজের ওয়াক্ত চলে আসলে,ওয়াক্তের মধ্যেই বাস থেকে নেমে নামাজ আদায়ের সুযোগ না থাকলে সেই নামাজ বাসেই আদায় করবেন,এক্ষেত্রে যানবাহনে নামাজ আদায়ের পদ্ধতি অনুযায়ী নামাজ আদায় করবেন।
,
এ সংক্রান্ত জানুনঃ

আপনি যাতায়াতের পথে কসর নামাজ আদায় করবেন।
পূর্ণ নামাজ আদায় করতে হবেনা।

,   
তিরমিজি শরীফের ১৮৮ নং হাদীসে বর্ণিত হয়েছেঃ

حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ جَمَعَ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ مِنْ غَيْرِ عُذْرٍ فَقَدْ أَتَى بَابًا مِنْ أَبْوَابِ الْكَبَائِرِ " .

ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কোন অজুহাত ছাড়াই যে ব্যক্তি দুই ওয়াক্তের নামায একত্রে আদায় করে সে কাবীরা গুনাহের স্তরসমূহের মধ্যে একটি স্তরে পৌছে যায়।
,
বুখারী, মুসলিম, সুনান গ্রন্থকারগণ, মালেক এবং আহমাদ সহ অন্যান্যগণ আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন,
سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه و سلم أَىُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ ؟ قَالَ : « الصَّلاَةُ لِوَقْتِهَا » .
“আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলাম, কোন কাজটি সর্বোত্তম? রাসূল বললেন, সময়মত সালাত আদায় করা”।

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে একটি সূরত করা যায়, সেটি হল-এক নামাযের শেষ সময় আর অন্য নামাযের শুরু সময়ে নামায পড়া। প্রয়োজনের সময় এটি বৈধ পদ্ধতী।
,
যেমন ৩টা বেজে ৩০ মিনিট হল জোহর নামাযের শেষ সময়। আর সাড়ে তিনটা থেকে আসর শুরু হয়ে যায়। তাহলে সাড়ে তিনটার আগ মুহুর্তে জোহর নামায সমাপ্ত করে সাড়ে তিনটার পরপরই আসর নামায পড়ে ফেলা এটা জায়েজ। একে বলা হয় জময়ে’ সূরী।

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 1,131 views
...