আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
675 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (11 points)
edited by
হুজুর আমি আগে প্রশ্ন করেছিলাম। সেখানে এটাও উল্লেখ করেছিলাম যে মোবাইলে তো তালাকের মজলিস হয়না। তালাকের মজলিস ছাড়া কেনায়া বাক্য বলে নিয়ত আবশ্যক। শুধুমাত্র তালাকের মজলিশে কেনায়া বাক্য বললে  তালাক হয়ে  যায়।

স্বামীকে যতবার আমি জিজ্ঞেস করেছি জীবনে কোনোদিন তুমি কেনায়া বাক্য বলার সময় তোমার কি তালাকের নিয়ত ছিলো  সে আমাকে বলেছে না আমার কোনোদিনই তালাকের কোনোদিন নিয়ত ছিলোনা কেনায়া বাক্য বলার ক্ষেত্রে।২ টা যে সে তালাক দিয়েছে সেগুলো ও সে মানতে নারাজ। কিন্তু স্বগুলো স্পষ্ট বাক্য ছিলো। আর কেনায়া বাক্য নিয়ে প্রশ্ন করলেই বলে আমার যালাকের নিয়ত ছিলোনা। বার বার প্রশ্ন করতেও  ভয় লাগে।
হুজুর প্রশ্ন গুলো আমি আবার করছি কারণ আপনি উত্তর দেওয়ার পর আমি একজনকে  দেখিয়েছিলাম  আপনার উত্তর আর আমার প্রশ্ন গুলো। উনি এগুলো দেখে বলসে তুমি তোমার প্রশ্নে সন্দেহের কথা উল্লেখ করসো  তাই হয়তো হুজুর বলসে তালাক হয়নি । কারণ সন্দেহ দিয়ে তালাক হয়না কিন্তু হুজুর আমি কিন্তু আমার প্রশ্নে উল্লেখ করসিলাম যে আমার সন্দেহ আছে কিন্তু আমি জানার জন্য প্রশ্ন করছি । এই জন্য হুজুর আমি আবারো প্রশ্ন করছি। আমি আসলে বেপারটা জানতেও চাই যে আমার ঘটনাগুলোতে  সন্দেহ থাকলে মাসআলা কেমন হবে আর সন্দেহ না থাকলে মাসআলা কেমন হবে। হুজুর আপনি বিরক্ত বোধ করিয়েন না।

১। হুজুর স্ত্রী মোবাইলে তালাক চাইলে স্বামী যদি তাৎক্ষণাৎ কেনায়া বাক্য বলে তাহলে কি তালাক হয়ে যায়? একজন হুজুর বলেছেন  যে স্বামীর তালাকের নিয়ত থাকলে হবে নতুবা হবেনা।আর অলি উল্লাহ হুজুর আপনি বলেছিলেন যে নিয়ত ছাড়া কেনায়া বাক্য বললে  তালাক হয়না।

২,এখন হুজুর আমার প্রশ্ন হলো  এই খেত্রে যদি আমার সন্দেহ থাকে যে মোবাইলে ঝগড়ার সময় আমি তালাক চাওয়ার পর স্বামী কেনায়া বাক্য বলেছে কিনা তাহলে কি মাসআলা কি করম হবে??স্বামীকে এসব ব্যাপারে প্রশ্ন করলে সে বলে আমি তালাকের নিয়তে কিছু বলিনি।

৩, আর যদি আমার সন্দেহ না থাকে আমি যদি স্পষ্ট ই জেনে থাকি যে মোবাইলে ঝগড়ার সময় আমার স্বামীকে আমি বলেছি ছেড়ে দে আমারে তখন সে কেনায়া বাক্য দিয়ে উত্তর দিসে। এই ক্ষেত্রে মাসআলা কি হবে??

৪, একই ভাবে সামনা সামনি যদি ঝগড়ার  সময় বা কথা কাঁটা কাটির সময় আমি স্বামীকে বলি যে ছেড়ে দাও সে উত্তরে কেনায়া বাক্য বলেছে না কি বলেছে হুজুর আল্লাহর কসম আমার মনে নেই। তবে আমার মনে হচ্ছে হয়ত  সে বলসিলো  তরে ছাইড়াই দিবো তুই যা এটা শুধুমাত্র আমার অনুমান আমি ঘটনা একদম ভুলে গেছি। আর তখন আমরা স্বামী স্ত্রী এক জায়গায় বসে ছিলাম কিনা কিংবা আমি বসে ছিলাম  আমার স্বামী দাঁড়িয়ে ছিলো কিংবা সে ঘরের মধ্যেই হাঁটা হাতি করছিলো  আমার কিছুই মনে নাই তবে  আমি তার কাছে প্রায়ই তালাক চাইতাম। উত্তরে সে কি বলসে আল্লাহর কসম হুজুর আমার মনে নাই ।এখন স্বামী ছাইড়া দিবো বলার পরে যদি তুই যা বলে নিয়ত ছাড়া তাহলে  কি তালাক হয়ে যাবে??

৫, আর যদি আমি স্পষ্ট জানি যে ঝগড়ার  সময় বা কথা কাঁটা কাটির সময় আমি তালাক চাওয়ার পর সে বলসে তরে চাইরাই দিবো তুই যা। তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে??

৬, কিংবা সামনা  সামনি ঝগড়ার  সময়কিংবা কথা কাঁটা কাটির সময় আমি বলসি যে ছাইড়া  দে শেও সাথে সাথেই কেনায়া বাক্য বলসে  এই ক্ষেত্রে কি তালাক হয়ে যাবে??

৭. তালাকের মজলিস কি, কিভাবে হয়, কখন শেষ হয় একটু বিস্তারিত বলবেন
৮. হুজুর ৪,৫,৬ এগুলোর ক্ষেত্রে আমরা স্বামী স্ত্রী এক জায়গায় বসে ছিলাম কিনা, কিংবা স্বামী ঘরের মধ্যেই হাঁটা হাঁটি করে জবাব দিসে কিনা, কিংবা ঘরেই দাঁড়িয়ে ছিলো কিনা আমার মনে নাই।

৯।আরেকদিন আমার স্বামী আমাকে বলসিলো ওই তুই যা তখন আমরা সামনা সামনি। কিন্তু এর আগে পরের কিছুই আমার মনে নাই। আমি তালাক চাইসি কিনা মনে নাই। কোন ঘটনা  থেকে যা বলসে  স্বামী তাও মনে নাই।

 দয়া করে হ্যা না দিয়ে উত্তর শেষ না করে আমাকে বুঝিয়ে বলবেন  যে কেনো কোনটা হইসে আর কোনটা কেনো হয়নি ।আমি খুবই পেরেশনি  তে আছি। খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। আমার স্বামী আমাকে আগে ২ টা তালাক দিয়েছে। এই একটা তালাক আমাদের হাতে আছে। হুজুর মেহেরবানী করে আমাকে একটু বুঝিয়ে বলবেন। আমি অনেক ওয়াসওয়াসা গ্রস্ত। গত ২০-২৫ দিন ধরে আমি শান্তি পাচ্ছিনা একটা চিন্তা দূর হলে আরেকটা চিন্তা আসে তালাক বিষয়ে।।সর্বক্ষণ মাথায় এসব ঘুরে। হুজুর আমার মনে হচ্ছে আমি আমার সংসার  টা বাঁচানোর জন্য মিথ্যা বলছি । কিন্তু হুজুর আল্লাহর কসম আমি সামনা সামনি তালাক চাওয়ার পর স্বামী কি বলসিলো  আমার মানে নাই সে কেনায়া বাক্য ও বলতে পারে কিংবা অন্য কিছুও বলতে  পারে আমার একদমই  মনে নাই । আমিতো মিথ্যা বলছিনা হুজুর। আমার কেনো এমন মনে হয় আমি মিথ্যা বলছি।হুজুর আমার স্বামীকে আমি অনেক ভালোবাসি হুজুর। আমার ১৫ মাসের একটিকে বাচ্চা আছে। সে বড় হলে আমি তাকে কি জবাব দিবো। আমি এই বাচ্চাটা আমার স্বামী ছাড়া কিভাবে একা পালবো হুজুর আমাকে বাঁচার রাস্তা দেখিয়ে দেন। আমি আর এই দুশ্চিনটা নিয়ে বাঁচতে পারতেসিনা। আমার মনে চাইতেসে নিজের জান নিজে দিয়ে দেই। হুজুর আমিতো আজীবন যিনারা গুনাহ কমাতে  চাইনা আমার স্পষ্ট মনেও  নাই আবার ভয় ও হচ্ছে আল্লাহর কাছে আটকে যাওয়ার।হুজুর আমি কি যিনারা শাস্তি পাবো। কিছুদিন পর আমি দেশে যাবো আমার স্বামীর কাছে  কিন্তু আমি কিছুতেই  স্বস্তি পাচ্ছিনা মনের মধ্যে সংসার  হারিয়ে ফেলার ভয় সর্বক্ষণ কাজ করে বার বার মানে হচ্ছে সংসার  বাঁচানোর জন্য মিথ্যা কথা বলছি বুঝি আমি।

হুজুর মেহেরবানী করে আমাকে বিস্তারিত ভেঙে বলবেন

1 Answer

0 votes
by (569,520 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


আল্লাহ তা'আলা বলেন,

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ

হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা ১০১ ১০২ )

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,

عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .

আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বুখারী-মুসলিম)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীকে তালাকের প্রশ্নবানে জর্জরিত করা হচ্ছে।
যাহা খুবই মারাত্মক একটি বিষয়। 
এথেকে হেফাজতে থাকতে হবে।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
স্ত্রী যদি মোবাইলে স্বামী থেকে স্পষ্ট বাক্যে  তালাক চায়,আর স্বামী যদি বলে যে তোমার বিষয় তোমার হাতে বা তুমি ইদ্দত গণণা করো, তুমি হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি বলে। তাহলে নিয়ত ছাড়াই তালাক হয়ে যাবে।
এটিকে তালাকের মজলিস বা মুযাকারায়ে তালাক বলে।

(০২)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।

(০৩)
এখানে স্বামী কি বাক্য বলেছে,সেটি স্পষ্ট আকারে কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করুন।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।

কেননা শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৫)
"তুই যা" এটা স্বামী তালাক দেয়ার নিমিত্তে বললে তালাক হবে।
নতুবা তালাক হবেনা।

(০৬)
এখানে স্বামী কি বাক্য বলেছে,স্পষ্ট ভাবে কমেন্ট বক্সে  সেটা উল্লেখ করুন।

(০৭)
যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

এক্ষেত্রে অন্য বিষয় আলোচনা শুরু হলে বা মজলিস ত্যাগ করলে তালাকের মজলিস শেষ হয়েছে বলে ধরা হবে।

আরো জানুনঃ- 

(০৮)
উপরে জবাব যেটা দেয়া হয়েছে,সেটিই থাকবে।

(০৯)
তালাকের নিয়তে না বললে এতে তালাক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (11 points)
হুজুর ঝগড়ার  সময় কত কথাই  তো বলে। স্ত্রী মোবাইলে তালাক চাইলে স্বামী যদি বলে ওই তুই যা, কিংবা বলে  তরে ছাইড়াই দিবো তুই যা তাহলে কি তালাক হয়ে যাবে 
by (569,520 points)
তুই যা,চলে যা।
এসব বাক্য তালাকের নিয়তে না বললে তালাক হবেনা।

"তরে ছাইড়াই দিবো"
এ বাক্য বলার দরুন তালাক হবেনা।
তালাকের নিয়তে বললেও তালাক হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...