জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَسْأَلُوا عَنْ أَشْيَاءَ إِن تُبْدَ لَكُمْ تَسُؤْكُمْ وَإِن تَسْأَلُوا عَنْهَا حِينَ يُنَزَّلُ الْقُرْآنُ تُبْدَ لَكُمْ عَفَا اللَّهُ عَنْهَا ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ حَلِيمٌ
হে মুমিণগন, এমন কথাবার্তা জিজ্ঞেস করো না, যা তোমাদের কাছে পরিব্যক্ত হলে তোমাদের খারাপ লাগবে। যদি কোরআন অবতরণকালে তোমরা এসব বিষয় জিজ্ঞেস কর, তবে তা তোমাদের জন্যে প্রকাশ করা হবে। অতীত বিষয় আল্লাহ ক্ষমা করেছেন আল্লাহ ক্ষমাশীল, সহনশীল। (সূরায়ে মায়েদা ১০১ ১০২ )
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন,
عن أبي هريرة رضي الله عنه قال : سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : ما نهيتكم عنه ، فاجتنبوه ، وما أمرتكم به فأتوا منه ما استطعتم ، فإنما أهلك الذين من قبلكم كثرة مسائلهم واختلافهم على أنبيائهم . رواه البخاري ومسلم .
আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি যে,তিনি বলেন, আমি তোমাদেরকে যে সমস্ত জিনিষ থেকে নিষেধ করেছি, সে সমস্ত জিনিষ থেকে বিরত থাকো,এবং যে সমস্ত জিনিষের আদেশ করেছি, যথাসম্ভব সেগুলো পালন করার চেষ্টা করো। তোমাদের পূর্ববর্তীগণ তাদের অধিক প্রশ্ন এবং মতপার্থক্যর কারণেই ধংস হয়েছে।(বুখারী-মুসলিম)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামীকে তালাকের প্রশ্নবানে জর্জরিত করা হচ্ছে।
যাহা খুবই মারাত্মক একটি বিষয়।
এথেকে হেফাজতে থাকতে হবে।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
স্ত্রী যদি মোবাইলে স্বামী থেকে স্পষ্ট বাক্যে তালাক চায়,আর স্বামী যদি বলে যে তোমার বিষয় তোমার হাতে বা তুমি ইদ্দত গণণা করো, তুমি হারাম,বায়িন,মুক্ত,দায়মুক্ত, বাত্তাহ,বাতলাহ ইত্যাদি শব্দাবলি বলে। তাহলে নিয়ত ছাড়াই তালাক হয়ে যাবে।
এটিকে তালাকের মজলিস বা মুযাকারায়ে তালাক বলে।
(০২)
এক্ষেত্রে তালাক হবেনা।
আপনি নিশ্চিত থাকুন।
(০৩)
এখানে স্বামী কি বাক্য বলেছে,সেটি স্পষ্ট আকারে কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করুন।
(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তালাক হবেনা।
কেননা শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।
قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৫)
"তুই যা" এটা স্বামী তালাক দেয়ার নিমিত্তে বললে তালাক হবে।
নতুবা তালাক হবেনা।
(০৬)
এখানে স্বামী কি বাক্য বলেছে,স্পষ্ট ভাবে কমেন্ট বক্সে সেটা উল্লেখ করুন।
(০৭)
যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।
এক্ষেত্রে অন্য বিষয় আলোচনা শুরু হলে বা মজলিস ত্যাগ করলে তালাকের মজলিস শেষ হয়েছে বলে ধরা হবে।
আরো জানুনঃ-
(০৮)
উপরে জবাব যেটা দেয়া হয়েছে,সেটিই থাকবে।
(০৯)
তালাকের নিয়তে না বললে এতে তালাক হবেনা।